ঢাকা , সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo দিরাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে কোন অনিয়ম দালালির সাথে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে Logo ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব! Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের উদ্যোগে সিরাত মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান Logo অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি নয়, বিধবা কার্ড বাতিলের অভিযোগ Logo বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় সীমান্তিকের উদ্যাগে বিশ্ব গর্ভনিরোধ দিবস উদযাপন Logo সিলেটে পাথরবাহী ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ঔষধ কোম্পানীর এরিয়া ম্যানেজার নিহত Logo পাথারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃআলী নেওয়াজের ইন্তেকাল Logo শান্তিগঞ্জে শিক্ষার মানোন্নয়নে একত্রে তিনটি বিদ্যালয়ের অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী আর নেই Logo দুর্যোগ ব্যবস্থা কমিটির সভা

স্বামী হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক স্ত্রী গ্রেফতার

নোয়াখালী সদরে স্বামী আবু সোলায়মান মুহুরীকে হত্যার দুই যুগ পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত স্ত্রী রহিমা আক্তার ধনিকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার রহিমা আক্তার ধনি নোয়াখালী পৌরসভার চন্দ্রপুর নীলকুঠির মৃত আবু সোলায়মান মুহুরীর স্ত্রী। তিনি মামলার ১০ বছর পর ২০০৮ সালে জামিনে বের হয়ে পলাতক ছিলেন।

র্যাব-১১ (সিপিসি-৩) নোয়াখালী কার্যালয়ের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান গ্রেফতারের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, স্বামী হত্যায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত স্ত্রী রহিমা আক্তার ধনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে সদর উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালের ৭ মার্চ স্বামী অপহরণ হয়েছে বলে সুধারাম মডেল থানায় মামলা করেন স্ত্রী রহিমা আক্তার ধনি। মামলার তদন্তকারী সিআইডি কর্মকর্তা লুৎফুর রহমান মামলার এক বছর পর ১৯৯৮ সালে ২৮ মে একটি অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করেন। মরদেহটি সোলেমান মুহুরীর বলে শনাক্ত করে তার পরিবার। পরে মামলার বাদী স্ত্রী রহিমা আক্তারসহ ৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ।

চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় রহিমা আক্তারসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন আদালত। সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন, বেগমগঞ্জ উপজেলার রায়কৃষ্ণপুর গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে হেঞ্জু মিয়া (৫০) ও সুধারাম থানার আনোয়ার উল্লাহর ছেলে গৃহশিক্ষক সামছুদ্দিন (৪০)। আসামিরা ১৯৯৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সোলেমান মুহুরীকে সুধারাম মডেল থানার চন্দ্রপুর এলাকার নীলকুঠি নামক বাড়িতে হত্যা করে মরদেহ গুম করে রাখেন বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

দিরাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে কোন অনিয়ম দালালির সাথে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে

স্বামী হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক স্ত্রী গ্রেফতার

আপডেট সময় ০৭:২৭:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩

নোয়াখালী সদরে স্বামী আবু সোলায়মান মুহুরীকে হত্যার দুই যুগ পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত স্ত্রী রহিমা আক্তার ধনিকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার রহিমা আক্তার ধনি নোয়াখালী পৌরসভার চন্দ্রপুর নীলকুঠির মৃত আবু সোলায়মান মুহুরীর স্ত্রী। তিনি মামলার ১০ বছর পর ২০০৮ সালে জামিনে বের হয়ে পলাতক ছিলেন।

র্যাব-১১ (সিপিসি-৩) নোয়াখালী কার্যালয়ের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান গ্রেফতারের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, স্বামী হত্যায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত স্ত্রী রহিমা আক্তার ধনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে সদর উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালের ৭ মার্চ স্বামী অপহরণ হয়েছে বলে সুধারাম মডেল থানায় মামলা করেন স্ত্রী রহিমা আক্তার ধনি। মামলার তদন্তকারী সিআইডি কর্মকর্তা লুৎফুর রহমান মামলার এক বছর পর ১৯৯৮ সালে ২৮ মে একটি অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করেন। মরদেহটি সোলেমান মুহুরীর বলে শনাক্ত করে তার পরিবার। পরে মামলার বাদী স্ত্রী রহিমা আক্তারসহ ৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ।

চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় রহিমা আক্তারসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন আদালত। সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন, বেগমগঞ্জ উপজেলার রায়কৃষ্ণপুর গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে হেঞ্জু মিয়া (৫০) ও সুধারাম থানার আনোয়ার উল্লাহর ছেলে গৃহশিক্ষক সামছুদ্দিন (৪০)। আসামিরা ১৯৯৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সোলেমান মুহুরীকে সুধারাম মডেল থানার চন্দ্রপুর এলাকার নীলকুঠি নামক বাড়িতে হত্যা করে মরদেহ গুম করে রাখেন বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেন।