ঢাকা , বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo দিরাইয়ে অহিংস দিবস পালিত Logo আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উপলক্ষে শান্তিগঞ্জে পিএফজি’র মানববন্ধন  Logo শান্তিগঞ্জে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন Logo শান্তিগঞ্জে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়  Logo সুনামগঞ্জের জিল্লুর রহমান সহ ছয় অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি Logo দিরাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে কোন অনিয়ম দালালির সাথে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে Logo ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব! Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের উদ্যোগে সিরাত মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান Logo অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি নয়, বিধবা কার্ড বাতিলের অভিযোগ Logo বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় সীমান্তিকের উদ্যাগে বিশ্ব গর্ভনিরোধ দিবস উদযাপন

ধর্ষণ মামলায় সাবেক এমপি আরজুকে অব্যাহতি

পাবনা-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) খন্দকার আজিজুল হক আরজুর বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলা থেকে তাকে অব্যাহতির আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।বুধবার (২৯ মার্চ) মামলাটির চার্জ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। চার্জ গঠনের সময় মামলা থেকে আসামিকে অব্যাহতি দিলে কোনও আপত্তি থাকবে না বলে আদালতকে জানান বাদী। শুনানি শেষে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক বেগম সামছুন্নাহারের আদালত মামলা থেকে আরজুকে অব্যাহতির আদেশ দেন।সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর  আলী আজগর স্বপন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।এর আগে গত ১৩ মার্চ আরজুকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক বাদীকে বিয়ে করার শর্তে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিনের আদেশ দেন। জামিন পাওয়ার পরে তিনি এই মামলার বাদীকে বিয়ে করে দেনমোহর পরিশোধ করেছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।এদিকে আরজুর পক্ষের আইনজীবী কাজী নজিব উল্ল্যাহ হিরু জানান, আদালতের শর্ত মোতাবেক আসামি বাদীকে বিয়ে করেছেন এবং এখন তারা একত্রে ঘরসংসার করছেন। তাই এখন আসামিকে অব্যাহতি দিলে বাদীর কোনও আপত্তি নেই। এরপর আদালত বাদীর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি একমত প্রকাশ করেন। তখন আদালত আসামিকে অব্যাহতি দেন।এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন আরজু। ওইদিন তার জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। ২০২২ সালের ২২ এপ্রিল শিক্ষানবিশ এক আইনজীবী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। ট্রাইব্যুনাল বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পিবিআইকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের আদেশ দেন। তদন্তের পর ঢাকা মহানগর উত্তর পিবিআই’র পরিদর্শক সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম ট্রাইব্যুনালে গত ৫ জানুয়ারি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন।  গত ১৬ জানুযারি একই আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর দেওয়া প্রতিবেদন আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।অভিযোগে বলা হয়, ২০০০ সালের ডিসেম্বরে বাদীর সঙ্গে তার প্রথম স্বামীর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তখন তিনি একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে চাকরি করা অবস্থায় প্রায় নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করছিলেন। তখন তার আত্মীয়-স্বজনরা তাকে পুনরায় বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। একপর্যায়ে ২০০১ সালের শেষের দিকে বাদীর চাচার মাধ্যমে আসামির সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে আসামি নিয়মিত বাদীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একপর্যায়ে সফল হন। আসামি তাকে জানান, তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী মারা গেছেন। সামাজিক নির্ভরতা এবং একাকিত্বের অবসান ঘটাতে নতুন সংসার শুরু করতে চান বিবাদী। এতে করে বাদী আসামিকে ভালোবেসে ফেলেন এবং বিয়ের প্রস্তাবে সাড়া দেন। ২০০৩ সালের ১০ ডিসেম্বর তারা বিয়ে করেন। ২০০৮ সালের ১৬ জানুয়ারি তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। সন্তান গর্ভে আসার পর আসামি বিভিন্ন ছলছাতুরীর মাধ্যমে বাচ্চা নষ্ট করার চেষ্টা করেন।অভিযোগে আরও বলা হয়, কিন্তু, বাদীর দৃঢ়তার জন্য বাচ্চা নষ্ট করতে পারেনি। বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর আসামির আচার-আচরণে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। আসামি বাদীর বাসায় আসা কমিয়ে দেন। ইতোমধ্যে বাদীর নামে ফ্ল্যাট কিনে দেওয়ার কথা বলে তার (বাদীর) বাবার কাছ থেকে নেওয়া ১০ লাখ টাকা ও জমানো ৮ লাখ টাকা এবং ১৫ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার  বিক্রি করে আসামিকে টাকা দিলেও তিনি কোনও ফ্ল্যাট কিনে দেননি। টাকাও ফেরত দেননি। একপর্যয়ে বাদীর বাসায় আসা বন্ধ করে দেন আসামি। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আসামির প্রথম পক্ষের স্ত্রী জীবিত। ওই ঘরে তার কন্যা সন্তান আছে এবং স্ত্রীর সঙ্গেই থাকেন আসামি। আরও জানা যায়, আসামি বাদীর কাছে নিজেকে ফারুক হোসেন নামে পরিচয় দিলেও প্রকৃতপক্ষে তার নাম খন্দকার আজিজুল হক আরজু। শারীরিক সম্পর্ক করার জন্যই বিয়ের নামে বাদীর প্রতারণা করা হয়েছে। এরপর আসামি কয়েকবার নিজে এবং ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করান। একপর্যায়ে আসামি বাদীর সঙ্গে বিয়ে এবং তার ঔরসের সন্তানকে সরাসরি অস্বীকার করেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন

