পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে একমাত্র চারদিনের ম্যাচ হারের পর ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ৪-১ এ পরাজিত হয়েছিল বাংলাদেশ। বুধবার একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও হতাশা। ৪ উইকেটে হেরেছে স্বাগতিকরা।আগে ব্যাটিং করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করেছিল বাংলাদেশের যুবারা। সেই রান ৫ বল আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে টপকে ফেলে পাকিস্তান।রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশ দলকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় পাকিস্তান। জিসান আলমের (২৬ বলে ৫২) ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সফরকারীদের ১৬০ রানের লক্ষ্য দেয় স্বাগতিকরা। ৭ রানে ওপেনার শাহজাইব খানকে (০) ফিরিয়ে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর সাদ বেগকে নিয়ে শামিল হোসেনের ৪১ রানের জুটি এবং তৈয়ব আরিফের সাথেও করা ৪১ রানের জুটিতে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে পাকিস্তান। সাদ ২৪ ও তৈয়ব ১৬ রানের ইনিংস খেলেন।তবে শামিল ও আরাফাত মিনহাসের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৫৬ রানের জুটিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পাকিস্তান। ২২ বলে ৪১ রান করে আউট হন আরাফাত। এরপর হামজা নওয়াজ (১) বিদায় নিলেও ম্যাচ জিততে সমস্যা হয়নি পাকিস্তানের। শেষ ওভারের প্রথম বলে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে বাবর আজমদের উত্তরসূরিরা।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন শামিল। ৪৯ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান তিনি।বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে ইকবাল হোসাইন ২৩ রানে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া আরিফুল ইসলাম একটি উইকেট নিয়েছেন।এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার জিসান আলম ও মইনুল ইসলাম ৭২ রানের জুটি গড়েন। ২৬ বলে ৫২ রানের ঝড় তোলা জিসান আউট হতেই রানের গতি কিছুটা কমে যায় বাংলাদেশের। ৫ চার ও ৪ ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান এই ব্যাটার। এরপর ৩৩ বলে ২১ রান করে মইনুল আউট হলেও অধিনায়ক আহরার আমিনের রান তোলা অব্যাহত থাকে। তবে ১০ বলে ২০ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। দলের অন্যরাও দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করতে গিয়ে বড় স্কোর গড়তে পারেননি। আরিফুল ২৫ বলে ৩০ রান করে আউট হয়েছেন। মাহফুজুর ইসলাম ১৩ বলে ১১ এবং আশিকুর রহমান ১২ বলে অপরাজিত ১৮ রানের ইনিংস খেলেছেন। ব্যাটারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করেন।
পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে আহমেদ হোসেন সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নিয়েছেন।