ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo পুলিশ সপ্তাহ ২০২৫ শুরু Logo শান্তিগঞ্জ পাথারিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি আজমল হুসেন , সেক্রেটারি মোঃশেকুল ইসলাম। Logo উপাচার্যকে নিয়ে মানহানিকর বিবৃতি প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন Logo সুনামগঞ্জে ছাত্র—জনতার আন্দোলনে হামলা বিশ্বম্ভরপুর আ’লীগ সভাপতিসহ ৫ নেতা কারাগারে Logo শান্তিগঞ্জে ব্রাক শিক্ষা কর্মসূচির উদ্যোগে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত Logo ছাতকে ভারতীয় চিনি সহ এক চোরাকারবারি গ্রেফতার Logo জগন্নাথপুরে ইয়াবা সহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার Logo দোয়ারাবাজারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মী কামরুল ইসলাম গ্রেফতার Logo সুনামগঞ্জে আইন সহায়তা দিবস পালিত Logo সুনামগঞ্জে নার্সিং শিক্ষার্থীদের সড়কে বিক্ষোভ

মাদ্রাসার ৪৫ এতিমের মধ্যে ৩৩ জনই ভুয়া

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে রহমতপুর (রামভদ্রপুর) দারুস সুন্নাহ এবতেদায়ি কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় ভুয়া এতিম বানিয়ে সরকারি বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর ওই প্রতিষ্ঠানে চলতি বছরের সরকারি বরাদ্দ আটকে রাখা হয়েছে। জেলা সমাজসেবা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এতিমখানার এতিম শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি মাসে দুই হাজার টাকা করে সরকারি বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই বরাদ্দের টাকার মধ্যে খাদ্য বাবদ ১ হাজার ৬০০, পোশাক বাবদ ২০০, ওষুধ ও অন্যান্য বাবদ ২০০ টাকা। চলতি অর্থবছরে বরাদ্দের জন্য জেলার বেসরকারি এতিমখানার কর্তৃপক্ষ এতিমদের নামের তালিকা নিজ নিজ উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তার কার্যালয়ে দাখিল করে। এতিম শিশুদের এ তালিকা যাচাই-বাছাই করে নিজ নিজ উপজেলা ও শহর সমাজসেবা অধিদফতরের কার্যালয় থেকে তালিকা অনুমোদন করে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়।গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সমাজসেবা অধিদফতর থেকে জেলার পাঁচটি উপজেলার ২৬টি বেসরকারি এতিমখানার ৪১৪ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৪৯ লাখ ৬৮ হাজার বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে রহমতপুর (রামভদ্রপুর) দারুস সুন্নাহ এবতেদায়ি ও হাফেজিয়া মাদ্রাসা এবং এতিমখানার ৪৩ জন এতিম শিক্ষার্থীর জন্য ৫ লাখ ১৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি এতিমখানার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এক শিক্ষক বলেছিলেন, যদি কেউ তাদের বাবার কথা জিজ্ঞাসা করে, তখন যেন তারা বলে বাবা জীবিত নেই। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি বাড়িতে জানায়। তখন কয়েকজন অভিভাবকের সন্দেহ হয়। তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে বিষয়টি জানান। ইউএনও বিষয়টি খতিয়ে দেখতে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। এরপর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শাহিনুর আফরোজ ওই মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষার্থীদের বাবার মৃত্যু সনদ যাচাইয়ের জন্য বাগজানা ইউনিয়ন পরিষদে পাঠান। সেখানে ৪৫ জনের মধ্যে ৩৩ জনের বাবাকে জীবিত পাওয়া যায়। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির মুহতামিম আবদুল খালেক বলেন, ‘সমাজসেবা কার্যালয়ে ৮৫ জন এতিমদের নামের তালিকা দিয়েছিলাম। সেখানে সমাজসেবা কার্যালয় ৮৫ জনের মধ্যে ৪৫ জনের নামের তালিকা পাঠিয়ে দিলে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে ৪৩ জনের তালিকা অনুমোদন হয়। এর মধ্যে ৩৩ জনের মৃত্যু সনদ কাগজের সমস্যা হয়েছে সেগুলো পুনরায় ঠিক করা হচ্ছে।’পাঁচবিবি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শাহিনুর আফরোজ বলেন, ‘দুই ধরনের এতিম রয়েছে। ১৮ বছর পর্যন্ত যেসব শিশুদের বাবা জীবিত নেই তারাই এতিম। আবার মা-বাবা দুজনই জীবিত আছেন কিন্তু সন্তান পরিত্যক্ত। এই শিশুও এতিম। রহমতপুর (রামভদ্রপুর) দারুস সুন্নাহ এবতেদায়ি কওমি মাদ্রাসা এবং এতিমখানার ৪৫ জন এতিম শিক্ষার্থীর নামের তালিকা ও তাদের বাবার মৃত্যু সনদ জমা দিয়েছিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ৪৩ জনের বরাদ্দ এসেছে। দুজন বাদ পড়েছে। তবে সরেজমিন তদন্ত ও অনলাইনে মৃত্যু সনদ যাচাই করে মাত্র ১২ জন শিক্ষার্থীর বাবার মৃত্যু সনদ পাওয়া গেছে। ৩৩ জন শিক্ষার্থীর বাবা জীবিত রয়েছেন। এই ৩৩ জন শিক্ষার্থীর বাবার ভুয়া মৃত্যু সনদ তৈরি করা হয়েছে।’