ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo শান্তিগঞ্জে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হাফেজ শেখ মুশতাক আহমদের সমর্থনে নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত Logo মুশতাক গাজিনগরীর হত্যার প্রতিবাদে গণআন্দোলনের হুঁশিয়ারি Logo ঢাকায় ১৫ সেপ্টেম্বরের বিশাল শিক্ষক সমাবেশ সফল করতে সিলেটে মতবিনিময় সভা Logo জগন্নাথপুরে আলোচনায় প্রবাসী তাহের মিয়ার নতুন ষাড় সাদা ডলপিং Logo গণতন্ত্রের লড়াইয়ে সংস্কৃতির জাগরণ প্রয়োজন’— শান্তিগঞ্জে ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন Logo সুনামগঞ্জ জেলা জমিয়তের সহ-সভাপতি নিখোঁজ মাওলানা মোশতাক আহমদের সন্ধানের দাবিতে মানববন্ধন Logo সুনামগঞ্জে জমিয়ত নেতা মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজীনগরী নিখোঁজ Logo বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জগন্নাথপুরে আলোচনা সভা ও দলীয় কার্যালয় উদ্ভোধন Logo মধ্যনগরে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পদের ফরম ক্রয়কে ঘিরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে Logo বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সুনামগঞ্জে বর্ণ্যাঢ্য র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

টানা বৃষ্টি: খাগড়াছড়ির বিভিন্নস্থানে পাহাড় ধস, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির বিভিন্নস্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে প্লাবিত হয়েছে এ জেলার নিম্নাঞ্চল।

খাগড়াছড়িতে ভারী বর্ষণে পাহাড় ধস, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

খাগড়াছড়ি জেলা শহরের শালবন, কলাবাগান ও সবুজবাগ ছাড়াও মাটিরাঙ্গায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া জেলার মানিকছড়িতে পাহাড় ধসে যাওয়ায় ঝুঁকিতে পড়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি। তবে সংস্কারে সেনাবাহিনী কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রক্তিম চৌধুরী।

অন্যদিকে চেঙ্গী নদীর পানির বাড়ায় খাগড়াছড়ি শহরের নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় তিন হাজার পরিবার। একই সঙ্গে মেরুং বেইলি ব্রিজ এবং দাঙ্গাবাজর মূল সড়ক প্লাবিত হয়ে যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

খাগড়াছড়ির শালবন এলাকার বাসিন্দা জুলেখা বেগম বলেন, হঠাৎ পাহাড় ভেঙে মাটি ঘরের ভেতরের ঢুকে গেছে। বৃষ্টি হলেই পাহাড় ভেঙে পানি ঘরে ভেতরে ঢুকে পড়ছে।

অজিফা বেগম নামের আরেকজন বলেন, বুঝতেই পারিনি এভাবে পাহাড় ভেঙে যাবে। হঠাৎ মাটি ভেঙে পড়ছে। এখন বৃষ্টি বাড়লে আরও ভাঙবে।

এদিকে খাগড়াছড়ি সদরের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, যারা পাহাড়ের পাদদেশে রয়েছে তাদের সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে চাইবে না তাদের বাধ্য করা হবে।

খাগড়াছড়ির পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. রেজাউল করিম বলেন, শালবন এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারের সংখ্যা প্রায় শতাধিক। এর মধ্যে ৩০ পরিবার খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

শান্তিগঞ্জে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হাফেজ শেখ মুশতাক আহমদের সমর্থনে নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত

টানা বৃষ্টি: খাগড়াছড়ির বিভিন্নস্থানে পাহাড় ধস, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

আপডেট সময় ০১:৩২:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩

গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির বিভিন্নস্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে প্লাবিত হয়েছে এ জেলার নিম্নাঞ্চল।

খাগড়াছড়িতে ভারী বর্ষণে পাহাড় ধস, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

খাগড়াছড়ি জেলা শহরের শালবন, কলাবাগান ও সবুজবাগ ছাড়াও মাটিরাঙ্গায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া জেলার মানিকছড়িতে পাহাড় ধসে যাওয়ায় ঝুঁকিতে পড়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি। তবে সংস্কারে সেনাবাহিনী কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রক্তিম চৌধুরী।

অন্যদিকে চেঙ্গী নদীর পানির বাড়ায় খাগড়াছড়ি শহরের নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় তিন হাজার পরিবার। একই সঙ্গে মেরুং বেইলি ব্রিজ এবং দাঙ্গাবাজর মূল সড়ক প্লাবিত হয়ে যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

খাগড়াছড়ির শালবন এলাকার বাসিন্দা জুলেখা বেগম বলেন, হঠাৎ পাহাড় ভেঙে মাটি ঘরের ভেতরের ঢুকে গেছে। বৃষ্টি হলেই পাহাড় ভেঙে পানি ঘরে ভেতরে ঢুকে পড়ছে।

অজিফা বেগম নামের আরেকজন বলেন, বুঝতেই পারিনি এভাবে পাহাড় ভেঙে যাবে। হঠাৎ মাটি ভেঙে পড়ছে। এখন বৃষ্টি বাড়লে আরও ভাঙবে।

এদিকে খাগড়াছড়ি সদরের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, যারা পাহাড়ের পাদদেশে রয়েছে তাদের সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে চাইবে না তাদের বাধ্য করা হবে।

খাগড়াছড়ির পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. রেজাউল করিম বলেন, শালবন এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারের সংখ্যা প্রায় শতাধিক। এর মধ্যে ৩০ পরিবার খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।