নেত্রকোনার কেন্দুয়ার আরিফুল ইসলাম অটোরিকশা চালান। অভাব থাকলেও কখনো লোভ পেয়ে বসেনি তাকে। সংসার চালানো কঠিন হলেও তিনি সৎ। এবার এক যাত্রীর রেখে যাওয়া ৪৩ হাজার টাকার ব্যাগ ফেরত দেন অটোরিকশা চালক আরিফুল। সোমবার (২১ আগস্ট) সকালে গৌরীপুর-ডুমদি সড়কের সাকরা বাজার নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। আরিফুল কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের বান্দলাল গ্রামের মোহাম্মদ দুলাল মিয়ার ছেলে।
আরিফুল ইসলাম বলেন, সোমবার (২১ আগস্ট) সকালে আমার অটোরিকশায় করে গৌরীপুর থেকে ডুমডি এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন গোলাম মোস্তফা নামের এক ব্যক্তি। পথে সাকরা বাজারের কাছে টাকার ব্যাগ রেখেই অটোরিকশা থেকে নেমে চলে যান তিনি। পরে সিটের ওপর একটি ব্যাগ দেখতে পেয়ে সেটি আমার হেফাজতে রাখি। একপর্যায়ে ব্যাগটি খুলে নগদ টাকা দেখতে পাই। পরে গড়াডোবা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খান সোহাগের কাছে টাকার ব্যাগটি জমা দেই।
টাকার ব্যাগ ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘আমি অটোরিকশা চালিয়ে সৎভাবে জীবিকা নির্বাহ করি। ব্যাগটি পাওয়ার পর দেখি ভেতরে অনেক টাকা। অন্যের টাকার প্রতি আমার লোভ নেই। আল্লাহ আমাকে যেভাবে রেখেছেন সেভাবেই আমি খুশি।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্যাগটির মালিক গোলাম মোস্তফা বলেন, অসাবধানতাবশত অটোরিকশায় সোমবার সকালে টাকার ব্যাগটি রেখে ডুমদি আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যাই। অনেক খুঁজেও ব্যাগটির খোঁজ পাচ্ছিলাম না। অটোরিকশাচালক আমাকে ফোন করে জানালে আমি গড়াডোবা ইউনিয়ন পরিষদে এসে চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খান সোহাগের সহযোগিতায় নগদ ৪৩ হাজার টাকা নিয়ে যাই।
তিনি আরো বলেন, পৃথিবীতে এখনো ভালো ও সৎ মানুষ আছে, আরিফুল তার বড় প্রমাণ।’
গড়াডোবা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খান সোহাগ বলেন, আরিফুল ইসলাম সততার যে দৃষ্টান্ত রেখেছে তা বর্তমান সমাজে সত্যিই বিরল।