ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo শান্তিগঞ্জে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হাফেজ শেখ মুশতাক আহমদের সমর্থনে নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত Logo মুশতাক গাজিনগরীর হত্যার প্রতিবাদে গণআন্দোলনের হুঁশিয়ারি Logo ঢাকায় ১৫ সেপ্টেম্বরের বিশাল শিক্ষক সমাবেশ সফল করতে সিলেটে মতবিনিময় সভা Logo জগন্নাথপুরে আলোচনায় প্রবাসী তাহের মিয়ার নতুন ষাড় সাদা ডলপিং Logo গণতন্ত্রের লড়াইয়ে সংস্কৃতির জাগরণ প্রয়োজন’— শান্তিগঞ্জে ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন Logo সুনামগঞ্জ জেলা জমিয়তের সহ-সভাপতি নিখোঁজ মাওলানা মোশতাক আহমদের সন্ধানের দাবিতে মানববন্ধন Logo সুনামগঞ্জে জমিয়ত নেতা মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজীনগরী নিখোঁজ Logo বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জগন্নাথপুরে আলোচনা সভা ও দলীয় কার্যালয় উদ্ভোধন Logo মধ্যনগরে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পদের ফরম ক্রয়কে ঘিরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে Logo বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সুনামগঞ্জে বর্ণ্যাঢ্য র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

স্বামী হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক স্ত্রী গ্রেফতার

নোয়াখালী সদরে স্বামী আবু সোলায়মান মুহুরীকে হত্যার দুই যুগ পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত স্ত্রী রহিমা আক্তার ধনিকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার রহিমা আক্তার ধনি নোয়াখালী পৌরসভার চন্দ্রপুর নীলকুঠির মৃত আবু সোলায়মান মুহুরীর স্ত্রী। তিনি মামলার ১০ বছর পর ২০০৮ সালে জামিনে বের হয়ে পলাতক ছিলেন।

র্যাব-১১ (সিপিসি-৩) নোয়াখালী কার্যালয়ের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান গ্রেফতারের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, স্বামী হত্যায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত স্ত্রী রহিমা আক্তার ধনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে সদর উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালের ৭ মার্চ স্বামী অপহরণ হয়েছে বলে সুধারাম মডেল থানায় মামলা করেন স্ত্রী রহিমা আক্তার ধনি। মামলার তদন্তকারী সিআইডি কর্মকর্তা লুৎফুর রহমান মামলার এক বছর পর ১৯৯৮ সালে ২৮ মে একটি অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করেন। মরদেহটি সোলেমান মুহুরীর বলে শনাক্ত করে তার পরিবার। পরে মামলার বাদী স্ত্রী রহিমা আক্তারসহ ৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ।

চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় রহিমা আক্তারসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন আদালত। সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন, বেগমগঞ্জ উপজেলার রায়কৃষ্ণপুর গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে হেঞ্জু মিয়া (৫০) ও সুধারাম থানার আনোয়ার উল্লাহর ছেলে গৃহশিক্ষক সামছুদ্দিন (৪০)। আসামিরা ১৯৯৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সোলেমান মুহুরীকে সুধারাম মডেল থানার চন্দ্রপুর এলাকার নীলকুঠি নামক বাড়িতে হত্যা করে মরদেহ গুম করে রাখেন বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

শান্তিগঞ্জে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হাফেজ শেখ মুশতাক আহমদের সমর্থনে নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত

স্বামী হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক স্ত্রী গ্রেফতার

আপডেট সময় ০৭:২৭:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩

নোয়াখালী সদরে স্বামী আবু সোলায়মান মুহুরীকে হত্যার দুই যুগ পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত স্ত্রী রহিমা আক্তার ধনিকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার রহিমা আক্তার ধনি নোয়াখালী পৌরসভার চন্দ্রপুর নীলকুঠির মৃত আবু সোলায়মান মুহুরীর স্ত্রী। তিনি মামলার ১০ বছর পর ২০০৮ সালে জামিনে বের হয়ে পলাতক ছিলেন।

র্যাব-১১ (সিপিসি-৩) নোয়াখালী কার্যালয়ের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান গ্রেফতারের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, স্বামী হত্যায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত স্ত্রী রহিমা আক্তার ধনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে সদর উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালের ৭ মার্চ স্বামী অপহরণ হয়েছে বলে সুধারাম মডেল থানায় মামলা করেন স্ত্রী রহিমা আক্তার ধনি। মামলার তদন্তকারী সিআইডি কর্মকর্তা লুৎফুর রহমান মামলার এক বছর পর ১৯৯৮ সালে ২৮ মে একটি অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করেন। মরদেহটি সোলেমান মুহুরীর বলে শনাক্ত করে তার পরিবার। পরে মামলার বাদী স্ত্রী রহিমা আক্তারসহ ৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ।

চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় রহিমা আক্তারসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন আদালত। সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন, বেগমগঞ্জ উপজেলার রায়কৃষ্ণপুর গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে হেঞ্জু মিয়া (৫০) ও সুধারাম থানার আনোয়ার উল্লাহর ছেলে গৃহশিক্ষক সামছুদ্দিন (৪০)। আসামিরা ১৯৯৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সোলেমান মুহুরীকে সুধারাম মডেল থানার চন্দ্রপুর এলাকার নীলকুঠি নামক বাড়িতে হত্যা করে মরদেহ গুম করে রাখেন বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেন।