আজ ১৭ মে বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস। রোগটি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বিশ্বজুড়ে পালিত হয় দিবসটি। উচ্চ রক্তচাপ সম্পর্কে অনেকেরই রয়েছে বিভিন্ন ভুল ধারণা। অনেকে উপসর্গ সম্পর্কেও সচেতন থাকেন না। ফলে নীরবে বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করে রোগটি। আবার কখন ওষুধ খাবেন, কতদিন খাবেন বিষয়গুলো নিয়ে দ্বিধান্বিত থাকেন অনেক রোগী। পরামর্শ দিচ্ছেন ন্যাশনাল হেলথকেয়ার নেটওয়ার্ক আদাবর শাখার পরিচালক কার্ডিওলজিস্ট ডা. মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান।
কখন প্রয়োজন ওষুধ
এটা পুরপুরি নির্ভর করে রোগীর শারীরিক অবস্থা ও বয়সের উপর। একজন চিকিৎসক রোগীর বিভিন্ন দিক পরীক্ষা করে তবেই ওষুধ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত দেন। উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে স্টেজ ওয়ান, স্টেজ টু, স্টেজ থ্রি- এভাবে ক্যাটাগরি করে নেওয়া হয় শুরুতেই। অনেক ক্ষেত্রে প্রথম থেকেই শুরু করে দেওয়া হয় ওষুধ। নির্দিষ্ট বয়সের পর উচ্চ মাত্রায় প্রেসার থাকলে সঙ্গে সঙ্গে ওষুধ শুরু করে দেওয়া হয়। এছাড়া কিডনি রোগ থাকলে বা হার্ট ও চোখে সমস্যা থাকলেও দ্রুত ওষুধ শুরু করে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ এসব ক্ষেত্রে স্ট্রোক, হার্ট ফেইলিওর বা জটিল সব রোগের ঝুঁকি থাকে। রক্তচাপের মাত্রা বেশি না হলে জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস বদলের পরামর্শ দেওয়া হয়। দুই থেকে তিন মাস ফলোআপ করা হয় রোগীকে। এরপর কোনও ইতিবাচক ফল না পাওয়া গেলে তখন ওষুধ শুরু করতে বলা হয়।
একবার ওষুধ শুরু করলে কি আজীবন খেতে হবে ওষুধ?
একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর আসলে ওষুধটা নিয়মিতই খেতে হয়। তবে আজীবন একই নিয়মে বা একই ডোজে খেতে হবে এমনটা নয়। ডোজ কমানো কিংবা বাড়ানো লাগতে পারে যেকোনো সময়। রোগী কখনোই নিজ থেকে ওষুধ বন্ধ করবেন না কিংবা ডোজ বদল করবেন না। চিকিৎসক রোগীর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে বিষয়টি নির্ধারণ করবেন।
নিয়মিত চেপআপে থাকা জরুরি
কোন বয়স থেকে নিয়মিত চেকআপ জরুরি?
একসময় ৪০ বছর এবং এরপরের সময়টাকে উচ্চ রক্তচাপের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হতো। কিন্তু আজকাল অনেক বয়সীরাও আক্রান্ত হচ্ছে এই রোগে। অনেক রোগ আগেভাগে জেঁকে বসার কারণেও উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা বাড়ছে। যেমন কারোর যদি ২৫ বছর বয়সে ডায়াবেটিস হয়, তার দ্রুত উচ্চ রক্তচাপ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। আবার কারোর ওবেসিটি থাকলেও উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হয়ে যেতে পারেন যেকোনো সময়। এখন ৩০ বছর বয়স হলেই নিয়মিত চেপআপে থাকা জরুরি।