ঢাকা , বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo উন্নয়নের স্বপ্নে বঞ্চিত নবগঠিত মধ্যনগর টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ থেকে বাদ পড়ায় ক্ষোভ ও হতাশার ছায়া Logo শান্তিগঞ্জে দিনব্যাপী তামাক বিরোধী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo শাল্লায় অফিসেই আত্মহত্যা করলেন অফিস সহকারী Logo সামাজিক সংগঠন স্টুডেন্টস কেয়ার জগন্নাথপুর এর বৃক্ষ উৎসব সম্পন্ন Logo সুনামগঞ্জ জেলায় নবনিযুক্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের যোগদান Logo দিরাই ডেভেলাপমেন্ট অর্গেনাইজেশন ইউকের উদ্দ্যোগে ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগীতা সম্পন্ন Logo নবনিয়োগপ্রাপ্ত কনস্টেবলদের ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ কোর্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন Logo বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ২ Logo পাথারিয়া ইউপি ৩ নং ওয়ার্ডে প্রার্থী হচ্ছেন মোঃফয়জুল হক Logo সোহম আমাদের জাগরণের পথ দেখিয়েছে – ইউএনও সনজিব সরকার

সানজিদা আলমের সফলতার রহস্য হল পরিশ্রম

ইচ্ছা থাকলেই দারুণ কিছু করা যায় এ ধারণা এক সময় আমাদের দেশের মানুষের চিন্তার বাইরে ছিল। দেশের অনলাইন জগতে দারুণ গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে কিছু নাম। তার মধ্যে ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে কাজ করে সফল সানজিদা আলম শারমিন।

ফেসবুকের পাশাপশি সানজিদার ইউটিউব চ্যানেলও আছে। তার চ্যানেলের জনপ্রিয়তার ফলে তিনি ইউটিউব সিলভার প্লে বাটন পেয়েছেন। যেখানে বর্তমানে ২ লাখ ৩৭ হাজারের বেশি সাবস্ক্রিপশন আছে।

সফল এ মানুষটি বললেন, ‘বিগত ৫ বছরে ৫ শতাধিক দেশি-বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে ব্র্যান্ড প্রোমটার এবং ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে কাজ করেছি। সবকিছু মেইনটেইন করে মডেলিং প্রোফেশন, ইউটিউবিং এবং একজন সফল ইনফ্লুয়েন্সার হওয়াটা খুব একটা সহজ ছিল না। অনেক জায়গায় রিজেক্টেড হয়েছি। অনেক বড় বড় অফার রিজেক্টও করেছি। আজ আমার সঙ্গে সারাদেশের প্রচুর ভাই-বোন এক হয়ে আমাকে এগিয়ে নিচ্ছেন।’

কোনো বাধা ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বরাবরই সবকিছুতে অনেক বাধা আর সুযোগ কম ছিল। কিন্তু ডেডিকেশন আর কঠোর পরিশ্রম ছিল অনেক। বর্তমানে পড়াশোনা করছি কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। একজন ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পাশাপাশি একজন সফল ইনফ্লুয়েন্সার হতে চাই।’

পরিবারের সমর্থন সম্পর্কে সানজিদা আলম শারমিন বলেন, ‘শুরুতে পরিবারের তেমন অনুপ্রেরণা না পেলেও এখন সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা পাই। একদিকে পড়াশোনা, অন্যদিকে ফুল অন প্রফেশনাল কাজে মনোযোগ দিতে গিয়ে এমনও দিন যায় যে, ২৪ ঘণ্টার ১৮ ঘণ্টাই কাজ করি। রাতের পর রাত আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিরলস পরিশ্রমের ফসল আজ আমি নিজেই।’

তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, যদি ইচ্ছে থাকে তাহলে কোনো বাধাই বাধা নয়! আমার ইচ্ছা আছে আকাশ ছোঁয়ার।’

২০১৪ সালে যখন তার যাত্রা শুরু হয়, বেশকিছু অর্গানাইজেশন থেকে তাকে ফিরে আসতে হয়েছিল সামান্য কারণে। কিন্তু তিনি আশা ছাড়েননি, চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। আরও দৃঢ়ভাবে চেষ্টা চালিয়ে গেছেন স্বপ্ন পূরণের জন্য। তার প্রথম ধাপ হিসেবে তিনি ফ্যাশন ব্লগার হিসেবে যাত্রা শুরু করেন একটি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে।

