ঢাকা , বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo শাল্লায় একাডেমিক ভবন প্রধান শিক্ষক ও তার ভাইয়ের দখলে Logo দিরাই বালিকা বিদ্যালয়ের মিলাদ মাহফিল Logo দিরাইয়ে অহিংস দিবস পালিত Logo আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উপলক্ষে শান্তিগঞ্জে পিএফজি’র মানববন্ধন  Logo শান্তিগঞ্জে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন Logo শান্তিগঞ্জে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়  Logo সুনামগঞ্জের জিল্লুর রহমান সহ ছয় অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি Logo দিরাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে কোন অনিয়ম দালালির সাথে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে Logo ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব! Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের উদ্যোগে সিরাত মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে লাখপতি!

 

শাল্লা প্রতিনিধি::-হাওর বাঁচাও আন্দোলন শাল্লা শাখা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত সেনের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ উটেছে। পদপদবীকে ব্যবহার করে সরকারি কর্মচারীর কাছে চাঁদাবাজি, এমপি বরাদ্দ লুটপাট ও পাউবো’র সাইনবোর্ড বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। তবে হাওর বাঁচা আন্দোলন উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই তাঁর চাঁদাবাজির মাত্রা বেড়ে গেছে। এই সংগঠনের পদবীকে ব্যবহার করে প্রতিবছরই শাল্লা পাউবো অফিস থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে আঙ্গুল ফোলে কলা গাছ হয়ে গেছেন। দেখলে মনে হয় “ঠাকুর ঘরে কে রে আমি কলা খাই না”।

পাউবো সুত্রে জানা গেছে, ২০২০ সাল থেকে শাল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ড(পাউবো) অফিস থেকে হাওর বাঁচাও আন্দোলন কমিটির প্রভাব দেখিয়ে সাইনবোর্ড বাণিজ্যের কাজটি ছিনিয়ে নেন তিনি। কাজ না দিলে পাউবো’র উপ সহকারী প্রকৌশলী (এসও) এর বিরুদ্ধে আন্দোলন ঘরে তোলার ভয়ভীতি দেখান। পরে এসও ভয় পেয়ে তিন বছর ধরে জয়ন্ত সেনকে সাইনবোর্ড বাণিজ্যের কাজটি দেন। সাইনবোর্ডের বিষয়টি বাজারে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় চারশত টাকায় হাওর রক্ষা বাঁধের সাইনবোর্ড পাওয়া যায়। কিন্তু জয়ন্ত সেন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতিটি পিআইসির কাছ থেকে এই সাইনবোর্ডের মুল্য ২ হাজার ৫০০ থেকে শুরু ৩ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। এমনকি অন্য জায়গা থেকে সাইনবোর্ড কিনে আনলে এটা গ্রহনযোগ্য হয় না। বাধ্যতামুলক জয়ন্ত সেনের সিন্ডিকেট থেকে সাইনবোর্ড নিতে হয়েছে প্রত্যেক পিআইসিরা।

এদিকে আরেকটি চাঞ্চল্যকর ঘটনার প্রমাণাধি এসেছে এই প্রতিবেদকের কাছে। শাল্লা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে স্থানীয় সাংসদের বিশেষ বরাদ্দ থেকে আনন্দপুর অক্ষত মন্দিরের নামে ১ লাখ টাকা বরাদ্দ নেন জয়ন্ত সেন। কিন্তু আনন্দপুর গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায় অক্ষত মন্দির নামে কোনো মন্দির নেই। এই বরাদ্দের সম্পুর্ণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন নামধারী এই জয়ন্ত সেন। শুধু তাই নয় এর আগেও শাল্লা ইউএনও অফিসের সাবেক অফিস সুপারের কাছ চাঁদা চান। এই চাঁদাবাজির রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। পরে টাকা ফেরত দিতে চাইলে ফেরত নেয়নি ভুক্তভোগী।

শাল্লাবাসীর দাবী এধরনের চাঁদাবাজদের বিভিন্ন সংগঠনে পদ পদবী দেওয়ার কারনেই চাঁদাবাজির মাত্রা দিনদিন বেড়েই চলছে। তাই এসব চাঁদাবাজদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করার দাবী জানিয়েছেন শাল্লার সচেতন মহল।

অভিযুক্ত জয়ন্ত সেনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

শাল্লা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শেখ ফজলুল করিম জানান, জয়ন্ত সেন একটি টিনের ঘর আমাদেরকে দেখিয়েছে। এই ঘর দেখেই আমরা বিল দিয়েছি।

তবে শাল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম জয়ন্ত সেনের সাইনবোর্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২ হাজার ৫০০ টাকা নেওয়ার জন্য আমরা থাকে বলিনি। এটা উনার ব্যক্তিগত বিষয়। তবে তিন বছর ধরে সাইনবোর্ডের কাজ জয়ন্ত সেনই করছেন বলে তিনি জানান।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন

শাল্লায় একাডেমিক ভবন প্রধান শিক্ষক ও তার ভাইয়ের দখলে

সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে লাখপতি!

