ঢাকা , সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এমপিদের উদ্ভাবনী পরামর্শ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে: স্পিকার

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন একটা বৈশ্বিক সমস্যা। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। অথচ এক্ষেত্রে বাংলাদেশের কোনও দায় নেই। তিনি বলেন, ‘জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় এমপিদের উদ্ভাবনী পরামর্শ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’সোমবার (১৫ মে) জাতীয় সংসদের পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় ও ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘ফাউন্ডেশনাল নলেজ এক্সচেঞ্জ অন সাপোর্টিং ক্লাইমেট অ্যাকশন থ্রো পার্লামেন্টারি অ্যাকশন’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।সোমবার সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ পরিচালক তারিক মাহমুদের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতি আ. স. ম ফিরোজ এমপি এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক।বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপি বাংলাদেশ-এর আবাসিক প্রতিনিধি ভ্যান গুয়েন।কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন— জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এমপি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম এমপি এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ এমপি।কর্মশালায় বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ মতামত প্রদান করেন আইসিসিসিডি’র পরিচালক প্রফেসর সালিমুল হক এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ মালিহা মুজাম্মিল।অনুষ্ঠানের মুক্ত আলোচনা পর্ব সঞ্চালনা করেন সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম এবং এ পর্বে সংসদ সদস্যরা মূল্যবান মতামত প্রদান করেন। স্পিকার বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সংসদ সদস্যদের সুচিন্তিত মতামত ও উদ্ভাবনী পরামর্শ খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।’ নিজ নিজ নির্বাচনি এলাকায় সংসদ সদস্যদের সবাই  অনুসরণ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনগণকে সচেতন করার জন্য লিফলেট তৈরি করে বিতরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে ভবিষ্যতের চেঞ্জ মেইকার তরুণ-তরুণীদের মেধাকে কাজে লাগাতে হবে।’তিনি আরও বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে বাংলাদেশ সবসময় অগ্রবর্তী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মুখপাত্র।’ প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সোচ্চার রয়েছেন উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, ‘‘নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশ প্রথম জলবায়ু ট্রাস্ট গঠন করে। এজন্যই জাতিসংঘের পরিবেশ-বিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’’ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘শব্দদূষণ, বায়ুদূষণ, অত্যাধিক তাপদাহের কারণ, নদীদূষণ, বৃক্ষ রোপণ, শিল্প কারখানার দূষিত পানি থেকে নদীকে রক্ষা করা, বৃষ্টি পানি ধরে রেখে পরবর্তী সময় ব্যবহার করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে সংসদ সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।’ তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্র ও নদী তীরবর্তী তৃনমূলের জনগণ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।’ এজন্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার সংসদ সদস্যদের নিয়ে কর্মশালা করে পরিকল্পনা ঠিক করতে ইউএনডিপিকে স্পিকার পরামর্শ দেন।কর্মশালায় রওশন আরা মান্নান এমপি, আহসানুল ইসলাম (টিটু) এমপি, উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি, শবনম জাহান এমপি, বাসন্তী চাকমা এমপি,আরমা দত্ত এমপি, উম্মে ফাতেমা নাজমা এমপি, জাকিয়া পারভীন খানম এমপি, অপরাজিতা হক এমপি, মোছা. শামীমা আক্তার খানম এমপি, সৈয়দা রুবিনা আক্তার এমপি, আদিবা আনজুম মিতা এমপি, খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন এমপি এবং আফরোজা হক এমপি অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য, ইউএনডিপি বাংলাদেশ-এর প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

এমপিদের উদ্ভাবনী পরামর্শ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে: স্পিকার

আপডেট সময় ০৬:১০:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন একটা বৈশ্বিক সমস্যা। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। অথচ এক্ষেত্রে বাংলাদেশের কোনও দায় নেই। তিনি বলেন, ‘জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় এমপিদের উদ্ভাবনী পরামর্শ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’সোমবার (১৫ মে) জাতীয় সংসদের পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় ও ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘ফাউন্ডেশনাল নলেজ এক্সচেঞ্জ অন সাপোর্টিং ক্লাইমেট অ্যাকশন থ্রো পার্লামেন্টারি অ্যাকশন’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।সোমবার সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ পরিচালক তারিক মাহমুদের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতি আ. স. ম ফিরোজ এমপি এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক।বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপি বাংলাদেশ-এর আবাসিক প্রতিনিধি ভ্যান গুয়েন।কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন— জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এমপি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম এমপি এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ এমপি।কর্মশালায় বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ মতামত প্রদান করেন আইসিসিসিডি’র পরিচালক প্রফেসর সালিমুল হক এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ মালিহা মুজাম্মিল।অনুষ্ঠানের মুক্ত আলোচনা পর্ব সঞ্চালনা করেন সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম এবং এ পর্বে সংসদ সদস্যরা মূল্যবান মতামত প্রদান করেন। স্পিকার বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সংসদ সদস্যদের সুচিন্তিত মতামত ও উদ্ভাবনী পরামর্শ খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।’ নিজ নিজ নির্বাচনি এলাকায় সংসদ সদস্যদের সবাই  অনুসরণ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনগণকে সচেতন করার জন্য লিফলেট তৈরি করে বিতরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে ভবিষ্যতের চেঞ্জ মেইকার তরুণ-তরুণীদের মেধাকে কাজে লাগাতে হবে।’তিনি আরও বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে বাংলাদেশ সবসময় অগ্রবর্তী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মুখপাত্র।’ প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সোচ্চার রয়েছেন উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, ‘‘নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশ প্রথম জলবায়ু ট্রাস্ট গঠন করে। এজন্যই জাতিসংঘের পরিবেশ-বিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’’ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘শব্দদূষণ, বায়ুদূষণ, অত্যাধিক তাপদাহের কারণ, নদীদূষণ, বৃক্ষ রোপণ, শিল্প কারখানার দূষিত পানি থেকে নদীকে রক্ষা করা, বৃষ্টি পানি ধরে রেখে পরবর্তী সময় ব্যবহার করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে সংসদ সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।’ তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্র ও নদী তীরবর্তী তৃনমূলের জনগণ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।’ এজন্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার সংসদ সদস্যদের নিয়ে কর্মশালা করে পরিকল্পনা ঠিক করতে ইউএনডিপিকে স্পিকার পরামর্শ দেন।কর্মশালায় রওশন আরা মান্নান এমপি, আহসানুল ইসলাম (টিটু) এমপি, উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি, শবনম জাহান এমপি, বাসন্তী চাকমা এমপি,আরমা দত্ত এমপি, উম্মে ফাতেমা নাজমা এমপি, জাকিয়া পারভীন খানম এমপি, অপরাজিতা হক এমপি, মোছা. শামীমা আক্তার খানম এমপি, সৈয়দা রুবিনা আক্তার এমপি, আদিবা আনজুম মিতা এমপি, খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন এমপি এবং আফরোজা হক এমপি অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য, ইউএনডিপি বাংলাদেশ-এর প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।