ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা Logo বালি মহালে ইজারা পদ্বতি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন Logo ছাতকে আওয়ামিলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার Logo পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্ত ও নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুরের ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দকে শিবির কর্মী বলে প্রচারণা চালানোয় জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ। Logo শান্তিগঞ্জের জয়সিদ্ধি-বসিউয়াখাউরী গ্রামে বিএনপির কর্মী সভা Logo জগন্নাথপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুর উপজেলার ৬ নং রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর কমিটি গঠন Logo পরিবেশ নষ্ট করে কোন বাঁধ নির্মাণ হবেনা – পরিবেশ উপদেষ্টা Logo হাওরের জন্য সরকারের মাস্টার প্লান আছে- উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

স্বামী হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক স্ত্রী গ্রেফতার

নোয়াখালী সদরে স্বামী আবু সোলায়মান মুহুরীকে হত্যার দুই যুগ পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত স্ত্রী রহিমা আক্তার ধনিকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার রহিমা আক্তার ধনি নোয়াখালী পৌরসভার চন্দ্রপুর নীলকুঠির মৃত আবু সোলায়মান মুহুরীর স্ত্রী। তিনি মামলার ১০ বছর পর ২০০৮ সালে জামিনে বের হয়ে পলাতক ছিলেন।

র্যাব-১১ (সিপিসি-৩) নোয়াখালী কার্যালয়ের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান গ্রেফতারের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, স্বামী হত্যায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত স্ত্রী রহিমা আক্তার ধনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে সদর উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালের ৭ মার্চ স্বামী অপহরণ হয়েছে বলে সুধারাম মডেল থানায় মামলা করেন স্ত্রী রহিমা আক্তার ধনি। মামলার তদন্তকারী সিআইডি কর্মকর্তা লুৎফুর রহমান মামলার এক বছর পর ১৯৯৮ সালে ২৮ মে একটি অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করেন। মরদেহটি সোলেমান মুহুরীর বলে শনাক্ত করে তার পরিবার। পরে মামলার বাদী স্ত্রী রহিমা আক্তারসহ ৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ।

চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় রহিমা আক্তারসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন আদালত। সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন, বেগমগঞ্জ উপজেলার রায়কৃষ্ণপুর গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে হেঞ্জু মিয়া (৫০) ও সুধারাম থানার আনোয়ার উল্লাহর ছেলে গৃহশিক্ষক সামছুদ্দিন (৪০)। আসামিরা ১৯৯৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সোলেমান মুহুরীকে সুধারাম মডেল থানার চন্দ্রপুর এলাকার নীলকুঠি নামক বাড়িতে হত্যা করে মরদেহ গুম করে রাখেন বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা

স্বামী হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক স্ত্রী গ্রেফতার

আপডেট সময় ০৭:২৭:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩

নোয়াখালী সদরে স্বামী আবু সোলায়মান মুহুরীকে হত্যার দুই যুগ পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত স্ত্রী রহিমা আক্তার ধনিকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার রহিমা আক্তার ধনি নোয়াখালী পৌরসভার চন্দ্রপুর নীলকুঠির মৃত আবু সোলায়মান মুহুরীর স্ত্রী। তিনি মামলার ১০ বছর পর ২০০৮ সালে জামিনে বের হয়ে পলাতক ছিলেন।

র্যাব-১১ (সিপিসি-৩) নোয়াখালী কার্যালয়ের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান গ্রেফতারের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, স্বামী হত্যায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত স্ত্রী রহিমা আক্তার ধনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে সদর উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালের ৭ মার্চ স্বামী অপহরণ হয়েছে বলে সুধারাম মডেল থানায় মামলা করেন স্ত্রী রহিমা আক্তার ধনি। মামলার তদন্তকারী সিআইডি কর্মকর্তা লুৎফুর রহমান মামলার এক বছর পর ১৯৯৮ সালে ২৮ মে একটি অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করেন। মরদেহটি সোলেমান মুহুরীর বলে শনাক্ত করে তার পরিবার। পরে মামলার বাদী স্ত্রী রহিমা আক্তারসহ ৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ।

চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় রহিমা আক্তারসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন আদালত। সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন, বেগমগঞ্জ উপজেলার রায়কৃষ্ণপুর গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে হেঞ্জু মিয়া (৫০) ও সুধারাম থানার আনোয়ার উল্লাহর ছেলে গৃহশিক্ষক সামছুদ্দিন (৪০)। আসামিরা ১৯৯৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সোলেমান মুহুরীকে সুধারাম মডেল থানার চন্দ্রপুর এলাকার নীলকুঠি নামক বাড়িতে হত্যা করে মরদেহ গুম করে রাখেন বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেন।