মান্নার মিয়া স্টাফ রিপোর্টারঃ
শান্তিগঞ্জ(সুনামগঞ্জ)
সুনামগঞ্জ -৩ (শান্তিগঞ্জ- জগন্নাথপুর) আসনে আগামী জাতীয় নির্বাচনে নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা করলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুক্তরাজ্য শাখার প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি, জেলা বিএনপির বিগত কমিটির সহসভাপতি ব্যারিষ্টার আনোয়ার হোসেন।
বুধবার(১৩ নভেম্বর) দুপুরে শান্তিগঞ্জ উপজেলার নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এই ঘোষণা দিয়ে বলেন, তাঁর দল বিএনপি এই আসনে তার মনোনয়নের বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলেও মনে করছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিষ্টার আনোয়ার হোসেন বলেন, দেশ, মাটি আর মানুষের মায়ায় গেল ১১ বছর হয় সকল লোভ- লালসার উর্ধ্বে থেকে নির্বাচনী এলাকায় কাজ করছি। যুক্তরাজ্যে বাড়ী-গাড়ি, আরাম-আয়াসে জীবন যাপন ও উপার্জনের ব্যবস্থা থাকা সত্বেও নির্বাচনী এলাকার মানুষের প্রতিনিধিত্ব করার নেশায় দেশেই মানুষের পাশে আছি।
তিনি জানান, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক কর্তৃক তাঁর বিরুদ্ধে লন্ডনে এবং বাংলাদেশে দু’টি আলাদা মামলা হয়েছিল। দৈনিক ” আমার দেশ ” পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে সমর্থন করে ” আমার দেশ ” অফিসে প্রতিবাদ সভায় অংশ গ্রহণ এবং বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের অপ-কাজের কিছু দলিল ” আমার দেশ ” সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে প্রদান করার কারণে ২০১২ সালের নভেম্বরে আমার দেশ অফিস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
তিনি রাজনৈতিক স্মৃতিচারণ তুলে ধরে বলেন, ১১ টি বছর এমন প্রতিকূল পরিবেশেও স্ত্রী-সন্তান রেখে এলাকার মানুষের সঙ্গে ছিলাম।
প্রার্থীতা ঘোষণাকালে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির বিগত কমিটির সহসভাপতি ব্যারিষ্টার আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি আশা করছি এবং সবিনয় অনুরোধ করছি যে, আমার নেত্রী ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান ধানের শীষ তথা বিএনপির একজন প্রার্থী হিসেবে আমাকে সক্রিয় বিবেচনার দৃষ্টিতে দেখবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি ছলিবনুর বাচ্চু,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি ফরিদূর রহমান ফরিদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য এস এম রাবেদ, উপজেলা জাসাসের সভাপতি নজমুল হোসেন, বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন, যুবদল নেতা লেচু মিয়া, জমিল হোসেন, রিয়াদ, সইফুল মুল্লুক, শের আলম শিশু, বিধান, রবিনূর, সেলিম, আলীনেওয়াজ, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মোর্শেদ আহমদ হৃদয়সহ উপজেলা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।