ঢাকা , শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo জগন্নাথপুরে জুলাই বিপ্লব ২৪ ডটকম এর আত্ম প্রকাশ Logo শান্তিগঞ্জে ‘আব্দুন নূর চেয়ারম্যান স্মৃতি প্রাথমিক মেধা বৃত্তির পরীক্ষা কাল শনিবার (৩০ নভেম্বর) Logo শান্তিগঞ্জে হাওরের ১০০ বছর ও আমাদের করণীয় শীর্ষক কর্মশালা Logo মধ্যনগরে আওয়ামী লীগ নেতার দখল থেকে সরকারী ভুমি পুনরুদ্ধার Logo সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের রফিনগর গ্রামের সাজ্জাতুলের বাড়িঘরে হামলা,ভাংচুর লুটপাঠসহ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ভাংচুরের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত -নিহতদের স্মরণে দোয়ারাবাজারে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত Logo অন্তবর্তীকালীন সরকার পতনের ষড়যন্ত্র গোপন বৈঠকে থাকা ছাত্রলীগের ৩৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি Logo শান্তিগঞ্জে বিনামূল্যে গরু বিতরণের লক্ষ্যে অবহিতকরণ সভা ও প্রশিক্ষণ Logo দোয়ারাবাজারে সরকারি গাছ কর্তন।। জব্দ করলো প্রশাসন Logo শান্তিগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা 

বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে রোগী নেই, পাশেই ডাক্তারদের প্রাইভেট চেম্বারে ভিড়

কুড়িগ্রাম সদরের পাটেশ্বরী থেকে অসুস্থ মা বানভাসিকে ডাক্তার দেখাতে শহরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এসেছেন রত্না। রত্নার মায়ের হাঁটুর ব্যথা। শনিবার (‌১ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও চিকিৎসকের চেম্বারে ঢুকতে পারেননি রত্না।বিকাল সোয়া ৫টায় রত্না ও তার মায়ের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। গত বৃহস্পতিবার শুরু করা বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে রত্না বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে কিছুই জানি না। অল্প টাকায় ডাক্তার দেখাতে পারলে সুবিধা হতো। জানলে হাসপাতালেই দেখাতে যেতাম। আমরা তো জানি না।’কম খরচে হাসপাতালের বৈকালিক চেম্বারে ডাক্তার দেখার সুযোগ সম্পর্কে রত্নার মা বানভাসি বললেন, ‘মাইকিং করা নাগিল হয়। হামরা তো জানি না, জানলে ওটাই (হাসপাতালে) গেইলং হয়।’ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অসুস্থ সন্তানকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে এসেছেন শহরের পাঠানপাড়ার বাসিন্দা শারমিন। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও তো জানি না। আপনার কাছে জানলাম। স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য এ ধরনের ব্যবস্থা সরকারের ভালো উদ্যোগ। কিন্তু মানুষ না জানলে কীভাবে এই সেবা নেবে?’এবার হাসপাতালের পাশের আরেক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে দেখা গেলো, রোগীদের ভিড়। ভাঙা হাত নিয়ে সেখানে অপেক্ষারত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আব্দুর রাফি। তিনি সদরের যাত্রাপুর থেকে প্রাইভেট চেম্বারে এসেছেন ডাক্তার দেখাতে। বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে জানতে চাইলে রাফি বলেন, ‘আগে জানলে হাসপাতালেই যেতাম। টাকা কম লাগলে গরিব মানুষের জন্য ভালো। কিন্তু আমরা তো জানি না।’ তবে সরকারের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম সম্পর্কে রোগীদের এই না জানার তথ্যের সত্যতা মিললো কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগে। শনিবার বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে হাসপাতালের দায়িত্ব পালন করছেন দুই চিকিৎসক। কিন্তু তাদের চেম্বারের সামনে কোনও রোগী নেই। এদিন দুই চিকিৎসক মিলে রোগী দেখেছেন চার জন। অথচ হাসপাতালের পাশেই ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে বিভিন্ন চিকিৎসকের চেম্বারে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। প্রচারণার অভাবে সরকারের এমন উদ্যোগের খবর মানুষের কাছে পৌঁছায়নি বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।শনিবার জেনারেল হাসপাতালে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে রোগী দেখার দায়িত্বে ছিলেন অর্থোসার্জারি চিকিৎসক আতিক। তিনি বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রোগী দেখেছেন তিন জন।ডা. আতিক বলেন, ‘আসলে মানুষ এই স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে এখনও জানে না। জানলে আসতো। সরকার মানুষের সুবিধার কথা বিবেচনা করে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কিন্তু প্রচারণার অভাবে মানুষ বিষয়টি এখনও জানতে পারেনি। ফলে আমরা রোগীর অপেক্ষায় বসে থাকলেও কেউ আসছেন না।’বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের আরেক ডা. জেবা নূর-ই- আশিকী তিন ঘণ্টায় রোগী দেখেছেন একজন। এই চিকিৎসকও জানালেন প্রচারণার অভাবের কথা।কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন রোগীদের ভিড় থাকলেও বৈকালিক চেম্বারে রোগী না থাকার কারণ হিসেবে প্রচারণার অভাবের কথা বলেছেন রোগী ও চিকিৎসকরা। অথচ শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত হাসপাতাল চত্বরের কোথাও বৈকালিক চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পর্কে কোনও প্রচারণা চোখে পড়েনি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হাসপাতালের বাইরে ও বহির্বিভাগে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে প্রচারণার ব্যবস্থা করলে সরকারের এই নতুন উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে পারবে সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া মাইকিংয়ের ব্যবস্থাও করা যেতে পারে। তা না হলে এই কার্যক্রম ফলপ্রসূ হবে না।রেল, নৌ-যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণ-কমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাবেক সভাপতি নাহিদ হাসান বলেন, ‘সরকারের এই উদ্যোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো প্রয়োজন। মাইকিংয়ের পাশাপাশি জুমার নামাজে ইমামদের মাধ্যমেও এই প্রচারণার কাজ করা যেতে পারে।’তবে প্রচারণার বিষয়ে আগ্রহী নয় কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। তারা বলছেন, প্রচারণার বিষয়ে তারা এখনও কোনও নির্দেশনা পাননি।কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শহিদুল্লাহ লিংকন বলেন, ‘আমরা তো সকালের রোগী বিকালে ভাগিয়ে নেবো না। আপাতত প্রোগ্রামের (উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের) ব্যানারটি লাগিয়ে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা মুখে মুখে বলছেন। প্রচারণার বিষয়ে আপাতত আর কোনও নির্দেশনা নেই।’এদিকে, প্রচারণার কোনও দায় নিতে নারাজ সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর এ মুর্শেদ। এ বিষয়ে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়কের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়ে এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, ‘সেবাটি শুধু জেনারেল হাসপাতালে চালু করা হয়েছে। আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ স্থানীয় সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছি। প্রচারণার বিষয়ে আপাতত কোনও দিকনির্দেশনা নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরবর্তীতে কোনও নির্দেশনা দিলে সে অনুযায়ী কাজ করা হবে।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

