ঢাকা , রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo সুনামগঞ্জে এনসিপির নেতৃত্বে হাছন রাজার বংশধর Logo পাথারিয়া ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ড বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত Logo ঢাকা জামায়াতের মহাসমাবেশ উপলক্ষে পাথারিয়া ইউপি জামায়াতের প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন Logo শান্তিগঞ্জের সুরমা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে হতাশাজনক এসএসসি ফলাফল পাশের হার মাত্র ৬০.১২%, শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মাঝে চরম অসন্তোষ Logo সিলেটে পাসের হার ৬৮.৫৭, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৬১৪ জন Logo এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫, কমেছে জিপিএ-৫ Logo জলঢাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে জামায়াতের মতবিনিময় Logo ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ Logo সুনামগঞ্জে ৩০০ বোতল চোলাই মদসহ গ্রেফতার ১ Logo সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ফরিদপুরে যুবক হত্যায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

ফরিদপুরে চালককে হত্যার পর মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও চার মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার মহেষপুরের গ্রামের মো. ইস্রাইলের ছেলে নূর ইসলাম ওরফে নজরুল ইসলাম (৪৪), আলফাডাঙ্গা উপজেলার কোনাগ্রামের শেখের ছেলে মনির শেখ (৩৪), মৃত আকরাম মোল্যার ছেলে ইকতার মোল্যা (৩৩), বোয়ালমারীর বনচাকী গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে এনায়েত আমীন (৩৯) ও কাশিয়ানীর ব্যাসপুর গ্রামের মৃত ইছাহাক শেখের ছেলে মিরাজ ওরফে মিরুজ (৩৯)। রায় ঘোষণার সময় নূর ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার সরকারি কৌঁসুলি নবাবউদ্দিন জানান, ২০১২ সালের ২৮ জুলাই সকালে আলফাডাঙ্গার ধুলজুড়ি গ্রামের মৃত ছবুর শেখের ছেলে শহিদুল ইসলাম ওরফে কালাচানের মরদেহ একটি ক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের চাচা আক্কাস শেখ বাদী হয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কালাচান ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন।

এর আগেরদিন বিকেলে কোনাগ্রামে এক হয়ে সিদ্ধান্ত নেয় একটি গাড়ি ঠেকাবে। সে অনুযায়ী রাত ১১টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তার দুপাশে গাছের সঙ্গে রশি বেঁধে কালাচানকে ফেলে মোটরসাইকেলটি আটকায়। এরপর আসামি মনির মোটরসাইকেলটি রাখে আর অন্যরা তাকে ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে কুপিয়ে জখমের পর মৃত্যু নিশ্চিত করে।

মামলার তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৩১ জুলাই মামলার চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সিরাজুল ইসলাম। মামলায় বাদী ও দুজন পুলিশসহ আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

সুনামগঞ্জে এনসিপির নেতৃত্বে হাছন রাজার বংশধর

ফরিদপুরে যুবক হত্যায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

আপডেট সময় ০৭:৪৮:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ফরিদপুরে চালককে হত্যার পর মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও চার মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার মহেষপুরের গ্রামের মো. ইস্রাইলের ছেলে নূর ইসলাম ওরফে নজরুল ইসলাম (৪৪), আলফাডাঙ্গা উপজেলার কোনাগ্রামের শেখের ছেলে মনির শেখ (৩৪), মৃত আকরাম মোল্যার ছেলে ইকতার মোল্যা (৩৩), বোয়ালমারীর বনচাকী গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে এনায়েত আমীন (৩৯) ও কাশিয়ানীর ব্যাসপুর গ্রামের মৃত ইছাহাক শেখের ছেলে মিরাজ ওরফে মিরুজ (৩৯)। রায় ঘোষণার সময় নূর ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার সরকারি কৌঁসুলি নবাবউদ্দিন জানান, ২০১২ সালের ২৮ জুলাই সকালে আলফাডাঙ্গার ধুলজুড়ি গ্রামের মৃত ছবুর শেখের ছেলে শহিদুল ইসলাম ওরফে কালাচানের মরদেহ একটি ক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের চাচা আক্কাস শেখ বাদী হয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কালাচান ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন।

এর আগেরদিন বিকেলে কোনাগ্রামে এক হয়ে সিদ্ধান্ত নেয় একটি গাড়ি ঠেকাবে। সে অনুযায়ী রাত ১১টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তার দুপাশে গাছের সঙ্গে রশি বেঁধে কালাচানকে ফেলে মোটরসাইকেলটি আটকায়। এরপর আসামি মনির মোটরসাইকেলটি রাখে আর অন্যরা তাকে ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে কুপিয়ে জখমের পর মৃত্যু নিশ্চিত করে।

মামলার তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৩১ জুলাই মামলার চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সিরাজুল ইসলাম। মামলায় বাদী ও দুজন পুলিশসহ আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।