জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে নাম নেই সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের। তাকে কোনো পদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা।
এর আগে ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর এক জরুরি সভায় তাকে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগে থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সরিষাবাড়ী অনার্স কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক বাবু অসীম কুমার উকিল, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন, জামালপুর পৌরসভার মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু প্রমুখ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে সভাপতি পদে ছানোয়ার হোসেন বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক পদে তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর দীর্ঘ ১০ মাস অতিবাহিত হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়নি। ফলে শুরু হয় আলোচন সমালোচনা। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ্রের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। নতুন এই কমিটিতে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের নাম না থাকায় হতবাক হন তার সমর্থিত নেতাকর্মীরা।
জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ মুঠোফোনে বলেন, সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগকে গতিশীল করতে ৭১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এখানে বিতর্কের কোন স্থান নেই।