জগন্নাথপুরে জুলাই বিপ্লব ২৪ ডটকম এর আত্ম প্রকাশ

বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে রোগী নেই, পাশেই ডাক্তারদের প্রাইভেট চেম্বারে ভিড়

আপডেট সময় ১২:১৯:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ এপ্রিল ২০২৩

কুড়িগ্রাম সদরের পাটেশ্বরী থেকে অসুস্থ মা বানভাসিকে ডাক্তার দেখাতে শহরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এসেছেন রত্না। রত্নার মায়ের হাঁটুর ব্যথা। শনিবার (‌১ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও চিকিৎসকের চেম্বারে ঢুকতে পারেননি রত্না।বিকাল সোয়া ৫টায় রত্না ও তার মায়ের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। গত বৃহস্পতিবার শুরু করা বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে রত্না বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে কিছুই জানি না। অল্প টাকায় ডাক্তার দেখাতে পারলে সুবিধা হতো। জানলে হাসপাতালেই দেখাতে যেতাম। আমরা তো জানি না।’কম খরচে হাসপাতালের বৈকালিক চেম্বারে ডাক্তার দেখার সুযোগ সম্পর্কে রত্নার মা বানভাসি বললেন, ‘মাইকিং করা নাগিল হয়। হামরা তো জানি না, জানলে ওটাই (হাসপাতালে) গেইলং হয়।’ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অসুস্থ সন্তানকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে এসেছেন শহরের পাঠানপাড়ার বাসিন্দা শারমিন। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও তো জানি না। আপনার কাছে জানলাম। স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য এ ধরনের ব্যবস্থা সরকারের ভালো উদ্যোগ। কিন্তু মানুষ না জানলে কীভাবে এই সেবা নেবে?’এবার হাসপাতালের পাশের আরেক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে দেখা গেলো, রোগীদের ভিড়। ভাঙা হাত নিয়ে সেখানে অপেক্ষারত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আব্দুর রাফি। তিনি সদরের যাত্রাপুর থেকে প্রাইভেট চেম্বারে এসেছেন ডাক্তার দেখাতে। বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে জানতে চাইলে রাফি বলেন, ‘আগে জানলে হাসপাতালেই যেতাম। টাকা কম লাগলে গরিব মানুষের জন্য ভালো। কিন্তু আমরা তো জানি না।’ তবে সরকারের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম সম্পর্কে রোগীদের এই না জানার তথ্যের সত্যতা মিললো কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগে। শনিবার বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে হাসপাতালের দায়িত্ব পালন করছেন দুই চিকিৎসক। কিন্তু তাদের চেম্বারের সামনে কোনও রোগী নেই। এদিন দুই চিকিৎসক মিলে রোগী দেখেছেন চার জন। অথচ হাসপাতালের পাশেই ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে বিভিন্ন চিকিৎসকের চেম্বারে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। প্রচারণার অভাবে সরকারের এমন উদ্যোগের খবর মানুষের কাছে পৌঁছায়নি বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।শনিবার জেনারেল হাসপাতালে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে রোগী দেখার দায়িত্বে ছিলেন অর্থোসার্জারি চিকিৎসক আতিক। তিনি বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রোগী দেখেছেন তিন জন।ডা. আতিক বলেন, ‘আসলে মানুষ এই স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে এখনও জানে না। জানলে আসতো। সরকার মানুষের সুবিধার কথা বিবেচনা করে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কিন্তু প্রচারণার অভাবে মানুষ বিষয়টি এখনও জানতে পারেনি। ফলে আমরা রোগীর অপেক্ষায় বসে থাকলেও কেউ আসছেন না।’বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের আরেক ডা. জেবা নূর-ই- আশিকী তিন ঘণ্টায় রোগী দেখেছেন একজন। এই চিকিৎসকও জানালেন প্রচারণার অভাবের কথা।কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন রোগীদের ভিড় থাকলেও বৈকালিক চেম্বারে রোগী না থাকার কারণ হিসেবে প্রচারণার অভাবের কথা বলেছেন রোগী ও চিকিৎসকরা। অথচ শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত হাসপাতাল চত্বরের কোথাও বৈকালিক চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পর্কে কোনও প্রচারণা চোখে পড়েনি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হাসপাতালের বাইরে ও বহির্বিভাগে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে প্রচারণার ব্যবস্থা করলে সরকারের এই নতুন উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে পারবে সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া মাইকিংয়ের ব্যবস্থাও করা যেতে পারে। তা না হলে এই কার্যক্রম ফলপ্রসূ হবে না।রেল, নৌ-যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণ-কমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাবেক সভাপতি নাহিদ হাসান বলেন, ‘সরকারের এই উদ্যোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো প্রয়োজন। মাইকিংয়ের পাশাপাশি জুমার নামাজে ইমামদের মাধ্যমেও এই প্রচারণার কাজ করা যেতে পারে।’তবে প্রচারণার বিষয়ে আগ্রহী নয় কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। তারা বলছেন, প্রচারণার বিষয়ে তারা এখনও কোনও নির্দেশনা পাননি।কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শহিদুল্লাহ লিংকন বলেন, ‘আমরা তো সকালের রোগী বিকালে ভাগিয়ে নেবো না। আপাতত প্রোগ্রামের (উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের) ব্যানারটি লাগিয়ে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা মুখে মুখে বলছেন। প্রচারণার বিষয়ে আপাতত আর কোনও নির্দেশনা নেই।’এদিকে, প্রচারণার কোনও দায় নিতে নারাজ সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর এ মুর্শেদ। এ বিষয়ে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়কের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়ে এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, ‘সেবাটি শুধু জেনারেল হাসপাতালে চালু করা হয়েছে। আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ স্থানীয় সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছি। প্রচারণার বিষয়ে আপাতত কোনও দিকনির্দেশনা নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরবর্তীতে কোনও নির্দেশনা দিলে সে অনুযায়ী কাজ করা হবে।’