নেতাদের সাজা দিয়ে চলমান আন্দোলনকে বন্ধ করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে দেওয়া বিচারিক আদালতের সাজা উচ্চ আদালতের বহাল রাখার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার (৩০ মে) শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘এই মামলাগুলোর রায় দেওয়া থেকে বোঝা যায় যে এই সরকার সম্পূর্ণ রাষ্ট্রযন্ত্রকে দখল করে নিয়েছে, বিচার ব্যবস্থাকে দখল করে নিয়েছে। ফরমায়েশি রায় দিয়ে যারা গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতো তাদের কারাগারে পাঠিয়ে আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে চাইছে। এটা আজকের ব্যাপার নয়, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে তারা একই কাজ করছে।’
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও আমান উল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে আদতের রায়ের নিন্দা জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা ক্ষোভ প্রকাশ করছি। আমরা মনে করি যে এটা একটা ফরমায়েশি রায়। এই ধরনের রায় দিয়ে কোনোদিন গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না। জনগণ তাদের অধিকার অবশ্যই আদায় করবে।’
মিথ্যা মামলায় নেতাদের সাজা দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার দেশের জনগণকে গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে দূরে রাখা, রাজনীতি থেকে দূরে রাখা এবং সত্যিকার অর্থে এখানে যেন সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন না হতে পারে, তারা যেন একদলীয় নির্বাচন আবার করতে পারে সেই লক্ষ্যে সরকার এসব কাজ করছে। কিন্তু এবার জনগণ এটা করতে দেবে না।’
উল্লেখ্য মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপির ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং আমান উল্লাহ আমান দম্পত্তির আপিল খারিজ করে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ৯ বছরের কারাদণ্ড এবং আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের তিন বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখার আদেশ দেন।