স্বপ্না খাতুন ( ৩৫)নামের এক গৃহবধূর বাক্সবন্দি গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে খুলনা পুলিশ। খুলনা নগরীর কেডিএ এভিনিউ এলাকার একটি বাসা থেকে মরদেহের শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় একটি পলিথিনে মোড়ানো পাওয়া যায়।
পুলিশের ধারণা, হত্যার পর শরীর থেকে মাথাটি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। রোববার (৬নভেম্বর) ভোরে অথবা গভীর রাতে কোনো এক সময় নৃশংস এই হত্যাকান্ডটি ঘটে। ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী আবু বক্কর পলাতক রয়েছেন। তবে কী কারণে ওই গৃহবধূকে খুন হয়েছেন প্রাথমিকমভাবে পুলিশ তা জানাতে পারেনি।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি)র অতিরিক্ত কমিশনার সোনালী সেন জানান, আবু বক্কর একটি ট্রান্সপোর্ট কোম্পানিতে চাকরি করেন। রোববার সকালে তিনি কর্মস্থলে না যাওয়ায় ও মোবাইলফোন বন্ধ থাকায় সহকর্মীরা তাকে খুঁজতে বাসায় যান। বাসাটি তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখার এক পার্যায়ে তারা জানালা দিয়ে বিছানায় একটি বাক্স ও বিছানার আশপাশে রক্ত দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পলিথিনের মোড়ানো মাথা ও একটি কাঠের বাক্সের ভেতর থেকে স্ত্রী স্বপ্না খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় সেখান থেকে বেশ কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে।
জানা যায়, নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন গোবরচাকা কেডিএ এভিনিউয়ের ১১৩ হোল্ডিংয়ের রাজু খাঁর বাড়িতে স্ত্রী স্বপ্না খাতুনকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন আবু বক্কর। স্বপ্না খাতুন বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ভাগা গ্রামের আইয়ুব আলী সরদারের মেয়ে। আর আবুবক্কার একই গ্রামের জাকির মোল্লা ছেলে।
দুই থেকে আড়াই বছর আগে আবুবক্কার সোনাডাঙ্গা থানাধীন ওই বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে ওঠেন এবং নগরীর ৫নং ঘাট এলাকার আল আকসা ট্রান্সপোর্ট এজেন্সিতে ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন।
জনস্বার্থে নিউজ24.কম