ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের রফিনগর গ্রামের সাজ্জাতুলের বাড়িঘরে হামলা,ভাংচুর লুটপাঠসহ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ভাংচুরের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত -নিহতদের স্মরণে দোয়ারাবাজারে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত Logo অন্তবর্তীকালীন সরকার পতনের ষড়যন্ত্র গোপন বৈঠকে থাকা ছাত্রলীগের ৩৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি Logo শান্তিগঞ্জে বিনামূল্যে গরু বিতরণের লক্ষ্যে অবহিতকরণ সভা ও প্রশিক্ষণ Logo দোয়ারাবাজারে সরকারি গাছ কর্তন।। জব্দ করলো প্রশাসন Logo শান্তিগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা  Logo ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে তাহিরপুরে’স্মরণ সভা’ Logo ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে শান্তিগঞ্জে ‘স্মরণ সভা’ Logo চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ বাম্পার ফলনে শান্তিগঞ্জের কৃষকের মুখে হাসি Logo জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা

কুড়িগ্রামে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, বন্যার কবলে মানুষ

টানা কয়েকদিন ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামের সবকটি নদ-নদীর পানি প্রবাহ বেড়েছে। এতে প্লাবিত হয়েছে চর ও নিম্নাঞ্চলগুলো। নতুন নতুন চর প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ১০ হাজার মানুষ।

ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছেন পানিবন্দি হাজারো মানুষ। ভোগান্তিতে পড়া মানুষদের চলাচলের জন্য নৌকা আর কলা গাছের ভেলাই ভরসা। এ ছাড়া চারণ ভূমি তলিয়ে গো খাদ্যের সংকটও দেখা দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ সবকটি নদ-নদীর পানি আরও বাড়ছে। এতে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার উলিপুর ও সদর উপজেলার মুসার চর, পুর্ববালাডোবার চর, ফকিরের চর, পোড়ার চরসহ কয়েকটি চরের ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। এসব চরে বসবাসকারী মানুষজন চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। অনেকেই দিনের বেলা ঘর-বাড়ি ছেড়ে উঁচু জায়গায় অবস্থান করলেও কোনো কোনো পরিবারের দিন কাটছে নৌকায়। পানিবন্দি এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের সংকট আরও প্রকট হচ্ছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন চর প্লাবিত হচ্ছে। ফলে দুর্ভোগ আরও বাড়ছে।

মুসার চরের মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, পরশু দিন থেকে পানি বাড়ছে। ঘর বাড়িতে পানি উঠছে। আশপাশে কোনো উঁচু জায়গা নেই। গরু, ছাগল মাটির ডিবি করে উপরে রাখছি। আমাদের কষ্ট শুরু হলো।

একই এলাকার আছিয়া বেগম বলেন, গত মাসে নদী ভেঙে এ চরে আসছি। জমি-জমা নেই, নিচু জায়গায় বাড়ি করা ছাড়া উপায় ছিল না। বাচ্চাদের নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তা হয়। কখন না জানি কোন অঘটন ঘটে। পানি খুবই বাড়তেছে, এখন থাকা আর খাওয়ার কষ্ট খুব হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আগামী ২২ ও ২৩ জুন প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে। এসময় সাময়িক বন্যা হতে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদি বন্যা হওয়ার ভয় নেই।

জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ বলেন, বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলায় ৫৪১ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১০ লাখ ২১ হাজার টাকা ও শুকনো খাবার মজুত রয়েছে। এরই মধ্যে বিতরণের কাজ শুরু হয়েছে। যেখানে প্রয়োজন হবে তাৎক্ষণিকভাবে বিতরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের রফিনগর গ্রামের সাজ্জাতুলের বাড়িঘরে হামলা,ভাংচুর লুটপাঠসহ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ভাংচুরের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন

কুড়িগ্রামে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, বন্যার কবলে মানুষ

আপডেট সময় ১২:৩৬:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩

টানা কয়েকদিন ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামের সবকটি নদ-নদীর পানি প্রবাহ বেড়েছে। এতে প্লাবিত হয়েছে চর ও নিম্নাঞ্চলগুলো। নতুন নতুন চর প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ১০ হাজার মানুষ।

ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছেন পানিবন্দি হাজারো মানুষ। ভোগান্তিতে পড়া মানুষদের চলাচলের জন্য নৌকা আর কলা গাছের ভেলাই ভরসা। এ ছাড়া চারণ ভূমি তলিয়ে গো খাদ্যের সংকটও দেখা দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ সবকটি নদ-নদীর পানি আরও বাড়ছে। এতে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার উলিপুর ও সদর উপজেলার মুসার চর, পুর্ববালাডোবার চর, ফকিরের চর, পোড়ার চরসহ কয়েকটি চরের ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। এসব চরে বসবাসকারী মানুষজন চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। অনেকেই দিনের বেলা ঘর-বাড়ি ছেড়ে উঁচু জায়গায় অবস্থান করলেও কোনো কোনো পরিবারের দিন কাটছে নৌকায়। পানিবন্দি এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের সংকট আরও প্রকট হচ্ছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন চর প্লাবিত হচ্ছে। ফলে দুর্ভোগ আরও বাড়ছে।

মুসার চরের মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, পরশু দিন থেকে পানি বাড়ছে। ঘর বাড়িতে পানি উঠছে। আশপাশে কোনো উঁচু জায়গা নেই। গরু, ছাগল মাটির ডিবি করে উপরে রাখছি। আমাদের কষ্ট শুরু হলো।

একই এলাকার আছিয়া বেগম বলেন, গত মাসে নদী ভেঙে এ চরে আসছি। জমি-জমা নেই, নিচু জায়গায় বাড়ি করা ছাড়া উপায় ছিল না। বাচ্চাদের নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তা হয়। কখন না জানি কোন অঘটন ঘটে। পানি খুবই বাড়তেছে, এখন থাকা আর খাওয়ার কষ্ট খুব হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আগামী ২২ ও ২৩ জুন প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে। এসময় সাময়িক বন্যা হতে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদি বন্যা হওয়ার ভয় নেই।

জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ বলেন, বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলায় ৫৪১ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১০ লাখ ২১ হাজার টাকা ও শুকনো খাবার মজুত রয়েছে। এরই মধ্যে বিতরণের কাজ শুরু হয়েছে। যেখানে প্রয়োজন হবে তাৎক্ষণিকভাবে বিতরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।