ঢাকা , শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দোয়ারাবাজারে বোনকে কুপিয়ে হাতের আঙুল কেটে নিলো ভাই থানায় মামলা

  • সোহেল মিয়া
  • আপডেট সময় ০২:২০:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫
  • ৫০৫ বার পড়া হয়েছে

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ):
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে ভাই কর্তৃক বোনকে
হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে ভাইয়ের লোকজন।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত বোন (রুমেনা বেগম) শ্রীপুর গ্রামের সফিকুল ইসলাম (৫৬) স্ত্রী।
এঘটনায় আহত রুমেনা বেগম’র স্বামী সফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ঘটনার দিন রাতে দোয়ারাবাজার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,একই গ্রামের বাসিন্দা
মৃত আশিক উল্লাহর পুত্র সানোয়ার আলী (৫৫) ও কন্যা রুমেনা বেগম এর স্বামী সফিকুল ইসলামের বাড়ি পাশাপাশি। এতে বিভিন্ন সময় দুই পরিবারের মাঝে নানান বিষয়াদি নিয়ে ছোট খাটো ঝগড়াঝাঁটি চলে আসছিলো। পূর্ব এসব বিরোধের জেড়ে রুমেনা বেগম’র স্বামী শফিকুল ইসলামকে মারধর ও ফসলাদি নষ্ট করা লক্ষে বিভিন্ন সময়ে সুযোগ খুঁজে থাকে সানোয়ার আলী ও তার পুত্ররা। গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধায় সফিকুল ইসলাম তার আত্মীয় একই গ্রামের মৃত মুক্তার আলী’র পুত্র বাবুল মিয়া’র বাড়ি থেকে পারিবারিক কাজ শেষে রাত ৯ টায় বাড়িতে ফেরার পথে সফিকুল ইসলাম তার বসতঘরের পশ্চিম পাশে তার নিজস্ব ফসলি জমি কচু ক্ষেতের দিকে তাকলে প টাচ লাইটের আলোতে দেখতে পান যে অভিযুক্তরা দ্যা দিয়া কচু ক্ষেতর কচু কেটে নষ্ট করিতেছেন। যার ক্ষতির পরিমান (১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা), এতে সফিকুল ইসলাম তার জমির কচু নষ্ট করার কারন জিজ্ঞেস করলে অভিযুক্তরা মারধর ও হত্যা করার হুমকি দিয়ে চলে যান। এঘটনায় সফিকুল ইসলাম সমাজের ব্যক্তিবর্গের কাছে বিচারপ্রার্থী হলে এবং এ বিষয়টি অভিযুক্তরা জানতে পারায় ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করার সুযোগ খুঁজতে থাকে। এতে ২৬ এপ্রিল (শনিবার) দুপুর সাড়ে ১২ টায় তারা দলবদ্ধ হয়ে সফিকুল ইসলামের বাড়িতে ডুকে দ্যা,ছুরি ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। ঘুর ভাঙচুর করে একপর্যায়ে সফিকুল ইসলাম কে বসতঘর থেকে বের করে এনে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। এমতাবস্থায় তার স্ত্রী রুমেনা বেগম দৌড়িয়ে আসলে অভিযুক্তরা দ্যা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ দিলে দায়ের কোপে মাথা কেটে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয়। পরবর্তীতে আরেকটি কোপ দিলে রুমেনা বেগম বাম হাত দিয়ে তা প্রতিহত করার চেষ্টা করলে কোপটি তার হাতে লাগে এবং বাম হাতের তর্জুনি আঙুল কেটে পড়ে যায় গুরুতর জখম হয়।
এতে অভিযুক্তরা হলেন, ১। সানোয়ার আলী (৫৫).২। আব্দুল আহাদের পুত্র আমিনুল ইসলাম (৩২).৩। সৈয়ফুল ইসলাম (২৮),৪। সানোয়ার আলী’র পুত্র রাজন মিয়া (২৭),৫। সেবুল মিয়া’র পুত্র সাকিল মিয়া (১৯).৬. মৃত সমছুল হক’র পুত্র জহুরুল মিয়া (১৯)।
এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল জলিল বলেন,আমি সরকারি কাজে কয়েকদিন যাবত এলাকার বাহিরে ছিলাম।
রাতে এসেছি। এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

