বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুরে ইউনিয়নে সাবেক ইউপি সদস্যের মা ও ছেলের বউয়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়াও ওই ইউপি সদস্যের স্ত্রীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ বুধবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের ভুতেরদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান৷
নিহতরা হলেন, দেলোয়ার হোসেনের মা লালমোননেসা বেগম (৯৫) ও পুত্রবধূ রিপা বেগম (২৩)। এ ছাড়া দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী মিনারা বেগমকে অসুস্থ অবস্থায় বাবুগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্বজন ও স্থানীয়দের অভিযোগ, চুরির উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে খাবারের সঙ্গে বিষাক্তদ্রব্য মিশিয়ে তাদের কিছু খাওয়ানো হয়েছে। তবে বাবুগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অলিউল ইসলাম এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে বলেন, বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য চুরির ঘটনা সাজিয়েছে দুর্বৃত্তরা। যদিও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে এখন পর্যন্ত আটক করা হয়নি৷
তিনি বলেন, ‘বুধবার রাত দেড়টা থেকে দুইটার মধ্যে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা কাউকে পাইনি, তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর লালমুন নেছা ও রিপা আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। হাসপাতালে মিনারা বেগমের চিকিৎসা চলছে।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, বুধবার রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার দিকে প্রতিবেশী এক নারী টয়লেটে যেতে ঘর থেকে বের হন। তখন তিনি বাড়ির মধ্যে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির অবস্থান দেখতে পেয়ে ডাকাডাকি করেন। তবে ওই ব্যক্তি কোনো উত্তর না দিলে ওই নারী ঘরের ভেতর থেকে টর্চলাইট আনতে যান। ফিরে এসে ওই ব্যক্তিকে আর না পেয়ে নিজেদের গোয়ালঘরের দিকে যান তিনি। সেখানে গিয়ে গরুসহ সবকিছু ঠিকভাবে দেখতে পান। পরে ঘরে ফেরার সময় সাবেক ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেনের ঘরের দরজা খোলা দেখতে পেয়ে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু ঘরের ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না আসায় তিনি ভয়ে চিৎকার দিলে আশপাশের বাড়ির লোকজনও সেখানে জড়ো হন৷
পরে স্থানীয়রা ঘরের ভেতর গিয়ে তিন নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং পুলিশে খবর দেয়।
স্থানীয়রা জানান, ঘরের একপাশে একটি ছোট আকারের সিঁদ কাটা হয়েছে, তবে সেটি দিয়ে কোনো মানুষের চলাচল সম্ভব নয়। তবে দুবৃত্তরা কিছু স্বর্নালংকারসহ অল্প কিছু মালামাল নিয়ে গেছে।