ঢাকা , বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo শাল্লায় একাডেমিক ভবন প্রধান শিক্ষক ও তার ভাইয়ের দখলে Logo দিরাই বালিকা বিদ্যালয়ের মিলাদ মাহফিল Logo দিরাইয়ে অহিংস দিবস পালিত Logo আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উপলক্ষে শান্তিগঞ্জে পিএফজি’র মানববন্ধন  Logo শান্তিগঞ্জে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন Logo শান্তিগঞ্জে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়  Logo সুনামগঞ্জের জিল্লুর রহমান সহ ছয় অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি Logo দিরাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে কোন অনিয়ম দালালির সাথে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে Logo ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব! Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের উদ্যোগে সিরাত মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

সেতুর সংযোগ সড়কে ধস, দুর্ভোগে দুই ইউনিয়নের মানুষ

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ও বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের মধ্যবর্তী কুশলডাঙ্গী বাজারে যাওয়ার রাস্তায় তীরনই নদীর উপর নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়কের দুপাশ ধসে গেছে। সংযোগ সড়কটি ধস গেলেও সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নেয়নি উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর। ফলে চলাচলে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে উপজেলার দুইটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষকে।
স্থানীয়রা জানান, আট বছর আগে তীরনই নদীর উপর ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এতে দুই ইউনিয়নের মানুষের দুর্ভোগ কমেছিল। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে সেতুর পাশে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে। এতে ঝুঁকির মুখে পড়েছে সেতুটি।
কুশলডাঙ্গী বাজারের ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম জানান, গত ৩০ এপ্রিল রাতে বৃষ্টিতে সেতুর পশ্চিম পাশের সংযোগ সড়ক ধসে গেছে। একটি ইজিবাইক গেলেও যাত্রী নামিয়ে পার করতে হচ্ছে। ট্রাক্টর এবং অন্যান্য বড় গাড়িগুলোকে ৮ কিলোমিটার ঘুরে আসতে হচ্ছে বাজারে। সেতুর সংযোগ সড়কে ধসবোরো ধান কেটে ট্রলিতে করে নিজ বাড়িতে নিচ্ছেন পারুয়া গ্রামের আজিজুল হক। তিনি জানান, সেতুর সংযোগ সড় ধসে যাওয়ায় শ্রমিক দিয়ে কাঁধে করে বোরো ধান বাড়িতে নিতে হচ্ছে। এর ফলে দুই বিঘা জমির ধান ঘরে তুলতে দ্বিগুণ খরচ করতে হচ্ছে।
সেতুর পাশে বাস করা স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র তীরনই নদী থেকে বালু তুলছে। বালু তোলার কারণে সেতু ও আশপাশের আবাদি জমি এবং বাড়িঘর ঝুঁকির মুখে পড়েছে। একাধিবার মৌখিক এবং লিখিতভাবে জানানোর পরেও প্রশাসন পদক্ষেপ নেয়নি।
উপজেলা প্রকৌশলী মাসুদার রহমান বলেন, ‘সংযোগ সড়কটি দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।’
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতেহা তুজ জোহরা বলেন, বালু উত্তোলনকারীদের ধরতে লোক পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু কাউকে পায়নি। স্থানীয় অফিসে লিখিত অভিযোগ অথবা বালু উত্তোলন করার সময় খবর দিলে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব। আমরা চেষ্টা করছি নদী থেকে কেউ যেন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন না করতে পারে।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন

শাল্লায় একাডেমিক ভবন প্রধান শিক্ষক ও তার ভাইয়ের দখলে

সেতুর সংযোগ সড়কে ধস, দুর্ভোগে দুই ইউনিয়নের মানুষ

আপডেট সময় ০২:২৯:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০২৩

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ও বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের মধ্যবর্তী কুশলডাঙ্গী বাজারে যাওয়ার রাস্তায় তীরনই নদীর উপর নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়কের দুপাশ ধসে গেছে। সংযোগ সড়কটি ধস গেলেও সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নেয়নি উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর। ফলে চলাচলে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে উপজেলার দুইটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষকে।
স্থানীয়রা জানান, আট বছর আগে তীরনই নদীর উপর ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এতে দুই ইউনিয়নের মানুষের দুর্ভোগ কমেছিল। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে সেতুর পাশে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে। এতে ঝুঁকির মুখে পড়েছে সেতুটি।
কুশলডাঙ্গী বাজারের ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম জানান, গত ৩০ এপ্রিল রাতে বৃষ্টিতে সেতুর পশ্চিম পাশের সংযোগ সড়ক ধসে গেছে। একটি ইজিবাইক গেলেও যাত্রী নামিয়ে পার করতে হচ্ছে। ট্রাক্টর এবং অন্যান্য বড় গাড়িগুলোকে ৮ কিলোমিটার ঘুরে আসতে হচ্ছে বাজারে। সেতুর সংযোগ সড়কে ধসবোরো ধান কেটে ট্রলিতে করে নিজ বাড়িতে নিচ্ছেন পারুয়া গ্রামের আজিজুল হক। তিনি জানান, সেতুর সংযোগ সড় ধসে যাওয়ায় শ্রমিক দিয়ে কাঁধে করে বোরো ধান বাড়িতে নিতে হচ্ছে। এর ফলে দুই বিঘা জমির ধান ঘরে তুলতে দ্বিগুণ খরচ করতে হচ্ছে।
সেতুর পাশে বাস করা স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র তীরনই নদী থেকে বালু তুলছে। বালু তোলার কারণে সেতু ও আশপাশের আবাদি জমি এবং বাড়িঘর ঝুঁকির মুখে পড়েছে। একাধিবার মৌখিক এবং লিখিতভাবে জানানোর পরেও প্রশাসন পদক্ষেপ নেয়নি।
উপজেলা প্রকৌশলী মাসুদার রহমান বলেন, ‘সংযোগ সড়কটি দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।’
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতেহা তুজ জোহরা বলেন, বালু উত্তোলনকারীদের ধরতে লোক পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু কাউকে পায়নি। স্থানীয় অফিসে লিখিত অভিযোগ অথবা বালু উত্তোলন করার সময় খবর দিলে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব। আমরা চেষ্টা করছি নদী থেকে কেউ যেন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন না করতে পারে।’