দিরাইয়ে অহিংস দিবস পালিত

ধর্ষণ মামলায় সাবেক এমপি আরজুকে অব্যাহতি

আপডেট সময় ০৬:০২:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩

পাবনা-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) খন্দকার আজিজুল হক আরজুর বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলা থেকে তাকে অব্যাহতির আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।বুধবার (২৯ মার্চ) মামলাটির চার্জ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। চার্জ গঠনের সময় মামলা থেকে আসামিকে অব্যাহতি দিলে কোনও আপত্তি থাকবে না বলে আদালতকে জানান বাদী। শুনানি শেষে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক বেগম সামছুন্নাহারের আদালত মামলা থেকে আরজুকে অব্যাহতির আদেশ দেন।সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর  আলী আজগর স্বপন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।এর আগে গত ১৩ মার্চ আরজুকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক বাদীকে বিয়ে করার শর্তে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিনের আদেশ দেন। জামিন পাওয়ার পরে তিনি এই মামলার বাদীকে বিয়ে করে দেনমোহর পরিশোধ করেছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।এদিকে আরজুর পক্ষের আইনজীবী কাজী নজিব উল্ল্যাহ হিরু জানান, আদালতের শর্ত মোতাবেক আসামি বাদীকে বিয়ে করেছেন এবং এখন তারা একত্রে ঘরসংসার করছেন। তাই এখন আসামিকে অব্যাহতি দিলে বাদীর কোনও আপত্তি নেই। এরপর আদালত বাদীর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি একমত প্রকাশ করেন। তখন আদালত আসামিকে অব্যাহতি দেন।এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন আরজু। ওইদিন তার জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। ২০২২ সালের ২২ এপ্রিল শিক্ষানবিশ এক আইনজীবী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। ট্রাইব্যুনাল বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পিবিআইকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের আদেশ দেন। তদন্তের পর ঢাকা মহানগর উত্তর পিবিআই’র পরিদর্শক সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম ট্রাইব্যুনালে গত ৫ জানুয়ারি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন।  গত ১৬ জানুযারি একই আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর দেওয়া প্রতিবেদন আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।অভিযোগে বলা হয়, ২০০০ সালের ডিসেম্বরে বাদীর সঙ্গে তার প্রথম স্বামীর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তখন তিনি একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে চাকরি করা অবস্থায় প্রায় নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করছিলেন। তখন তার আত্মীয়-স্বজনরা তাকে পুনরায় বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। একপর্যায়ে ২০০১ সালের শেষের দিকে বাদীর চাচার মাধ্যমে আসামির সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে আসামি নিয়মিত বাদীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একপর্যায়ে সফল হন। আসামি তাকে জানান, তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী মারা গেছেন। সামাজিক নির্ভরতা এবং একাকিত্বের অবসান ঘটাতে নতুন সংসার শুরু করতে চান বিবাদী। এতে করে বাদী আসামিকে ভালোবেসে ফেলেন এবং বিয়ের প্রস্তাবে সাড়া দেন। ২০০৩ সালের ১০ ডিসেম্বর তারা বিয়ে করেন। ২০০৮ সালের ১৬ জানুয়ারি তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। সন্তান গর্ভে আসার পর আসামি বিভিন্ন ছলছাতুরীর মাধ্যমে বাচ্চা নষ্ট করার চেষ্টা করেন।অভিযোগে আরও বলা হয়, কিন্তু, বাদীর দৃঢ়তার জন্য বাচ্চা নষ্ট করতে পারেনি। বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর আসামির আচার-আচরণে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। আসামি বাদীর বাসায় আসা কমিয়ে দেন। ইতোমধ্যে বাদীর নামে ফ্ল্যাট কিনে দেওয়ার কথা বলে তার (বাদীর) বাবার কাছ থেকে নেওয়া ১০ লাখ টাকা ও জমানো ৮ লাখ টাকা এবং ১৫ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার  বিক্রি করে আসামিকে টাকা দিলেও তিনি কোনও ফ্ল্যাট কিনে দেননি। টাকাও ফেরত দেননি। একপর্যয়ে বাদীর বাসায় আসা বন্ধ করে দেন আসামি। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আসামির প্রথম পক্ষের স্ত্রী জীবিত। ওই ঘরে তার কন্যা সন্তান আছে এবং স্ত্রীর সঙ্গেই থাকেন আসামি। আরও জানা যায়, আসামি বাদীর কাছে নিজেকে ফারুক হোসেন নামে পরিচয় দিলেও প্রকৃতপক্ষে তার নাম খন্দকার আজিজুল হক আরজু। শারীরিক সম্পর্ক করার জন্যই বিয়ের নামে বাদীর প্রতারণা করা হয়েছে। এরপর আসামি কয়েকবার নিজে এবং ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করান। একপর্যায়ে আসামি বাদীর সঙ্গে বিয়ে এবং তার ঔরসের সন্তানকে সরাসরি অস্বীকার করেন।