সানজিদা ব্লগার হিসেবে কাজ শুরু করেন ‘হিজাব টিউটরিয়াল’ তৈরির মাধ্যমে। পরে ধীরে ধীরে তার ব্লগে বিভিন্ন ধরনের ফ্যাশনেবল আবায়া বোরকা এবং জুয়েলারি নিয়ে কাজ শুরু করেন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত তিনি একজন ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার দক্ষতার প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছেন প্রচুর ক্রেতা আকৃষ্ট করার মাধ্যমে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

উন্নয়নের স্বপ্নে বঞ্চিত নবগঠিত মধ্যনগর টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ থেকে বাদ পড়ায় ক্ষোভ ও হতাশার ছায়া

সানজিদা আলমের সফলতার রহস্য হল পরিশ্রম

আপডেট সময় ০৩:৪৬:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২

ইচ্ছা থাকলেই দারুণ কিছু করা যায় এ ধারণা এক সময় আমাদের দেশের মানুষের চিন্তার বাইরে ছিল। দেশের অনলাইন জগতে দারুণ গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে কিছু নাম। তার মধ্যে ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে কাজ করে সফল সানজিদা আলম শারমিন।

ফেসবুকের পাশাপশি সানজিদার ইউটিউব চ্যানেলও আছে। তার চ্যানেলের জনপ্রিয়তার ফলে তিনি ইউটিউব সিলভার প্লে বাটন পেয়েছেন। যেখানে বর্তমানে ২ লাখ ৩৭ হাজারের বেশি সাবস্ক্রিপশন আছে।

সফল এ মানুষটি বললেন, ‘বিগত ৫ বছরে ৫ শতাধিক দেশি-বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে ব্র্যান্ড প্রোমটার এবং ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে কাজ করেছি। সবকিছু মেইনটেইন করে মডেলিং প্রোফেশন, ইউটিউবিং এবং একজন সফল ইনফ্লুয়েন্সার হওয়াটা খুব একটা সহজ ছিল না। অনেক জায়গায় রিজেক্টেড হয়েছি। অনেক বড় বড় অফার রিজেক্টও করেছি। আজ আমার সঙ্গে সারাদেশের প্রচুর ভাই-বোন এক হয়ে আমাকে এগিয়ে নিচ্ছেন।’

কোনো বাধা ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বরাবরই সবকিছুতে অনেক বাধা আর সুযোগ কম ছিল। কিন্তু ডেডিকেশন আর কঠোর পরিশ্রম ছিল অনেক। বর্তমানে পড়াশোনা করছি কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। একজন ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পাশাপাশি একজন সফল ইনফ্লুয়েন্সার হতে চাই।’

পরিবারের সমর্থন সম্পর্কে সানজিদা আলম শারমিন বলেন, ‘শুরুতে পরিবারের তেমন অনুপ্রেরণা না পেলেও এখন সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা পাই। একদিকে পড়াশোনা, অন্যদিকে ফুল অন প্রফেশনাল কাজে মনোযোগ দিতে গিয়ে এমনও দিন যায় যে, ২৪ ঘণ্টার ১৮ ঘণ্টাই কাজ করি। রাতের পর রাত আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিরলস পরিশ্রমের ফসল আজ আমি নিজেই।’

তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, যদি ইচ্ছে থাকে তাহলে কোনো বাধাই বাধা নয়! আমার ইচ্ছা আছে আকাশ ছোঁয়ার।’

২০১৪ সালে যখন তার যাত্রা শুরু হয়, বেশকিছু অর্গানাইজেশন থেকে তাকে ফিরে আসতে হয়েছিল সামান্য কারণে। কিন্তু তিনি আশা ছাড়েননি, চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। আরও দৃঢ়ভাবে চেষ্টা চালিয়ে গেছেন স্বপ্ন পূরণের জন্য। তার প্রথম ধাপ হিসেবে তিনি ফ্যাশন ব্লগার হিসেবে যাত্রা শুরু করেন একটি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে।

সানজিদা ব্লগার হিসেবে কাজ শুরু করেন ‘হিজাব টিউটরিয়াল’ তৈরির মাধ্যমে। পরে ধীরে ধীরে তার ব্লগে বিভিন্ন ধরনের ফ্যাশনেবল আবায়া বোরকা এবং জুয়েলারি নিয়ে কাজ শুরু করেন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত তিনি একজন ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার দক্ষতার প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছেন প্রচুর ক্রেতা আকৃষ্ট করার মাধ্যমে।