ঢাকা , রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo সুনামগঞ্জে এনসিপির নেতৃত্বে হাছন রাজার বংশধর Logo পাথারিয়া ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ড বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত Logo ঢাকা জামায়াতের মহাসমাবেশ উপলক্ষে পাথারিয়া ইউপি জামায়াতের প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন Logo শান্তিগঞ্জের সুরমা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে হতাশাজনক এসএসসি ফলাফল পাশের হার মাত্র ৬০.১২%, শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মাঝে চরম অসন্তোষ Logo সিলেটে পাসের হার ৬৮.৫৭, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৬১৪ জন Logo এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫, কমেছে জিপিএ-৫ Logo জলঢাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে জামায়াতের মতবিনিময় Logo ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ Logo সুনামগঞ্জে ৩০০ বোতল চোলাই মদসহ গ্রেফতার ১ Logo সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, বিচার কার্য শুরু

ফারজানা জামান নেহা ওরফে ডিজে নেহাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।  ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬-এর বিচারক আল-মামুন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। রাজধানীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হওয়ায় বাদী পক্ষ কিছুটা স্বস্থির নিঃশ্বাস।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত ১৭ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। একইসঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২ মার্চ দিন ধার্য করেন। আসামিরা হলেন- মর্তুজা রায়হান চৌধুরী, মোসা. নুহাত আলম তাফসীর, শাফায়েত জামিল, মো. রিয়াজ উদ্দিন ও নুরুল আমিন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় মর্তুজা রায়হান ওই তরুণীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আসামি আরাফাতের বাসায় যান। আরাফাতের বাসায় স্কুটার রেখে আরাফাত, ওই তরুণী ও রায়হান একসঙ্গে উবারে করে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে আগে থেকেই আরেক আসামি নেহা ও একজন সহপাঠী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আসামিরা ওই তরুণীকে জোর করে ‘অধিক মাত্রায়’ মদপান করান।

মদপানের একপর্যায়ে ভুক্তভোগী তরুণী অসুস্থ বোধ করলে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে নুহাতের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তরুণীকে একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন রায়হান। এসময় রায়হানের বন্ধুরাও রুমে ছিল।

ধর্ষণের পর রাতে ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে বমি করলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খানকে ফোন দেন। সেই বন্ধু পরদিন এসে ওই তরুণীকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি তরুণী মারা যান।

ওইদিন রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় নিহত তরুণীর বাবা বাদী হয়ে চারজনসহ অজ্ঞাত আরও একজনের নামে মামলা করেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই মো. সাজেদুল হক ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন। এছাড়া মারা যাওয়ায় আসামি আরাফাত হোসাইনকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

সুনামগঞ্জে এনসিপির নেতৃত্বে হাছন রাজার বংশধর

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, বিচার কার্য শুরু

আপডেট সময় ০৭:৪৯:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩

ফারজানা জামান নেহা ওরফে ডিজে নেহাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।  ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬-এর বিচারক আল-মামুন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। রাজধানীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হওয়ায় বাদী পক্ষ কিছুটা স্বস্থির নিঃশ্বাস।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত ১৭ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। একইসঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২ মার্চ দিন ধার্য করেন। আসামিরা হলেন- মর্তুজা রায়হান চৌধুরী, মোসা. নুহাত আলম তাফসীর, শাফায়েত জামিল, মো. রিয়াজ উদ্দিন ও নুরুল আমিন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় মর্তুজা রায়হান ওই তরুণীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আসামি আরাফাতের বাসায় যান। আরাফাতের বাসায় স্কুটার রেখে আরাফাত, ওই তরুণী ও রায়হান একসঙ্গে উবারে করে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে আগে থেকেই আরেক আসামি নেহা ও একজন সহপাঠী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আসামিরা ওই তরুণীকে জোর করে ‘অধিক মাত্রায়’ মদপান করান।

মদপানের একপর্যায়ে ভুক্তভোগী তরুণী অসুস্থ বোধ করলে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে নুহাতের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তরুণীকে একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন রায়হান। এসময় রায়হানের বন্ধুরাও রুমে ছিল।

ধর্ষণের পর রাতে ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে বমি করলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খানকে ফোন দেন। সেই বন্ধু পরদিন এসে ওই তরুণীকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি তরুণী মারা যান।

ওইদিন রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় নিহত তরুণীর বাবা বাদী হয়ে চারজনসহ অজ্ঞাত আরও একজনের নামে মামলা করেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই মো. সাজেদুল হক ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন। এছাড়া মারা যাওয়ায় আসামি আরাফাত হোসাইনকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন।