ঢাকা , বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo সুনামগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর গণমিছিল অনুষ্ঠিত Logo ছাতকের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আনন্দ মিছিল করলো জামায়াতে ইসলামী Logo মধ্যনগরে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ও ইসলামী আন্দোলনের যৌথ উদ্যোগে ৩৬ জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত। Logo শান্তিগঞ্জে জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তিতে জমিয়তের ঐতিহাসিক গণমিছিল ও আলোচনাসভা Logo গণঅভ্যুত্থান দিবসে শান্তিগঞ্জে বিএনপির গণজোয়ার:ব্যারিস্টার আনোয়ারই জনআস্থার নাম Logo গণজাগরণে শান্তিগঞ্জ, চেতনায় ৩৬ জুলাই—জামায়াতের বিশাল মিছিল Logo শান্তিগঞ্জে এসইডিপি প্রকল্পের উদ্যােগে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ Logo শান্তিগঞ্জে আসন্ন ঝুলন যাত্রা সফল করতে প্রশাসন ও সব মহলের ঐক্যবদ্ধ প্রতিশ্রুতি Logo পশ্চিম বীরগাঁও বিএনপি কমিটিতে তোফায়েল ও জসীম, ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ Logo বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে শান্তিগঞ্জে তৃণমূলের জাগরণ

কুড়িগ্রামে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, বন্যার কবলে মানুষ

টানা কয়েকদিন ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামের সবকটি নদ-নদীর পানি প্রবাহ বেড়েছে। এতে প্লাবিত হয়েছে চর ও নিম্নাঞ্চলগুলো। নতুন নতুন চর প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ১০ হাজার মানুষ।

ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছেন পানিবন্দি হাজারো মানুষ। ভোগান্তিতে পড়া মানুষদের চলাচলের জন্য নৌকা আর কলা গাছের ভেলাই ভরসা। এ ছাড়া চারণ ভূমি তলিয়ে গো খাদ্যের সংকটও দেখা দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ সবকটি নদ-নদীর পানি আরও বাড়ছে। এতে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার উলিপুর ও সদর উপজেলার মুসার চর, পুর্ববালাডোবার চর, ফকিরের চর, পোড়ার চরসহ কয়েকটি চরের ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। এসব চরে বসবাসকারী মানুষজন চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। অনেকেই দিনের বেলা ঘর-বাড়ি ছেড়ে উঁচু জায়গায় অবস্থান করলেও কোনো কোনো পরিবারের দিন কাটছে নৌকায়। পানিবন্দি এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের সংকট আরও প্রকট হচ্ছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন চর প্লাবিত হচ্ছে। ফলে দুর্ভোগ আরও বাড়ছে।

মুসার চরের মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, পরশু দিন থেকে পানি বাড়ছে। ঘর বাড়িতে পানি উঠছে। আশপাশে কোনো উঁচু জায়গা নেই। গরু, ছাগল মাটির ডিবি করে উপরে রাখছি। আমাদের কষ্ট শুরু হলো।

একই এলাকার আছিয়া বেগম বলেন, গত মাসে নদী ভেঙে এ চরে আসছি। জমি-জমা নেই, নিচু জায়গায় বাড়ি করা ছাড়া উপায় ছিল না। বাচ্চাদের নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তা হয়। কখন না জানি কোন অঘটন ঘটে। পানি খুবই বাড়তেছে, এখন থাকা আর খাওয়ার কষ্ট খুব হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আগামী ২২ ও ২৩ জুন প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে। এসময় সাময়িক বন্যা হতে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদি বন্যা হওয়ার ভয় নেই।

জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ বলেন, বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলায় ৫৪১ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১০ লাখ ২১ হাজার টাকা ও শুকনো খাবার মজুত রয়েছে। এরই মধ্যে বিতরণের কাজ শুরু হয়েছে। যেখানে প্রয়োজন হবে তাৎক্ষণিকভাবে বিতরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

সুনামগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর গণমিছিল অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, বন্যার কবলে মানুষ

আপডেট সময় ১২:৩৬:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩

টানা কয়েকদিন ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামের সবকটি নদ-নদীর পানি প্রবাহ বেড়েছে। এতে প্লাবিত হয়েছে চর ও নিম্নাঞ্চলগুলো। নতুন নতুন চর প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ১০ হাজার মানুষ।

ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছেন পানিবন্দি হাজারো মানুষ। ভোগান্তিতে পড়া মানুষদের চলাচলের জন্য নৌকা আর কলা গাছের ভেলাই ভরসা। এ ছাড়া চারণ ভূমি তলিয়ে গো খাদ্যের সংকটও দেখা দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ সবকটি নদ-নদীর পানি আরও বাড়ছে। এতে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার উলিপুর ও সদর উপজেলার মুসার চর, পুর্ববালাডোবার চর, ফকিরের চর, পোড়ার চরসহ কয়েকটি চরের ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। এসব চরে বসবাসকারী মানুষজন চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। অনেকেই দিনের বেলা ঘর-বাড়ি ছেড়ে উঁচু জায়গায় অবস্থান করলেও কোনো কোনো পরিবারের দিন কাটছে নৌকায়। পানিবন্দি এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের সংকট আরও প্রকট হচ্ছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন চর প্লাবিত হচ্ছে। ফলে দুর্ভোগ আরও বাড়ছে।

মুসার চরের মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, পরশু দিন থেকে পানি বাড়ছে। ঘর বাড়িতে পানি উঠছে। আশপাশে কোনো উঁচু জায়গা নেই। গরু, ছাগল মাটির ডিবি করে উপরে রাখছি। আমাদের কষ্ট শুরু হলো।

একই এলাকার আছিয়া বেগম বলেন, গত মাসে নদী ভেঙে এ চরে আসছি। জমি-জমা নেই, নিচু জায়গায় বাড়ি করা ছাড়া উপায় ছিল না। বাচ্চাদের নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তা হয়। কখন না জানি কোন অঘটন ঘটে। পানি খুবই বাড়তেছে, এখন থাকা আর খাওয়ার কষ্ট খুব হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আগামী ২২ ও ২৩ জুন প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে। এসময় সাময়িক বন্যা হতে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদি বন্যা হওয়ার ভয় নেই।

জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ বলেন, বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলায় ৫৪১ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১০ লাখ ২১ হাজার টাকা ও শুকনো খাবার মজুত রয়েছে। এরই মধ্যে বিতরণের কাজ শুরু হয়েছে। যেখানে প্রয়োজন হবে তাৎক্ষণিকভাবে বিতরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।