এতিমখানার পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, ‘জীবিত থাকার পরও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আমাকে মৃত্যু সনদে মৃত দেখিয়ে আমার সন্তানকে এতিম বানিয়ে অর্থ বরাদ্দ নিয়েছে। এমন ঘৃণিত কাজ মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের ঠিক হয়নি। মাদ্রাসা একটি পবিত্র প্রতিষ্ঠান। সেই প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ যদি অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে তাহলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়। আমরা অভিভাবকরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’বাগজানা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সমাজসেবা অধিদফতর থেকে রহমতপুর (রামভদ্রপুর) দারুস সুন্নাহ এবতেদায়ি কওমি মাদ্রাসা এবং এতিমখানার ৪৫ জন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্ম ও মৃত্যু সনদ যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল। যাচাই শেষে ৩৩ জন শিক্ষার্থীর বাবা জীবিত থাকলেও তাদের ভুয়া মৃত্যু সনদ তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে।’এ বিষয়ে বাগজানা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নাজমুল হোসেন বলেন, ‘জন্ম ও মৃত্যু সনদ অনলাইনে যাচাই করা যায়। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তারা এতিমদের তালিকা অনুমোদনের আগে মৃত্যু সনদগুলো অনলাইনে যাচাই করতে পারতেন। যদি তখন যাচাই করা হতো, তখনই সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসত। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা দরকার।’জয়পুরহাট সমাজসেবা অধিদফতরের সহকারি পরিচালক সালেকুল ইসলাম বলেন, ‘মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বেশ কিছু শিক্ষার্থীর বাবা জীবিত আছেন। কিন্তু তাদের ভুয়া মৃত্যু সনদ দিয়ে এতিম বানানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত চলছে। এ কারণে চলতি বছরের ওই মাদ্রাসার এতিমদের নামে আসা বরাদ্দ ছাড় করা হয়নি। শুধু এই মাদ্রাসার না৷ জেলার অন্যান্য এতিমখানার কাগজপত্র যাচাই বাছাইয়ের কাজ চলছে। আর অপরাধীদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশ সপ্তাহ ২০২৫ শুরু

মাদ্রাসার ৪৫ এতিমের মধ্যে ৩৩ জনই ভুয়া

আপডেট সময় ০৫:০৩:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে রহমতপুর (রামভদ্রপুর) দারুস সুন্নাহ এবতেদায়ি কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় ভুয়া এতিম বানিয়ে সরকারি বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর ওই প্রতিষ্ঠানে চলতি বছরের সরকারি বরাদ্দ আটকে রাখা হয়েছে। জেলা সমাজসেবা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এতিমখানার এতিম শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি মাসে দুই হাজার টাকা করে সরকারি বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই বরাদ্দের টাকার মধ্যে খাদ্য বাবদ ১ হাজার ৬০০, পোশাক বাবদ ২০০, ওষুধ ও অন্যান্য বাবদ ২০০ টাকা। চলতি অর্থবছরে বরাদ্দের জন্য জেলার বেসরকারি এতিমখানার কর্তৃপক্ষ এতিমদের নামের তালিকা নিজ নিজ উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তার কার্যালয়ে দাখিল করে। এতিম শিশুদের এ তালিকা যাচাই-বাছাই করে নিজ নিজ উপজেলা ও শহর সমাজসেবা অধিদফতরের কার্যালয় থেকে তালিকা অনুমোদন করে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়।গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সমাজসেবা অধিদফতর থেকে জেলার পাঁচটি উপজেলার ২৬টি বেসরকারি এতিমখানার ৪১৪ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৪৯ লাখ ৬৮ হাজার বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে রহমতপুর (রামভদ্রপুর) দারুস সুন্নাহ এবতেদায়ি ও হাফেজিয়া মাদ্রাসা এবং এতিমখানার ৪৩ জন এতিম শিক্ষার্থীর জন্য ৫ লাখ ১৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি এতিমখানার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এক শিক্ষক বলেছিলেন, যদি কেউ তাদের বাবার কথা জিজ্ঞাসা করে, তখন যেন তারা বলে বাবা জীবিত নেই। