ঢাকা , সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব! Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের উদ্যোগে সিরাত মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান Logo অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি নয়, বিধবা কার্ড বাতিলের অভিযোগ Logo বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় সীমান্তিকের উদ্যাগে বিশ্ব গর্ভনিরোধ দিবস উদযাপন Logo সিলেটে পাথরবাহী ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ঔষধ কোম্পানীর এরিয়া ম্যানেজার নিহত Logo পাথারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃআলী নেওয়াজের ইন্তেকাল Logo শান্তিগঞ্জে শিক্ষার মানোন্নয়নে একত্রে তিনটি বিদ্যালয়ের অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী আর নেই Logo দুর্যোগ ব্যবস্থা কমিটির সভা Logo ছিনতাই করে পালোনোর সময় সিএনজি সহ চার ছিনতাইকারী জনতার হাতে আটক

বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজনে বিদেশ থেকে ডিম আমদানি করা হবে

বাংলাদেশে প্রাণিজ আমিষের অন্যতম উৎস ধরা হতো ডিমকেকিন্তু কয়েকদিন ধরে বাজারে ডিমের যে মূল্য দেখা যাচ্ছে এটা এখন সীমিত আয়ের মানুষের কাছে ‘সাশ্রয়ী’ কোনও পণ্য নয়। বাজারের ব্যয় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্ন, নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকে।জানুয়ারি মাসে যেখানে এক ডজন ডিমের দাম ছিল ১২০ টাকা বা এর আশেপাশে। ফেব্রুয়ারি মাসে ডিমের দাম বেড়ে হয়েছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা।এর আগেও গত বছরের অগাস্ট মাসে ডিমের দাম হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছিল।সেইসময় ডিমের বাজার মূল্য নিয়ে যে আলোড়ন উঠেছিল সেই প্রেক্ষাপটে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন “বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজনে বিদেশ থেকে ডিম আমদানি করা হবে।”এরপরে কিছুদিন দাম কমতির দিকে থাকলেও গত কয়েক মাস ধরে ডিমের দাম ছিল বাড়তির দিকে।আর চলতি সপ্তাহে ডিম হালিতে বিক্রি হচ্ছে ৪৮থেকে ৫০ টাকা করে।হঠাৎ করে ডিমের দাম আবার বাড়ছে কেন?

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে যে খাদ্য ও জ্বালানি সংকট তৈরি হয়েছে সেটার প্রভাব পড়েছে পোল্ট্রি খাদ্যের দামে।পোল্ট্রি খাদ্য তৈরিতে ভুট্টা, সয়ামিলসহ বিভিন্ন কাঁচামালের প্রয়োজন হয়। আর এই পোল্ট্রি শিল্পের প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশই আমদানি নির্ভর। পোল্ট্রি খাদ্য, জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে, সে কারণে ডিম ও মুরগির দামও বেড়েছে -বলছেন ব্যবসায়ীরা।পোল্ট্রি শিল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্ববাজারে কাঁচামালের দাম যেমন বেড়েছে, তেমনি ডলারের দামের কারণে আমদানির খরচ বেড়েছে। এছাড়া, ব্যাংকগুলোতে ডলার সংকট থাকায় এলসি খুলতে সমস্যা হচ্ছে। এ কারণে খাদ্য আমদানি বাজারে সরবরাহে ঘাটতিও তৈরি হয়েছে।৭৫ থেকে ৮০ ভাগ খাদ্যের উপাদান আমদানি হয়। সেখানে ফরেন কারেন্সির সমস্যার কারণে এই খাতে প্রভাব পড়েছে। এছাড়া রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে খাদ্যের চালান আসতে সমস্যা হচ্ছে। এটাও ফ্যাক্টর বলছিলেন বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এম এম খান।মি. খান বলছেন, পোল্ট্রি খাদ্যের চড়া দামের কারণে লোকসান দিয়ে ছোট অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে উৎপাদন এখন কম।এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে মুরগির বাচ্চার দাম না পাওয়ায় দেশে মুরগি ও ডিমের বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ পোল্ট্রি শিল্প সংশ্লিষ্টরা।মি. খান জানান, “গত এক বছরে প্রায় ৪০ শতাংশ খামার বন্ধ হয়ে গেছে।” দাম এরকম বাড়তে থাকলে বাকি খামারগুলো বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।তিনি বলছেন, ডিমের দাম বাড়লেও খামারিরা এর কোনও সুফল পাচ্ছে না। কারণ বিভিন্ন জায়গা বিভিন্ন আড়ত ব্যবসায়ীরা ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেয়। দেশের যে কয়টি জায়গায় দাম নির্ধারণ হয় সেটাকে কেন্দ্র করেই দেশব্যাপী ডিমের দাম ওঠানামা করে।তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই দাম বেঁধে দিলেও বাজারে তার প্রভাব পড়ে না, পোল্ট্রি খাদ্যের দাম পরিবহন খরচ ইত্যাদি বিষয়ের ওপর ডিমের দাম নির্ধারণ হয়।বাজারে যে চাহিদা এর বিপরীতে কম সরবরাহ হলেও ডিমের দাম বেড়ে যায়।বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলছেন, “উৎপাদন খরচ কমাতে না পারলে ডিমের দাম কমবে না”।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব!

বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজনে বিদেশ থেকে ডিম আমদানি করা হবে

আপডেট সময় ০৭:৪৮:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বাংলাদেশে প্রাণিজ আমিষের অন্যতম উৎস ধরা হতো ডিমকেকিন্তু কয়েকদিন ধরে বাজারে ডিমের যে মূল্য দেখা যাচ্ছে এটা এখন সীমিত আয়ের মানুষের কাছে ‘সাশ্রয়ী’ কোনও পণ্য নয়। বাজারের ব্যয় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্ন, নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকে।জানুয়ারি মাসে যেখানে এক ডজন ডিমের দাম ছিল ১২০ টাকা বা এর আশেপাশে। ফেব্রুয়ারি মাসে ডিমের দাম বেড়ে হয়েছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা।এর আগেও গত বছরের অগাস্ট মাসে ডিমের দাম হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছিল।সেইসময় ডিমের বাজার মূল্য নিয়ে যে আলোড়ন উঠেছিল সেই প্রেক্ষাপটে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন “বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজনে বিদেশ থেকে ডিম আমদানি করা হবে।”এরপরে কিছুদিন দাম কমতির দিকে থাকলেও গত কয়েক মাস ধরে ডিমের দাম ছিল বাড়তির দিকে।আর চলতি সপ্তাহে ডিম হালিতে বিক্রি হচ্ছে ৪৮থেকে ৫০ টাকা করে।হঠাৎ করে ডিমের দাম আবার বাড়ছে কেন?

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে যে খাদ্য ও জ্বালানি সংকট তৈরি হয়েছে সেটার প্রভাব পড়েছে পোল্ট্রি খাদ্যের দামে।পোল্ট্রি খাদ্য তৈরিতে ভুট্টা, সয়ামিলসহ বিভিন্ন কাঁচামালের প্রয়োজন হয়। আর এই পোল্ট্রি শিল্পের প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশই আমদানি নির্ভর। পোল্ট্রি খাদ্য, জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে, সে কারণে ডিম ও মুরগির দামও বেড়েছে -বলছেন ব্যবসায়ীরা।পোল্ট্রি শিল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্ববাজারে কাঁচামালের দাম যেমন বেড়েছে, তেমনি ডলারের দামের কারণে আমদানির খরচ বেড়েছে। এছাড়া, ব্যাংকগুলোতে ডলার সংকট থাকায় এলসি খুলতে সমস্যা হচ্ছে। এ কারণে খাদ্য আমদানি বাজারে সরবরাহে ঘাটতিও তৈরি হয়েছে।৭৫ থেকে ৮০ ভাগ খাদ্যের উপাদান আমদানি হয়। সেখানে ফরেন কারেন্সির সমস্যার কারণে এই খাতে প্রভাব পড়েছে। এছাড়া রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে খাদ্যের চালান আসতে সমস্যা হচ্ছে। এটাও ফ্যাক্টর বলছিলেন বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এম এম খান।মি. খান বলছেন, পোল্ট্রি খাদ্যের চড়া দামের কারণে লোকসান দিয়ে ছোট অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে উৎপাদন এখন কম।এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে মুরগির বাচ্চার দাম না পাওয়ায় দেশে মুরগি ও ডিমের বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ পোল্ট্রি শিল্প সংশ্লিষ্টরা।মি. খান জানান, “গত এক বছরে প্রায় ৪০ শতাংশ খামার বন্ধ হয়ে গেছে।” দাম এরকম বাড়তে থাকলে বাকি খামারগুলো বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।তিনি বলছেন, ডিমের দাম বাড়লেও খামারিরা এর কোনও সুফল পাচ্ছে না। কারণ বিভিন্ন জায়গা বিভিন্ন আড়ত ব্যবসায়ীরা ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেয়। দেশের যে কয়টি জায়গায় দাম নির্ধারণ হয় সেটাকে কেন্দ্র করেই দেশব্যাপী ডিমের দাম ওঠানামা করে।তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই দাম বেঁধে দিলেও বাজারে তার প্রভাব পড়ে না, পোল্ট্রি খাদ্যের দাম পরিবহন খরচ ইত্যাদি বিষয়ের ওপর ডিমের দাম নির্ধারণ হয়।বাজারে যে চাহিদা এর বিপরীতে কম সরবরাহ হলেও ডিমের দাম বেড়ে যায়।বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলছেন, “উৎপাদন খরচ কমাতে না পারলে ডিমের দাম কমবে না”।