ঢাকা , বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo শান্তিগঞ্জে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন Logo শান্তিগঞ্জে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়  Logo সুনামগঞ্জের জিল্লুর রহমান সহ ছয় অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি Logo দিরাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে কোন অনিয়ম দালালির সাথে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে Logo ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব! Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের উদ্যোগে সিরাত মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান Logo অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি নয়, বিধবা কার্ড বাতিলের অভিযোগ Logo বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় সীমান্তিকের উদ্যাগে বিশ্ব গর্ভনিরোধ দিবস উদযাপন Logo সিলেটে পাথরবাহী ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ঔষধ কোম্পানীর এরিয়া ম্যানেজার নিহত Logo পাথারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃআলী নেওয়াজের ইন্তেকাল

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন: ১০ দিন পর মামলা

কক্সবাজারের উখিয়া বালুখালী ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে উখিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে। ১১ নম্বর ক্যাম্পের বাসিন্দা রোহিঙ্গা যুবক মো. সেলিম বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলার বাদী ওই ক্যাম্পের একটি ব্লকের সহকারী মাঝির দায়িত্ব পালন করেন। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বিকালে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী।তিনি জানান, ২০/২৫ জনের দুর্বৃত্তের দল একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ১১ নম্বর ক্যাম্পের কয়েকটি জায়গায় একই সময়ে নাশকতার উদ্দেশে আগুন লাগায় বলে বাদী তার এজাহারে উল্লেখ করেন। সোমবার রাতে লিখিত এজাহার জমা দেন। এজাহারটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে আজ বিকালে থানার এসআই খায়ের উদ্দিনকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।উখিয়ার বালুখালী ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গত ৫ মার্চের অগ্নিকাণ্ড পরিকল্পিত নাশকতা বলে প্রমাণ পেয়েছে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আধিপত্য বিস্তার করতে আগুন দিয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের পক্ষে গঠিত সাত সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। রবিবার বিকালে এই প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি। প্রতিবেদনে আগুনের ঘটনায় নেপথ্য উদঘাটনে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান ও গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানোসহ ১২টি সুপারিশ করা হয়েছে।তদন্ত কমিটির প্রধান জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অগ্নিকাণ্ড পরিকল্পিত কিন্তু কারা ঘটিয়েছে সেটা জানা যায়নি। মামলা দায়ের করে গভীর তদন্তে কারা আগুন লাগিয়েছে তা বেরিয়ে আসবে।উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ দুপুরে উখিয়ার বালুখালী ১১ নম্বর ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে ঘরসহ দুই হাজার ৮০৫টি নানা স্থাপনা পুড়ে যায়। এই ঘটনায় ১৫ হাজার ৯২৫ জন রোহিঙ্গা ক্ষতিগ্রস্ত হন। এর আগে, ২০২১ সালের ২২ মার্চ একই ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটে। ওই সময় ১১ জনের মৃত্যু, পাঁচ শতাধিক মানুষ আহত হন। পুড়ে যায় ১০ হাজারের বেশি ঘর।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন

শান্তিগঞ্জে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন: ১০ দিন পর মামলা

আপডেট সময় ০৬:৫১:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩

কক্সবাজারের উখিয়া বালুখালী ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে উখিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে। ১১ নম্বর ক্যাম্পের বাসিন্দা রোহিঙ্গা যুবক মো. সেলিম বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলার বাদী ওই ক্যাম্পের একটি ব্লকের সহকারী মাঝির দায়িত্ব পালন করেন। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বিকালে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী।তিনি জানান, ২০/২৫ জনের দুর্বৃত্তের দল একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ১১ নম্বর ক্যাম্পের কয়েকটি জায়গায় একই সময়ে নাশকতার উদ্দেশে আগুন লাগায় বলে বাদী তার এজাহারে উল্লেখ করেন। সোমবার রাতে লিখিত এজাহার জমা দেন। এজাহারটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে আজ বিকালে থানার এসআই খায়ের উদ্দিনকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।উখিয়ার বালুখালী ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গত ৫ মার্চের অগ্নিকাণ্ড পরিকল্পিত নাশকতা বলে প্রমাণ পেয়েছে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আধিপত্য বিস্তার করতে আগুন দিয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের পক্ষে গঠিত সাত সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। রবিবার বিকালে এই প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি। প্রতিবেদনে আগুনের ঘটনায় নেপথ্য উদঘাটনে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান ও গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানোসহ ১২টি সুপারিশ করা হয়েছে।তদন্ত কমিটির প্রধান জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অগ্নিকাণ্ড পরিকল্পিত কিন্তু কারা ঘটিয়েছে সেটা জানা যায়নি। মামলা দায়ের করে গভীর তদন্তে কারা আগুন লাগিয়েছে তা বেরিয়ে আসবে।উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ দুপুরে উখিয়ার বালুখালী ১১ নম্বর ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে ঘরসহ দুই হাজার ৮০৫টি নানা স্থাপনা পুড়ে যায়। এই ঘটনায় ১৫ হাজার ৯২৫ জন রোহিঙ্গা ক্ষতিগ্রস্ত হন। এর আগে, ২০২১ সালের ২২ মার্চ একই ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটে। ওই সময় ১১ জনের মৃত্যু, পাঁচ শতাধিক মানুষ আহত হন। পুড়ে যায় ১০ হাজারের বেশি ঘর।