দোয়ারাবাজারে বোনকে কুপিয়ে হাতের আঙুল কেটে নিলো ভাই থানায় মামলা

আপডেট সময় ০২:২০:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ):
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে ভাই কর্তৃক বোনকে
হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে ভাইয়ের লোকজন।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত বোন (রুমেনা বেগম) শ্রীপুর গ্রামের সফিকুল ইসলাম (৫৬) স্ত্রী।
এঘটনায় আহত রুমেনা বেগম’র স্বামী সফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ঘটনার দিন রাতে দোয়ারাবাজার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,একই গ্রামের বাসিন্দা
মৃত আশিক উল্লাহর পুত্র সানোয়ার আলী (৫৫) ও কন্যা রুমেনা বেগম এর স্বামী সফিকুল ইসলামের বাড়ি পাশাপাশি। এতে বিভিন্ন সময় দুই পরিবারের মাঝে নানান বিষয়াদি নিয়ে ছোট খাটো ঝগড়াঝাঁটি চলে আসছিলো। পূর্ব এসব বিরোধের জেড়ে রুমেনা বেগম’র স্বামী শফিকুল ইসলামকে মারধর ও ফসলাদি নষ্ট করা লক্ষে বিভিন্ন সময়ে সুযোগ খুঁজে থাকে সানোয়ার আলী ও তার পুত্ররা। গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধায় সফিকুল ইসলাম তার আত্মীয় একই গ্রামের মৃত মুক্তার আলী’র পুত্র বাবুল মিয়া’র বাড়ি থেকে পারিবারিক কাজ শেষে রাত ৯ টায় বাড়িতে ফেরার পথে সফিকুল ইসলাম তার বসতঘরের পশ্চিম পাশে তার নিজস্ব ফসলি জমি কচু ক্ষেতের দিকে তাকলে প টাচ লাইটের আলোতে দেখতে পান যে অভিযুক্তরা দ্যা দিয়া কচু ক্ষেতর কচু কেটে নষ্ট করিতেছেন। যার ক্ষতির পরিমান (১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা), এতে সফিকুল ইসলাম তার জমির কচু নষ্ট করার কারন জিজ্ঞেস করলে অভিযুক্তরা মারধর ও হত্যা করার হুমকি দিয়ে চলে যান। এঘটনায় সফিকুল ইসলাম সমাজের ব্যক্তিবর্গের কাছে বিচারপ্রার্থী হলে এবং এ বিষয়টি অভিযুক্তরা জানতে পারায় ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করার সুযোগ খুঁজতে থাকে। এতে ২৬ এপ্রিল (শনিবার) দুপুর সাড়ে ১২ টায় তারা দলবদ্ধ হয়ে সফিকুল ইসলামের বাড়িতে ডুকে দ্যা,ছুরি ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। ঘুর ভাঙচুর করে একপর্যায়ে সফিকুল ইসলাম কে বসতঘর থেকে বের করে এনে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। এমতাবস্থায় তার স্ত্রী রুমেনা বেগম দৌড়িয়ে আসলে অভিযুক্তরা দ্যা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ দিলে দায়ের কোপে মাথা কেটে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয়। পরবর্তীতে আরেকটি কোপ দিলে রুমেনা বেগম বাম হাত দিয়ে তা প্রতিহত করার চেষ্টা করলে কোপটি তার হাতে লাগে এবং বাম হাতের তর্জুনি আঙুল কেটে পড়ে যায় গুরুতর জখম হয়।
এতে অভিযুক্তরা হলেন, ১। সানোয়ার আলী (৫৫).২। আব্দুল আহাদের পুত্র আমিনুল ইসলাম (৩২).৩। সৈয়ফুল ইসলাম (২৮),৪। সানোয়ার আলী’র পুত্র রাজন মিয়া (২৭),৫। সেবুল মিয়া’র পুত্র সাকিল মিয়া (১৯).৬. মৃত সমছুল হক’র পুত্র জহুরুল মিয়া (১৯)।
এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল জলিল বলেন,আমি সরকারি কাজে কয়েকদিন যাবত এলাকার বাহিরে ছিলাম।
রাতে এসেছি। এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।