পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে দুই ভাই জহিরুল ইসলাম (২৮) ও সাদ্দাম হোসেনের (২৫) মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে স্ত্রীর উসকানিতে বড় ভাইকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন সাদ্দাম।
এ ঘটনার পর নিহতের বাবা বাদী হয়ে আরেক ছেলে ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় তাদের গ্রেফতার করে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের কাজিগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বাবা হাতেম আলী বাদী হয়ে সাদ্দাম হোসেন ও তার স্ত্রী দিলরুবাকে আসামি করে ত্রিশাল থানায় মামলা করেন। গ্রেফতারের পর ওইদিনই আদালতের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
ত্রিশাল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বুধবার দুপুরে পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে বড় ভাই জহিরুলের সঙ্গে সাদ্দাম হোসেনের ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। দুই ভাইয়ের ঝগড়া দেখে পরিবারের অন্য সদস্যরা তাদের নিবৃত করেন। পরে সন্ধ্যার দিকে স্ত্রীর উসকানিতে ক্ষোভ বাড়ে সাদ্দামের। এমন সময় জহিরুল বাড়ির উঠানে আসতেই লাঠি দিয়ে তাকে পেটাতে শুরু করেন সাদ্দাম। এসময় মেজো ভাই জোবায়ের তাদের থামাতে গেলে লাঠি দিয়ে তার মাথায় আঘাত করেন সাদ্দাম। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন জোবায়ের। এরপর সাদ্দামের স্ত্রী জহিরুলকে পেছন থেকে জাপটে ধরলে সাদ্দাম তার বুকে-পেটে ছুরিকাঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় জহিরুলের।
পরে স্থানীয়রা আহত জোবায়েরকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহের চুরখাই কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
এদিকে, ঘটনার পরই বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় একই উপজেলার কানিহারী ইউনিয়নের এলংজানি বাজারে একটি পণ্যবাহী ট্রাক থেকে সাদ্দাম ও তার স্ত্রী দিলরুবাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এসআই আনিসুর রহমান বলেন, ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেই সাদ্দাম ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।