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি বাড়িতে জানায়। তখন কয়েকজন অভিভাবকের সন্দেহ হয়। তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে বিষয়টি জানান। ইউএনও বিষয়টি খতিয়ে দেখতে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। এরপর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শাহিনুর আফরোজ ওই মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষার্থীদের বাবার মৃত্যু সনদ যাচাইয়ের জন্য বাগজানা ইউনিয়ন পরিষদে পাঠান। সেখানে ৪৫ জনের মধ্যে ৩৩ জনের বাবাকে জীবিত পাওয়া যায়। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির মুহতামিম আবদুল খালেক বলেন, ‘সমাজসেবা কার্যালয়ে ৮৫ জন এতিমদের নামের তালিকা দিয়েছিলাম। সেখানে সমাজসেবা কার্যালয় ৮৫ জনের মধ্যে ৪৫ জনের নামের তালিকা পাঠিয়ে দিলে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে ৪৩ জনের তালিকা অনুমোদন হয়। এর মধ্যে ৩৩ জনের মৃত্যু সনদ কাগজের সমস্যা হয়েছে সেগুলো পুনরায় ঠিক করা হচ্ছে।’পাঁচবিবি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শাহিনুর আফরোজ বলেন, ‘দুই ধরনের এতিম রয়েছে। ১৮ বছর পর্যন্ত যেসব শিশুদের বাবা জীবিত নেই তারাই এতিম। আবার মা-বাবা দুজনই জীবিত আছেন কিন্তু সন্তান পরিত্যক্ত। এই শিশুও এতিম। রহমতপুর (রামভদ্রপুর) দারুস সুন্নাহ এবতেদায়ি কওমি মাদ্রাসা এবং এতিমখানার ৪৫ জন এতিম শিক্ষার্থীর নামের তালিকা ও তাদের বাবার মৃত্যু সনদ জমা দিয়েছিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ৪৩ জনের বরাদ্দ এসেছে। দুজন বাদ পড়েছে। তবে সরেজমিন তদন্ত ও অনলাইনে মৃত্যু সনদ যাচাই করে মাত্র ১২ জন শিক্ষার্থীর বাবার মৃত্যু সনদ পাওয়া গেছে। ৩৩ জন শিক্ষার্থীর বাবা জীবিত রয়েছেন। এই ৩৩ জন শিক্ষার্থীর বাবার ভুয়া মৃত্যু সনদ তৈরি করা হয়েছে।’এতিমখানার পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, ‘জীবিত থাকার পরও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আমাকে মৃত্যু সনদে মৃত দেখিয়ে আমার সন্তানকে এতিম বানিয়ে অর্থ বরাদ্দ নিয়েছে। এমন ঘৃণিত কাজ মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের ঠিক হয়নি। মাদ্রাসা একটি পবিত্র প্রতিষ্ঠান। সেই প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ যদি অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে তাহলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়। আমরা অভিভাবকরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’বাগজানা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সমাজসেবা অধিদফতর থেকে রহমতপুর (রামভদ্রপুর) দারুস সুন্নাহ এবতেদায়ি কওমি মাদ্রাসা এবং এতিমখানার ৪৫ জন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্ম ও মৃত্যু সনদ যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল। যাচাই শেষে ৩৩ জন শিক্ষার্থীর বাবা জীবিত থাকলেও তাদের ভুয়া মৃত্যু সনদ তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে।’এ বিষয়ে বাগজানা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নাজমুল হোসেন বলেন, ‘জন্ম ও মৃত্যু সনদ অনলাইনে যাচাই করা যায়। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তারা এতিমদের তালিকা অনুমোদনের আগে মৃত্যু সনদগুলো অনলাইনে যাচাই করতে পারতেন। যদি তখন যাচাই করা হতো, তখনই সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসত। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা দরকার।’জয়পুরহাট সমাজসেবা অধিদফতরের সহকারি পরিচালক সালেকুল ইসলাম বলেন, ‘মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বেশ কিছু শিক্ষার্থীর বাবা জীবিত আছেন। কিন্তু তাদের ভুয়া মৃত্যু সনদ দিয়ে এতিম বানানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত চলছে। এ কারণে চলতি বছরের ওই মাদ্রাসার এতিমদের নামে আসা বরাদ্দ ছাড় করা হয়নি। শুধু এই মাদ্রাসার না৷ জেলার অন্যান্য এতিমখানার কাগজপত্র যাচাই বাছাইয়ের কাজ চলছে। আর অপরাধীদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’