ঢাকা , বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উপলক্ষে শান্তিগঞ্জে পিএফজি’র মানববন্ধন  Logo শান্তিগঞ্জে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন Logo শান্তিগঞ্জে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়  Logo সুনামগঞ্জের জিল্লুর রহমান সহ ছয় অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি Logo দিরাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে কোন অনিয়ম দালালির সাথে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে Logo ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব! Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের উদ্যোগে সিরাত মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান Logo অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি নয়, বিধবা কার্ড বাতিলের অভিযোগ Logo বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় সীমান্তিকের উদ্যাগে বিশ্ব গর্ভনিরোধ দিবস উদযাপন Logo সিলেটে পাথরবাহী ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ঔষধ কোম্পানীর এরিয়া ম্যানেজার নিহত

প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

বাংলাদেশের প্রথম সারির দৈনিক পত্রিকা প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়।এ মামলাটি দায়ের করেছেন আব্দুল মালেক নামে এক ব্যক্তি, যিনি নিজেকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। একই সাথে তিনি ‘বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দাবি করেছেন।মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক ছাড়াও প্রথম আলো পত্রিকার সাভারে নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, সহযোগী একজন ক্যামেরাম্যান এবং প্রতিবেদনটি প্রচার-প্রকাশের সাথে জড়িত অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে বলে জানান আব্দুল মালেক।এই মামলাটি তদন্তের জন্য রমনা থানার একজন পরিদর্শককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।মি. মালেক বিবিসি বাংলাকে জানান, “প্রথম আলো ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যা দেশের শান্তি শৃঙ্খলাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। দেশের ভেতরে অস্থিতিশীল ও বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এর বিচার হওয়া দরকার।”বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “প্রথম আলোর প্রতিবেদন যে মিথ্যা সেটা একাত্তরের রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে।”ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ এর (২), ৩১, ৩৫ আনা অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া ব্যবহার করে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ণ করে এবং বিভ্রান্তি ছড়াতে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে।এর আগে ২৯শে মার্চ ঢাকার তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের হয়।প্রথম আলো, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে ‘ভুল তথ্য, মিথ্যা পরিচয় ও মিথ্যা উদ্ধৃতি’ দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে- এমন অভিযোগ এনে গোলাম কিবরিয়া নামে এক ব্যক্তি ওই মামলাটি দায়ের করেন।মামলার এজাহারের সাথে একাত্তর টিভির প্রতিবেদনের কপিও জমা দেয়া হয়।তবে এই মামলা দায়েরের আগে শামসুজ্জামান শামসকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে।বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করলেও তাকে কোন বাহিনী ধরে নিয়ে গিয়েছে সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।সম্পাদকের বিরুদ্ধে করা মামলার বিষয়ে জানতে সকাল থেকে রমনা থানার একাধিক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলেও কারও কোন সাড়া মেলেনি।গতকাল রাতে প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টারসহ কয়েকটি গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহের জন্য রমনা থানার সামনে গেলে তাদের ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি বলে তারা অভিযোগ করেন।প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক নুরুল আমিন সেখানে ছিলেন। তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, “আমরা রাত সাড়ে ১২টায় থানায় যাই। কিন্তু আমাদের কাউকেই ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। থানায় প্রবেশের অধিকার তো সবার আছে। কিন্তু আমরা পুলিশের কোন সহযোগিতা পাইনি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আমাদের বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। কেউ কোন কথা বলেনি।”