দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ):
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে প্রবাসী আবু বকরের পরিবারের ভূসম্পত্তি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।প্রবাসীর নিজ মালিকানা বাড়ির জমি জবর দখল করার চেষ্টা করছে একটি রাজনৈতিক দলের পরিচয়দারী একদল চাঁদাবাজ দুর্বৃত্ত। গত ১২ মার্চ উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়ন কালাপশি গ্রামে এঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী প্রবাসী আবু বকরের পিতা সৈয়দুর রহমান জানিয়েছেন, চাঁদাবাজ লোকজনকে তারা ভয় পাচ্ছেন এবং জমিজমা আত্মসাৎ করার পাঁয়তারা করছে তারা।
প্রবাসীর পিতা সাংবাদিকদের বলেছেন, দীর্ঘদিন যাবত তাদের নিজ মালিকানাদীন জমির উপর বসতভিটা নির্মান করে বসবাস করে আসছে। বেশ কয়েকবছর আগে তার ছেলে প্রবাসে যায় এবং ২০২৪ সালের ৯ জানুয়ারি সে ছুটিতে আসে। ২০২৪ সালের ১১ জানুয়ারি পারিবারিক সিদ্ধান্তে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার বিবাহের কয়েকদিন পর একই গ্রামের বিএনপি নেতা
আব্দুর রহিমের পুত্র ছাত্রদল নেতা ফরিদ মিয়া (২৪) এর সাথে রাজনৈতিক আলাপআলোচনা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। এর ৩ দিন পর ১৬ জানুয়ারি ফরিদ মিয়া প্রবাসী আবু বকরকে একা পেয়ে তার উপর হামলা চালায়, আত্মরক্ষায় আবু বকর দৌড়ে গিয়ে পাশবর্তী এক বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এসময় ফরিদ মিয়া হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে যে সুযোগ পেলে তাকে একে সত্তর আদায় করবে। পরে স্থানীয়রা বিষয়টা সমাধান করে দেন। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর ছাত্রদল নেতা ফরিদ মিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের মদদে এলাকায় কিশোরগ্যাংদের নিয়ে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে। নিজের দলের সুসময় হওয়ায় গত বছরের ২২ নভেম্বর প্রবাসী আবু বকরের বাড়িতে গিয়ে তার পিতা -মাতাকে হুমকিধামকি দেয় যে তাকে চাঁদা দেওয়ার জন্য। চাঁদা না দিলে সে বাড়িঘর দখল করে নিবে। এসময় আবু বকর দলবল নিয়ে ১ মাসের আল্টিমেটাম দিয়ে যায়। পরে গত ফেব্রুয়ারি ২ তারিখ ফরিদ মিয়া আবার আবু বকরের পিতার সাথে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে বাকবিতন্ডা হয় এরই জেরে প্রবাসী আবু বকরের পিতা সৈয়দুর রহমানকেও দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।
পূর্ববিরোধের এসব জেরে হঠাৎ গত ১২ মার্চ দুপুর ১২ টায় বিএনপি নেতা আব্দুর রহিম ও তার ছেলে ছাত্রদল নেতা ফরিদ মিয়া দলবল নিয়ে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা দেয়। এসময় প্রবাসী’র বাড়িতে লুঠপাট ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। ওইদিন রাতে আবার ফরিদ মিয়া প্রবাসী আবু বকরের বাড়িতে এসে তার বাবাকে এবিষয়ে কাউকে না জানাতে হুমকি দিয়ে যায় যে,যদি বিষয়টি কেউ জানা জানি হয় তাহলে এই বাড়ি-ঘর ফেলে তারা চলে যেতে হবে। ভয়ে তখন বিষয়টি প্রবাসী আবু বকরের পিতা কাউকে জানায় নি। এ
নিয়ে খুবই চিন্তিত ছিলেন আবু বকরের পরিবার। এঘটনার ১ মাস পর গত ১ এপ্রিলের ২ তারিখ স্থানীয় সাংবাদিকরা বিষয়টি জানতে পেরে প্রবাসীর বাড়িতে আসে এবং এঘটনার বিষয়ে তথ্য উদঘাটন করে। প্রবাসীর বাড়িতে সাংবাদিক আসার বিষয়টি জানতে পেরে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা ও ছাত্রদলের নামধারী তার সন্তান কিশোরগ্যাং লিডার ফরিদ মিয়া দ্বিতীয়বার প্রবাসীর বাবাকে রাস্তায় একা পেয়ে লাঞ্ছিত করে ও বেশি বারাবাড়ি করবে না বলে হুমকি দেয় এবং বলে যে পিতা ও পরিবারের উপর প্রতিশোধ হয়েছে। বাকি রয়েছে প্রবাসী সন্তান আবু বকর। সে যখনই দেশে আসুক তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় তারা।
অপৃতিকর এসব ঘটনা নিয়ে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউপি’র কালাপশি গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী আবু বকরের পরিবার দুশ্চিন্তা নির্ঘুমে রাত্রিযাপন করছেন। নিজের জীবনের নিরাপত্তায় দেশে আসতে পারছেনা প্রবাসী আবু বকর।
তার পরিবারের দাবি হামলাকারী বিএনপি নেতাদেরকে প্রতিমাসে একটা চাঁদা দিলেই তারা এই এলাকায় নিরাপদে বসবাস করতে পারবেন।না হয় বাড়ি ও জমিজমা রেখে অন্যতায় চলে যেতে হবে। এমতাবস্থায় পরিবার পরিজনের নিরাপত্তা আর ছেলেকে দেশে আনতে প্রশাসনের নিকট সহযোগিতা চেয়েছেন আবু বকরের পরিবার।
ঢাকা
,
মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::










দোয়ারাবাজারে প্রবাসীর বাড়ি দখলে একদল কুচক্রী মহলের পাঁয়তারা।। হামলা ভাংচুর
-
সোহেল মিয়া
- আপডেট সময় ১১:৪৪:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
- ৫০৫ বার পড়া হয়েছে
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