ঢাকা , বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo নিবন্ধন পেল অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘দ্য নিউজ ২৪ ডটকম’ Logo পুরাতন ভিডিও নিয়ে অপপ্রচার: গাগলি গ্রামে উত্তেজনা, স্বপন মিয়া দাবি অস্বীকার Logo শান্তিগঞ্জে জমজমাট ফুটবল প্রীতি ম্যাচ: ট্রাইবেকারে জয় পায় পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়ন Logo সুনামগঞ্জ-৩ আসনে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মাওলানা সোহেল আহমদ Logo সুনামগঞ্জে এনসিপির নেতৃত্বে হাছন রাজার বংশধর Logo পাথারিয়া ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ড বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত Logo ঢাকা জামায়াতের মহাসমাবেশ উপলক্ষে পাথারিয়া ইউপি জামায়াতের প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন Logo শান্তিগঞ্জের সুরমা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে হতাশাজনক এসএসসি ফলাফল পাশের হার মাত্র ৬০.১২%, শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মাঝে চরম অসন্তোষ Logo সিলেটে পাসের হার ৬৮.৫৭, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৬১৪ জন Logo এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫, কমেছে জিপিএ-৫

চাচি-ভাতিজার বিয়ের অপরাধে গ্রেফতার ৬

বগুড়ার শিবগঞ্জে গ্রাম্য সালিশে দোররা মেরে চাচি-ভাতিজার বিয়ের ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে রোববার সকালে আটমুল ইউনিয়নের একটি গ্রামে অনৈতিক কাজের অভিযোগ এনে গ্রাম্য সালিশ বসানো হয়। সেখানে দোররা মেরে চাচি-ভাতিজার বিয়ে দেওয়া হয়। পরে সোমবার রাতে ওই নারী বাদী হয়ে আটজনের বিরুদ্ধে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন। আসামিদের মধ্যে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও মসজিদের ইমামও আছেন।

মামলা দায়েরের পরই সোমবার দিবাগত রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইউপি সদস্য ও ইমামসহ ছয় আসামিকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতাররা হলেন শিবগঞ্জ উপজেলার আটমুল ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য জিল্লুর রহমান, পশ্চিম জাহাঙ্গীরাবাদ জামে মসজিদের ইমাম শাহিনুর রহমান, কাজির সহকারী ইলিয়াস আলী ফকির, মালোগাড়ি গ্রামের মোজাফফর মন্ডল, তোজাম মন্ডল এবং মোজাম্মেল হক।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তোভোগী ওই নারীর স্বামী প্রবাসে থাকেন। শনিবার (৮ জুলাই) রাত ১১টার দিকে প্রতিবেশী ভাতিজা আব্দুল মমিনকে তিনি সাংসারিক কাজে বাড়িতে ডাকেন। এ সময় গ্রামের লোকজন অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুলে তাদের সারারাত আটকে রাখেন। পরদিন রোববার (৯ জুলাই) গ্রাম্য সালিশ বসিয়ে দুজনকে ঘর থেকে বের করে মারপিট করা হয়।

এই সময় প্রবাসে থাকা স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করার পর মসজিদের ইমাম শাহিনুর দুজনকেই ১০১টি করে দোররা মারার নির্দেশ দেন। এরপর আজাদুল ইসলাম নামে গ্রামের এক বাসিন্দা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে চাচি-ভাতিজাকে দোররা মারেন। পরে দুই লাখ টাকা মোহরানা নির্ধারণ করে প্রতিবেশী ভাতিজা আব্দুল মোমিনের সঙ্গে ওই নারীর বিয়ে দেওয়া হয়।

শিবগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, মামলা দায়েরের পরই অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মঙ্গলবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পলাতক বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

নিবন্ধন পেল অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘দ্য নিউজ ২৪ ডটকম’

চাচি-ভাতিজার বিয়ের অপরাধে গ্রেফতার ৬

আপডেট সময় ০৫:৫৭:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০২৩

বগুড়ার শিবগঞ্জে গ্রাম্য সালিশে দোররা মেরে চাচি-ভাতিজার বিয়ের ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে রোববার সকালে আটমুল ইউনিয়নের একটি গ্রামে অনৈতিক কাজের অভিযোগ এনে গ্রাম্য সালিশ বসানো হয়। সেখানে দোররা মেরে চাচি-ভাতিজার বিয়ে দেওয়া হয়। পরে সোমবার রাতে ওই নারী বাদী হয়ে আটজনের বিরুদ্ধে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন। আসামিদের মধ্যে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও মসজিদের ইমামও আছেন।

মামলা দায়েরের পরই সোমবার দিবাগত রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইউপি সদস্য ও ইমামসহ ছয় আসামিকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতাররা হলেন শিবগঞ্জ উপজেলার আটমুল ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য জিল্লুর রহমান, পশ্চিম জাহাঙ্গীরাবাদ জামে মসজিদের ইমাম শাহিনুর রহমান, কাজির সহকারী ইলিয়াস আলী ফকির, মালোগাড়ি গ্রামের মোজাফফর মন্ডল, তোজাম মন্ডল এবং মোজাম্মেল হক।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তোভোগী ওই নারীর স্বামী প্রবাসে থাকেন। শনিবার (৮ জুলাই) রাত ১১টার দিকে প্রতিবেশী ভাতিজা আব্দুল মমিনকে তিনি সাংসারিক কাজে বাড়িতে ডাকেন। এ সময় গ্রামের লোকজন অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুলে তাদের সারারাত আটকে রাখেন। পরদিন রোববার (৯ জুলাই) গ্রাম্য সালিশ বসিয়ে দুজনকে ঘর থেকে বের করে মারপিট করা হয়।

এই সময় প্রবাসে থাকা স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করার পর মসজিদের ইমাম শাহিনুর দুজনকেই ১০১টি করে দোররা মারার নির্দেশ দেন। এরপর আজাদুল ইসলাম নামে গ্রামের এক বাসিন্দা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে চাচি-ভাতিজাকে দোররা মারেন। পরে দুই লাখ টাকা মোহরানা নির্ধারণ করে প্রতিবেশী ভাতিজা আব্দুল মোমিনের সঙ্গে ওই নারীর বিয়ে দেওয়া হয়।

শিবগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, মামলা দায়েরের পরই অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মঙ্গলবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পলাতক বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।