ঢাকায় সকালে ঘন কুয়াশা থাকার কারণে প্রায় তিন ঘণ্টা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা করেনি। যে কারণে সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পুরোদিনই উড়োজাহাজের ফ্লাইট শিডিউলে ঘণ্টা দেড় বিলম্বিত হচ্ছে। আবহাওয়াজনিত কারণে যাত্রীদের সাময়িক ভোগান্তির জন্য আমরা দুঃখিত। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সহকারী ম্যানেজার মো. বেলায়েত আলী আবহাওয়ার পরিস্থিতি ও ঢাকা হতে সিলেটে বিমান চলাচলের সমস্যার কথাগুলো বললেন এভাবেই।
ঢাকায় ঘন কুয়াশার কারণে উড়োজাহাজের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। এরফলে সিলেটে সারাদিনই উড়োজাহাজের যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) উড়োজাহাজগুলোর প্রতিটি ফ্লাইটই এক থেকে দুই ঘণ্টা বিলম্বিত হয়েছে। ফলে নিয়মিত সময়ে যাত্রীরা এসে সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকা পড়েন।
দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে সিলেট থেকে ঢাকা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস ৫৩৬ নম্বর ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন এ প্রতিবেদক। ৩টা ৪০ মিনিটে তার ঢাকায় অবতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু ফ্লাইট বিলম্বিত হওয়ার কারণে পৌনে দুই ঘণ্টা বিলম্বে উড়োজাহাজটি আকাশে ওড়ে। তবে তিনিসহ অন্য কোনো যাত্রীকে আগে ইউএস-বাংলার পক্ষ থেকে ফ্লাইট বিলম্বের কথা জানানো হয়নি।
একাধিক যাত্রী এ প্রতিবেদকের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, আগে থেকে বিষয়টি জানানো হলে আমরা দেড় ঘণ্টা পর বের হতাম। এখানে এসে এভাবে অলস বসে থাকতে হতো না। কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিপনার জন্য এখানে এসে ভোগান্তিতে পড়তে হলো।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় সকালে ঘন কুয়াশার কারণে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজগুলো ওঠানামা করতে পারেনি। এ কারণে দোহা থেকে আসা ইউএস-বাংলার একটিসহ কয়েকটি উড়োজাহাজ ঢাকায় নামতে না পেরে সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিলেট থেকে আজ পাঁচটি ফ্লাইট ছিল। এই পাঁচটি ফ্লাইটসহ বিমান বাংলাদেশ ও নভোএয়ারসহ অন্যান্য বিমানেও এমন বিলম্ব হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকা বিমানের ট্রাফিক জটের কারণে সময়মতো উড়োজাহাজগুলো ঢাকা ছাড়তে পারছে না। যে কারণে একটু বেশি বিলম্ব হচ্ছে।