ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা Logo বালি মহালে ইজারা পদ্বতি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন Logo ছাতকে আওয়ামিলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার Logo পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্ত ও নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুরের ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দকে শিবির কর্মী বলে প্রচারণা চালানোয় জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ। Logo শান্তিগঞ্জের জয়সিদ্ধি-বসিউয়াখাউরী গ্রামে বিএনপির কর্মী সভা Logo জগন্নাথপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুর উপজেলার ৬ নং রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর কমিটি গঠন Logo পরিবেশ নষ্ট করে কোন বাঁধ নির্মাণ হবেনা – পরিবেশ উপদেষ্টা Logo হাওরের জন্য সরকারের মাস্টার প্লান আছে- উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

টানা বৃষ্টি: খাগড়াছড়ির বিভিন্নস্থানে পাহাড় ধস, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির বিভিন্নস্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে প্লাবিত হয়েছে এ জেলার নিম্নাঞ্চল।

খাগড়াছড়িতে ভারী বর্ষণে পাহাড় ধস, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

খাগড়াছড়ি জেলা শহরের শালবন, কলাবাগান ও সবুজবাগ ছাড়াও মাটিরাঙ্গায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া জেলার মানিকছড়িতে পাহাড় ধসে যাওয়ায় ঝুঁকিতে পড়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি। তবে সংস্কারে সেনাবাহিনী কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রক্তিম চৌধুরী।

অন্যদিকে চেঙ্গী নদীর পানির বাড়ায় খাগড়াছড়ি শহরের নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় তিন হাজার পরিবার। একই সঙ্গে মেরুং বেইলি ব্রিজ এবং দাঙ্গাবাজর মূল সড়ক প্লাবিত হয়ে যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

খাগড়াছড়ির শালবন এলাকার বাসিন্দা জুলেখা বেগম বলেন, হঠাৎ পাহাড় ভেঙে মাটি ঘরের ভেতরের ঢুকে গেছে। বৃষ্টি হলেই পাহাড় ভেঙে পানি ঘরে ভেতরে ঢুকে পড়ছে।

অজিফা বেগম নামের আরেকজন বলেন, বুঝতেই পারিনি এভাবে পাহাড় ভেঙে যাবে। হঠাৎ মাটি ভেঙে পড়ছে। এখন বৃষ্টি বাড়লে আরও ভাঙবে।

এদিকে খাগড়াছড়ি সদরের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, যারা পাহাড়ের পাদদেশে রয়েছে তাদের সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে চাইবে না তাদের বাধ্য করা হবে।

খাগড়াছড়ির পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. রেজাউল করিম বলেন, শালবন এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারের সংখ্যা প্রায় শতাধিক। এর মধ্যে ৩০ পরিবার খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা

টানা বৃষ্টি: খাগড়াছড়ির বিভিন্নস্থানে পাহাড় ধস, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

আপডেট সময় ০১:৩২:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩

গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির বিভিন্নস্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে প্লাবিত হয়েছে এ জেলার নিম্নাঞ্চল।

খাগড়াছড়িতে ভারী বর্ষণে পাহাড় ধস, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

খাগড়াছড়ি জেলা শহরের শালবন, কলাবাগান ও সবুজবাগ ছাড়াও মাটিরাঙ্গায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া জেলার মানিকছড়িতে পাহাড় ধসে যাওয়ায় ঝুঁকিতে পড়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি। তবে সংস্কারে সেনাবাহিনী কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রক্তিম চৌধুরী।

অন্যদিকে চেঙ্গী নদীর পানির বাড়ায় খাগড়াছড়ি শহরের নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় তিন হাজার পরিবার। একই সঙ্গে মেরুং বেইলি ব্রিজ এবং দাঙ্গাবাজর মূল সড়ক প্লাবিত হয়ে যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

খাগড়াছড়ির শালবন এলাকার বাসিন্দা জুলেখা বেগম বলেন, হঠাৎ পাহাড় ভেঙে মাটি ঘরের ভেতরের ঢুকে গেছে। বৃষ্টি হলেই পাহাড় ভেঙে পানি ঘরে ভেতরে ঢুকে পড়ছে।

অজিফা বেগম নামের আরেকজন বলেন, বুঝতেই পারিনি এভাবে পাহাড় ভেঙে যাবে। হঠাৎ মাটি ভেঙে পড়ছে। এখন বৃষ্টি বাড়লে আরও ভাঙবে।

এদিকে খাগড়াছড়ি সদরের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, যারা পাহাড়ের পাদদেশে রয়েছে তাদের সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে চাইবে না তাদের বাধ্য করা হবে।

খাগড়াছড়ির পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. রেজাউল করিম বলেন, শালবন এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারের সংখ্যা প্রায় শতাধিক। এর মধ্যে ৩০ পরিবার খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।