আপডেট সময় ০৪:১৪:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০২৩

 

শাল্লা প্রতিনিধি::-হাওর বাঁচাও আন্দোলন শাল্লা শাখা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত সেনের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ উটেছে। পদপদবীকে ব্যবহার করে সরকারি কর্মচারীর কাছে চাঁদাবাজি, এমপি বরাদ্দ লুটপাট ও পাউবো’র সাইনবোর্ড বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। তবে হাওর বাঁচা আন্দোলন উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই তাঁর চাঁদাবাজির মাত্রা বেড়ে গেছে। এই সংগঠনের পদবীকে ব্যবহার করে প্রতিবছরই শাল্লা পাউবো অফিস থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে আঙ্গুল ফোলে কলা গাছ হয়ে গেছেন। দেখলে মনে হয় “ঠাকুর ঘরে কে রে আমি কলা খাই না”।

পাউবো সুত্রে জানা গেছে, ২০২০ সাল থেকে শাল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ড(পাউবো) অফিস থেকে হাওর বাঁচাও আন্দোলন কমিটির প্রভাব দেখিয়ে সাইনবোর্ড বাণিজ্যের কাজটি ছিনিয়ে নেন তিনি। কাজ না দিলে পাউবো’র উপ সহকারী প্রকৌশলী (এসও) এর বিরুদ্ধে আন্দোলন ঘরে তোলার ভয়ভীতি দেখান। পরে এসও ভয় পেয়ে তিন বছর ধরে জয়ন্ত সেনকে সাইনবোর্ড বাণিজ্যের কাজটি দেন। সাইনবোর্ডের বিষয়টি বাজারে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় চারশত টাকায় হাওর রক্ষা বাঁধের সাইনবোর্ড পাওয়া যায়। কিন্তু জয়ন্ত সেন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতিটি পিআইসির কাছ থেকে এই সাইনবোর্ডের মুল্য ২ হাজার ৫০০ থেকে শুরু ৩ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। এমনকি অন্য জায়গা থেকে সাইনবোর্ড কিনে আনলে এটা গ্রহনযোগ্য হয় না। বাধ্যতামুলক জয়ন্ত সেনের সিন্ডিকেট থেকে সাইনবোর্ড নিতে হয়েছে প্রত্যেক পিআইসিরা।

এদিকে আরেকটি চাঞ্চল্যকর ঘটনার প্রমাণাধি এসেছে এই প্রতিবেদকের কাছে। শাল্লা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে স্থানীয় সাংসদের বিশেষ বরাদ্দ থেকে আনন্দপুর অক্ষত মন্দিরের নামে ১ লাখ টাকা বরাদ্দ নেন জয়ন্ত সেন। কিন্তু আনন্দপুর গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায় অক্ষত মন্দির নামে কোনো মন্দির নেই। এই বরাদ্দের সম্পুর্ণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন নামধারী এই জয়ন্ত সেন। শুধু তাই নয় এর আগেও শাল্লা ইউএনও অফিসের সাবেক অফিস সুপারের কাছ চাঁদা চান। এই চাঁদাবাজির রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। পরে টাকা ফেরত দিতে চাইলে ফেরত নেয়নি ভুক্তভোগী।

শাল্লাবাসীর দাবী এধরনের চাঁদাবাজদের বিভিন্ন সংগঠনে পদ পদবী দেওয়ার কারনেই চাঁদাবাজির মাত্রা দিনদিন বেড়েই চলছে। তাই এসব চাঁদাবাজদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করার দাবী জানিয়েছেন শাল্লার সচেতন মহল।

অভিযুক্ত জয়ন্ত সেনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

শাল্লা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শেখ ফজলুল করিম জানান, জয়ন্ত সেন একটি টিনের ঘর আমাদেরকে দেখিয়েছে। এই ঘর দেখেই আমরা বিল দিয়েছি।

তবে শাল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম জয়ন্ত সেনের সাইনবোর্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২ হাজার ৫০০ টাকা নেওয়ার জন্য আমরা থাকে বলিনি। এটা উনার ব্যক্তিগত বিষয়। তবে তিন বছর ধরে সাইনবোর্ডের কাজ জয়ন্ত সেনই করছেন বলে তিনি জানান।