ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের রফিনগর গ্রামের সাজ্জাতুলের বাড়িঘরে হামলা,ভাংচুর লুটপাঠসহ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ভাংচুরের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত -নিহতদের স্মরণে দোয়ারাবাজারে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত Logo অন্তবর্তীকালীন সরকার পতনের ষড়যন্ত্র গোপন বৈঠকে থাকা ছাত্রলীগের ৩৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি Logo শান্তিগঞ্জে বিনামূল্যে গরু বিতরণের লক্ষ্যে অবহিতকরণ সভা ও প্রশিক্ষণ Logo দোয়ারাবাজারে সরকারি গাছ কর্তন।। জব্দ করলো প্রশাসন Logo শান্তিগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা  Logo ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে তাহিরপুরে’স্মরণ সভা’ Logo ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে শান্তিগঞ্জে ‘স্মরণ সভা’ Logo চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ বাম্পার ফলনে শান্তিগঞ্জের কৃষকের মুখে হাসি Logo জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন: ১০ দিন পর মামলা

কক্সবাজারের উখিয়া বালুখালী ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে উখিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে। ১১ নম্বর ক্যাম্পের বাসিন্দা রোহিঙ্গা যুবক মো. সেলিম বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলার বাদী ওই ক্যাম্পের একটি ব্লকের সহকারী মাঝির দায়িত্ব পালন করেন। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বিকালে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী।তিনি জানান, ২০/২৫ জনের দুর্বৃত্তের দল একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ১১ নম্বর ক্যাম্পের কয়েকটি জায়গায় একই সময়ে নাশকতার উদ্দেশে আগুন লাগায় বলে বাদী তার এজাহারে উল্লেখ করেন। সোমবার রাতে লিখিত এজাহার জমা দেন। এজাহারটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে আজ বিকালে থানার এসআই খায়ের উদ্দিনকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।উখিয়ার বালুখালী ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গত ৫ মার্চের অগ্নিকাণ্ড পরিকল্পিত নাশকতা বলে প্রমাণ পেয়েছে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আধিপত্য বিস্তার করতে আগুন দিয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের পক্ষে গঠিত সাত সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। রবিবার বিকালে এই প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি। প্রতিবেদনে আগুনের ঘটনায় নেপথ্য উদঘাটনে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান ও গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানোসহ ১২টি সুপারিশ করা হয়েছে।তদন্ত কমিটির প্রধান জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অগ্নিকাণ্ড পরিকল্পিত কিন্তু কারা ঘটিয়েছে সেটা জানা যায়নি। মামলা দায়ের করে গভীর তদন্তে কারা আগুন লাগিয়েছে তা বেরিয়ে আসবে।উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ দুপুরে উখিয়ার বালুখালী ১১ নম্বর ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে ঘরসহ দুই হাজার ৮০৫টি নানা স্থাপনা পুড়ে যায়। এই ঘটনায় ১৫ হাজার ৯২৫ জন রোহিঙ্গা ক্ষতিগ্রস্ত হন। এর আগে, ২০২১ সালের ২২ মার্চ একই ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটে। ওই সময় ১১ জনের মৃত্যু, পাঁচ শতাধিক মানুষ আহত হন। পুড়ে যায় ১০ হাজারের বেশি ঘর।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের রফিনগর গ্রামের সাজ্জাতুলের বাড়িঘরে হামলা,ভাংচুর লুটপাঠসহ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ভাংচুরের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন: ১০ দিন পর মামলা

আপডেট সময় ০৬:৫১:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩

কক্সবাজারের উখিয়া বালুখালী ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে উখিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে। ১১ নম্বর ক্যাম্পের বাসিন্দা রোহিঙ্গা যুবক মো. সেলিম বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলার বাদী ওই ক্যাম্পের একটি ব্লকের সহকারী মাঝির দায়িত্ব পালন করেন। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বিকালে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী।তিনি জানান, ২০/২৫ জনের দুর্বৃত্তের দল একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ১১ নম্বর ক্যাম্পের কয়েকটি জায়গায় একই সময়ে নাশকতার উদ্দেশে আগুন লাগায় বলে বাদী তার এজাহারে উল্লেখ করেন। সোমবার রাতে লিখিত এজাহার জমা দেন। এজাহারটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে আজ বিকালে থানার এসআই খায়ের উদ্দিনকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।উখিয়ার বালুখালী ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গত ৫ মার্চের অগ্নিকাণ্ড পরিকল্পিত নাশকতা বলে প্রমাণ পেয়েছে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আধিপত্য বিস্তার করতে আগুন দিয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের পক্ষে গঠিত সাত সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। রবিবার বিকালে এই প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি। প্রতিবেদনে আগুনের ঘটনায় নেপথ্য উদঘাটনে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান ও গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানোসহ ১২টি সুপারিশ করা হয়েছে।তদন্ত কমিটির প্রধান জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অগ্নিকাণ্ড পরিকল্পিত কিন্তু কারা ঘটিয়েছে সেটা জানা যায়নি। মামলা দায়ের করে গভীর তদন্তে কারা আগুন লাগিয়েছে তা বেরিয়ে আসবে।উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ দুপুরে উখিয়ার বালুখালী ১১ নম্বর ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে ঘরসহ দুই হাজার ৮০৫টি নানা স্থাপনা পুড়ে যায়। এই ঘটনায় ১৫ হাজার ৯২৫ জন রোহিঙ্গা ক্ষতিগ্রস্ত হন। এর আগে, ২০২১ সালের ২২ মার্চ একই ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটে। ওই সময় ১১ জনের মৃত্যু, পাঁচ শতাধিক মানুষ আহত হন। পুড়ে যায় ১০ হাজারের বেশি ঘর।