ভোর থেকে রাজধানীর অনেক এলাকার আকাশ গুমট হয়ে থাকলেও বৃষ্টি হয়নি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোথাও কোথাও রোদও দেখা যায়। এরপর সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ আবার আকাশ অন্ধকার হয়ে আসে। এরপর শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি, কমে আসে তাপমাত্রা। ঢাকার মতো মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইতোমধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশে বিস্তার লাভ করেছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এই বৃষ্টিতে রাজশাহী ও পাবনা জেলাসহ খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কমে আসতে পারে। একইভাবে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
এদিকে আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর গুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম সিলেট অঞ্চলগুলোর উপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটারবেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ১১৭ মিলিমিটার। এছাড়া পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১১৩, সিলেটে ৭৬, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ৪৮, কুতুবদিয়ায় ৩৪, কক্সবাজারে ৩১, নোয়াখালীর মাইজদী কোর্টে ২৬, নওগাঁর বদলগাছি ও নীলফামারীর ডিমলায় ২৫, নীলফামারীর সৈয়দপুরে ২৩, ফেনীতে ২১, রাঙামাটিতে ১৬, সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ১৫, বান্দরবানে ১৩, টেকনাফে ১০, সিলেটের শ্রীমঙ্গলে ৭, চট্টগ্রামে ৬, নোয়াখালীর হাতিয়া ও কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৩, চাঁদপুর ও রংপুরে ২, মোংলা, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালীর খেপুপাড়া, নেত্রকোনা, দিনাজপুর ও বগুড়ায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।