এদিকে শামসুজ্জামান শামসকে তুলে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন প্রতিবাদ জানিয়েছে।ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নেয়া হয়েছে।সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকরা পুলিশের বরাত দিয়ে জানান, পুলিশ তার রিমান্ড চাইবে না। বর্তমানে তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছে।এ মামলাটি দায়ের করেছেন আব্দুল মালেক নামে এক ব্যক্তি, যিনি নিজেকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। একই সাথে তিনি ‘বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দাবি করেছেন।মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক ছাড়াও প্রথম আলো পত্রিকার সাভারে নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, সহযোগী একজন ক্যামেরাম্যান এবং প্রতিবেদনটি প্রচার-প্রকাশের সাথে জড়িত অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে বলে জানান আব্দুল মালেক।এই মামলাটি তদন্তের জন্য রমনা থানার একজন পরিদর্শককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।মি. মালেক বিবিসি বাংলাকে জানান, “প্রথম আলো ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যা দেশের শান্তি শৃঙ্খলাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। দেশের ভেতরে অস্থিতিশীল ও বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এর বিচার হওয়া দরকার।”বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “প্রথম আলোর প্রতিবেদন যে মিথ্যা সেটা একাত্তরের রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে।”ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ এর (২), ৩১, ৩৫ আনা অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া ব্যবহার করে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ণ করে এবং বিভ্রান্তি ছড়াতে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে।এর আগে ২৯শে মার্চ ঢাকার তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের হয়।প্রথম আলো, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে ‘ভুল তথ্য, মিথ্যা পরিচয় ও মিথ্যা উদ্ধৃতি’ দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে- এমন অভিযোগ এনে গোলাম কিবরিয়া নামে এক ব্যক্তি ওই মামলাটি দায়ের করেন।মামলার এজাহারের সাথে একাত্তর টিভির প্রতিবেদনের কপিও জমা দেয়া হয়।তবে এই মামলা দায়েরের আগে শামসুজ্জামান শামসকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে।বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করলেও তাকে কোন বাহিনী ধরে নিয়ে গিয়েছে সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।সম্পাদকের বিরুদ্ধে করা মামলার বিষয়ে জানতে সকাল থেকে রমনা থানার একাধিক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলেও কারও কোন সাড়া মেলেনি।গতকাল রাতে প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টারসহ কয়েকটি গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহের জন্য রমনা থানার সামনে গেলে তাদের ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি বলে তারা অভিযোগ করেন।প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক নুরুল আমিন সেখানে ছিলেন। তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, “আমরা রাত সাড়ে ১২টায় থানায় যাই। কিন্তু আমাদের কাউকেই ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। থানায় প্রবেশের অধিকার তো সবার আছে। কিন্তু আমরা পুলিশের কোন সহযোগিতা পাইনি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আমাদের বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। কেউ কোন কথা বলেনি।”এদিকে শামসুজ্জামান শামসকে তুলে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন প্রতিবাদ জানিয়েছে।ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নেয়া হয়েছে।সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকরা পুলিশের বরাত দিয়ে জানান, পুলিশ তার রিমান্ড চাইবে না। বর্তমানে তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন

আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উপলক্ষে শান্তিগঞ্জে পিএফজি’র মানববন্ধন 

প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

আপডেট সময় ১২:৩২:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩

বাংলাদেশের প্রথম সারির দৈনিক পত্রিকা প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়।এ মামলাটি দায়ের করেছেন আব্দুল মালেক নামে এক ব্যক্তি, যিনি নিজেকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। একই সাথে তিনি ‘বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দাবি করেছেন।মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক ছাড়াও প্রথম আলো পত্রিকার সাভারে নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, সহযোগী একজন ক্যামেরাম্যান এবং প্রতিবেদনটি প্রচার-প্রকাশের সাথে জড়িত অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে বলে জানান আব্দুল মালেক।এই মামলাটি তদন্তের জন্য রমনা থানার একজন পরিদর্শককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।মি. মালেক বিবিসি বাংলাকে জানান, “প্রথম আলো ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যা দেশের শান্তি শৃঙ্খলাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। দেশের ভেতরে অস্থিতিশীল ও বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এর বিচার হওয়া দরকার।”বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “প্রথম আলোর প্রতিবেদন যে মিথ্যা সেটা একাত্তরের রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে।”ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ এর (২), ৩১, ৩৫ আনা অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া ব্যবহার করে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ণ করে এবং বিভ্রান্তি ছড়াতে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে।এর আগে ২৯শে মার্চ ঢাকার তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের হয়।প্রথম আলো, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে ‘ভুল তথ্য, মিথ্যা পরিচয় ও মিথ্যা উদ্ধৃতি’ দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে- এমন অভিযোগ এনে গোলাম কিবরিয়া নামে এক ব্যক্তি ওই মামলাটি দায়ের করেন।মামলার এজাহারের সাথে একাত্তর টিভির প্রতিবেদনের কপিও জমা দেয়া হয়।তবে এই মামলা দায়েরের আগে শামসুজ্জামান শামসকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে।বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করলেও তাকে কোন বাহিনী ধরে নিয়ে গিয়েছে সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।সম্পাদকের বিরুদ্ধে করা মামলার বিষয়ে জানতে সকাল থেকে রমনা থানার একাধিক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলেও কারও কোন সাড়া মেলেনি।গতকাল রাতে প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টারসহ কয়েকটি গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহের জন্য রমনা থানার সামনে গেলে তাদের ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি বলে তারা অভিযোগ করেন।প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক নুরুল আমিন সেখানে ছিলেন। তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, “আমরা রাত সাড়ে ১২টায় থানায় যাই। কিন্তু আমাদের কাউকেই ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। থানায় প্রবেশের অধিকার তো সবার আছে। কিন্তু আমরা পুলিশের কোন সহযোগিতা পাইনি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আমাদের বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। কেউ কোন কথা বলেনি।”এদিকে শামসুজ্জামান শামসকে তুলে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন প্রতিবাদ জানিয়েছে।ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নেয়া হয়েছে।সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকরা পুলিশের বরাত দিয়ে জানান, পুলিশ তার রিমান্ড চাইবে না। বর্তমানে তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছে।এ মামলাটি দায়ের করেছেন আব্দুল মালেক নামে এক ব্যক্তি, যিনি নিজেকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। একই সাথে তিনি ‘বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দাবি করেছেন।মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক ছাড়াও প্রথম আলো পত্রিকার সাভারে নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, সহযোগী একজন ক্যামেরাম্যান এবং প্রতিবেদনটি প্রচার-প্রকাশের সাথে জড়িত অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে বলে জানান আব্দুল মালেক।এই মামলাটি তদন্তের জন্য রমনা থানার একজন পরিদর্শককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।মি. মালেক বিবিসি বাংলাকে জানান, “প্রথম আলো ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যা দেশের শান্তি শৃঙ্খলাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। দেশের ভেতরে অস্থিতিশীল ও বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এর বিচার হওয়া দরকার।”বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “প্রথম আলোর প্রতিবেদন যে মিথ্যা সেটা একাত্তরের রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে।”ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ এর (২), ৩১, ৩৫ আনা অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া ব্যবহার করে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ণ করে এবং বিভ্রান্তি ছড়াতে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে।এর আগে ২৯শে মার্চ ঢাকার তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের হয়।প্রথম আলো, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে ‘ভুল তথ্য, মিথ্যা পরিচয় ও মিথ্যা উদ্ধৃতি’ দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে- এমন অভিযোগ এনে গোলাম কিবরিয়া নামে এক ব্যক্তি ওই মামলাটি দায়ের করেন।মামলার এজাহারের সাথে একাত্তর টিভির প্রতিবেদনের কপিও জমা দেয়া হয়।তবে এই মামলা দায়েরের আগে শামসুজ্জামান শামসকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে।বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করলেও তাকে কোন বাহিনী ধরে নিয়ে গিয়েছে সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।সম্পাদকের বিরুদ্ধে করা মামলার বিষয়ে জানতে সকাল থেকে রমনা থানার একাধিক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলেও কারও কোন সাড়া মেলেনি।গতকাল রাতে প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টারসহ কয়েকটি গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহের জন্য রমনা থানার সামনে গেলে তাদের ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি বলে তারা অভিযোগ করেন।প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক নুরুল আমিন সেখানে ছিলেন। তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, “আমরা রাত সাড়ে ১২টায় থানায় যাই। কিন্তু আমাদের কাউকেই ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। থানায় প্রবেশের অধিকার তো সবার আছে। কিন্তু আমরা পুলিশের কোন সহযোগিতা পাইনি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আমাদের বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। কেউ কোন কথা বলেনি।”এদিকে শামসুজ্জামান শামসকে তুলে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন প্রতিবাদ জানিয়েছে।ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নেয়া হয়েছে।সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকরা পুলিশের বরাত দিয়ে জানান, পুলিশ তার রিমান্ড চাইবে না। বর্তমানে তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছে।