ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo শাল্লায় একাডেমিক ভবন প্রধান শিক্ষক ও তার ভাইয়ের দখলে Logo দিরাই বালিকা বিদ্যালয়ের মিলাদ মাহফিল Logo দিরাইয়ে অহিংস দিবস পালিত Logo আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উপলক্ষে শান্তিগঞ্জে পিএফজি’র মানববন্ধন  Logo শান্তিগঞ্জে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন Logo শান্তিগঞ্জে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়  Logo সুনামগঞ্জের জিল্লুর রহমান সহ ছয় অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি Logo দিরাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে কোন অনিয়ম দালালির সাথে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে Logo ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব! Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের উদ্যোগে সিরাত মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের পুরোধা ‘গরীবের ডাক্তার’ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রয়াণ

বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা, মুক্তিযোদ্ধা এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মারা গেছেন।

মঙ্গলবার রাত সোয়া এগারোটায় ঢাকার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।

তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান কিডনিরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মামুন মুস্তাফি মঙ্গলবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ডা. জাফরুল্লাহ’র মৃত্যু সংবাদ ঘোষণা করেন।বাংলাদেশে ১৯৮২ সালে চালু হওয়া ‘জাতীয় ঔষধ নীতি’ প্রণয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।গত ক’বছর ধরে তিনি পরোক্ষ রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও সম্প্রতি কিছুটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন।২০১২ সালে বিবিসি বাংলার সাথে কথা বলেছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এখানে শুনুন সেই সাক্ষাৎকার’বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার বিকল্প মডেল দাঁড় করিয়েছেন’বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে একুশ শতকের করোনা ভাইরাস মহামারি এই – পুরো পাঁচ দশকেই কোনো না কোনো ভাবে আলোচনায় এসেছেন ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশে অনেকেই যাকে সম্বোধন করেন গরীবের ডাক্তার হিসেবে।তার স্কুল জীবনের সহপাঠী ও পরবর্তীকালে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের প্রধান ডা: মাহমুদুর রহমান বলছেন, চিন্তায় সৎ থেকে দেশের জন্য যেটা ভালো মনে হতো সেটাই সবসময় করে গেছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।উনিশশো একচল্লিশ সালের ২৭শে ডিসেম্বর চট্টগ্রামের রাউজানে জন্মগ্রহণ করা জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন পরিবারে দশ ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড়। ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী থাকার সময়ে কলেজের দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়ে আলোচনায় এসে পরে কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।মি. রহমান বলছেন, তখন থেকেই স্বাস্থ্যখাতের জন্য ভালো কিছু করার জন্য তিনি ছিলেন সবসময় একরোখা, কিন্তু নিজ আদর্শে অটল।”ডাক্তারি পাশের পর আমরা দুজনই যুক্তরাজ্যে যাই। সেখানে থাকা অবস্থায় সার্জারিতে কাজ করে সার্জন হিসেবে সে সুনাম অর্জন করে। ৬৯ সালের ওই সময়ে আমরা সবাই দেশ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ি। সে সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়। ইংল্যান্ডে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন গড়ে তোলে এবং তার নেতৃত্ব ছিলো বলিষ্ঠ।”যুদ্ধকালীন সময়ে গড়ে তোলেন বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল। স্বাধীনতার পর বিলাতে না গিয়ে দেশেই সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে শুরু করলেন। গণস্বাস্থ্য -ধীরে ধীরে সারা বিশ্বের স্বীকৃতি পায়।”ইংল্যান্ডে থাকার সময় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে প্রকাশ্যে পাকিস্তানী পাসপোর্ট ছিঁড়ে ফেলে বিশেষ অনুমোদন নিয়ে ভারতে গিয়েছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীকে বহনকারী যে হেলিকপ্টার হামলার শিকার হয়েছিলো তাতে মি. চৌধুরীও ছিলেন একজন আরোহী।মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আগরতলার মেলাঘরে তার গড়ে তোলা বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতালের ধারাবাহিকতাতেই স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের সহযোগিতায় সাভারে গড়ে তোলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।সখ্যতা ছিলো দুই সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউর রহমান ও জেনারেল এইচ এম এরশাদের সাথেও, যা নিয়ে তিনি আলোচিত-সমালোচিতও হয়েছিলেন।এমনকি ঔষধ নীতি নিয়ে বিরোধের জের ধরে তাকে বহিষ্কারও করা হয়েছিলো বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন বা বিএমএ থেকে।ডা: মাহমুদুর রহমান বলছেন, “তার ঔষধ নীতি বাংলাদেশের ঔষধ খাতে বিরাট পরিবর্তন নিয়ে আসে। বিশেষ করে এর জন্যই আজকের বাংলাদেশে ঔষধ খাতের এতো উদ্যোক্তা।”মঙ্গলবার রাত সোয়া এগারোটায় ঢাকার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান কিডনিরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মামুন মুস্তাফি মঙ্গলবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ডা. জাফরুল্লাহ’র মৃত্যু সংবাদ ঘোষণা করেন।বাংলাদেশে ১৯৮২ সালে চালু হওয়া ‘জাতীয় ঔষধ নীতি’ প্রণয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।গত ক’বছর ধরে তিনি পরোক্ষ রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও সম্প্রতি কিছুটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন।’বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার বিকল্প মডেল দাঁড় করিয়েছেন’বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে একুশ শতকের করোনা ভাইরাস মহামারি এই – পুরো পাঁচ দশকেই কোনো না কোনো ভাবে আলোচনায় এসেছেন ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশে অনেকেই যাকে সম্বোধন করেন গরীবের ডাক্তার হিসেবে।তার স্কুল জীবনের সহপাঠী ও পরবর্তীকালে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের প্রধান ডা: মাহমুদুর রহমান বলছেন, চিন্তায় সৎ থেকে দেশের জন্য যেটা ভালো মনে হতো সেটাই সবসময় করে গেছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।উনিশশো একচল্লিশ সালের ২৭শে ডিসেম্বর চট্টগ্রামের রাউজানে জন্মগ্রহণ করা জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন পরিবারে দশ ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড়। ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী থাকার সময়ে কলেজের দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়ে আলোচনায় এসে পরে কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।মি. রহমান বলছেন, তখন থেকেই স্বাস্থ্যখাতের জন্য ভালো কিছু করার জন্য তিনি ছিলেন সবসময় একরোখা, কিন্তু নিজ আদর্শে অটল।”ডাক্তারি পাশের পর আমরা দুজনই যুক্তরাজ্যে যাই। সেখানে থাকা অবস্থায় সার্জারিতে কাজ করে সার্জন হিসেবে সে সুনাম অর্জন করে। ৬৯ সালের ওই সময়ে আমরা সবাই দেশ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ি। সে সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়। ইংল্যান্ডে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন গড়ে তোলে এবং তার নেতৃত্ব ছিলো বলিষ্ঠ।”যুদ্ধকালীন সময়ে গড়ে তোলেন বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল। স্বাধীনতার পর বিলাতে না গিয়ে দেশেই সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে শুরু করলেন। গণস্বাস্থ্য -ধীরে ধীরে সারা বিশ্বের স্বীকৃতি পায়।”ইংল্যান্ডে থাকার সময় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে প্রকাশ্যে পাকিস্তানী পাসপোর্ট ছিঁড়ে ফেলে বিশেষ অনুমোদন নিয়ে ভারতে গিয়েছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীকে বহনকারী যে হেলিকপ্টার হামলার শিকার হয়েছিলো তাতে মি. চৌধুরীও ছিলেন একজন আরোহী।মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আগরতলার মেলাঘরে তার গড়ে তোলা বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতালের ধারাবাহিকতাতেই স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের সহযোগিতায় সাভারে গড়ে তোলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।সখ্যতা ছিলো দুই সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউর রহমান ও জেনারেল এইচ এম এরশাদের সাথেও, যা নিয়ে তিনি আলোচিত-সমালোচিতও হয়েছিলেন।এমনকি ঔষধ নীতি নিয়ে বিরোধের জের ধরে তাকে বহিষ্কারও করা হয়েছিলো বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন বা বিএমএ থেকে।

ডা: মাহমুদুর রহমান বলছেন, “তার ঔষধ নীতি বাংলাদেশের ঔষধ খাতে বিরাট পরিবর্তন নিয়ে আসে। বিশেষ করে এর জন্যই আজকের বাংলাদেশে ঔষধ খাতের এতো উদ্যোক্তা।”

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন

শাল্লায় একাডেমিক ভবন প্রধান শিক্ষক ও তার ভাইয়ের দখলে

বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের পুরোধা ‘গরীবের ডাক্তার’ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রয়াণ

আপডেট সময় ১২:৪৩:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩

বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা, মুক্তিযোদ্ধা এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মারা গেছেন।

মঙ্গলবার রাত সোয়া এগারোটায় ঢাকার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।

তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান কিডনিরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মামুন মুস্তাফি মঙ্গলবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ডা. জাফরুল্লাহ’র মৃত্যু সংবাদ ঘোষণা করেন।বাংলাদেশে ১৯৮২ সালে চালু হওয়া ‘জাতীয় ঔষধ নীতি’ প্রণয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।গত ক’বছর ধরে তিনি পরোক্ষ রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও সম্প্রতি কিছুটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন।২০১২ সালে বিবিসি বাংলার সাথে কথা বলেছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এখানে শুনুন সেই সাক্ষাৎকার’বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার বিকল্প মডেল দাঁড় করিয়েছেন’বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে একুশ শতকের করোনা ভাইরাস মহামারি এই – পুরো পাঁচ দশকেই কোনো না কোনো ভাবে আলোচনায় এসেছেন ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশে অনেকেই যাকে সম্বোধন করেন গরীবের ডাক্তার হিসেবে।তার স্কুল জীবনের সহপাঠী ও পরবর্তীকালে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের প্রধান ডা: মাহমুদুর রহমান বলছেন, চিন্তায় সৎ থেকে দেশের জন্য যেটা ভালো মনে হতো সেটাই সবসময় করে গেছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।উনিশশো একচল্লিশ সালের ২৭শে ডিসেম্বর চট্টগ্রামের রাউজানে জন্মগ্রহণ করা জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন পরিবারে দশ ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড়। ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী থাকার সময়ে কলেজের দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়ে আলোচনায় এসে পরে কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।মি. রহমান বলছেন, তখন থেকেই স্বাস্থ্যখাতের জন্য ভালো কিছু করার জন্য তিনি ছিলেন সবসময় একরোখা, কিন্তু নিজ আদর্শে অটল।”ডাক্তারি পাশের পর আমরা দুজনই যুক্তরাজ্যে যাই। সেখানে থাকা অবস্থায় সার্জারিতে কাজ করে সার্জন হিসেবে সে সুনাম অর্জন করে। ৬৯ সালের ওই সময়ে আমরা সবাই দেশ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ি। সে সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়। ইংল্যান্ডে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন গড়ে তোলে এবং তার নেতৃত্ব ছিলো বলিষ্ঠ।”যুদ্ধকালীন সময়ে গড়ে তোলেন বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল। স্বাধীনতার পর বিলাতে না গিয়ে দেশেই সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে শুরু করলেন। গণস্বাস্থ্য -ধীরে ধীরে সারা বিশ্বের স্বীকৃতি পায়।”ইংল্যান্ডে থাকার সময় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে প্রকাশ্যে পাকিস্তানী পাসপোর্ট ছিঁড়ে ফেলে বিশেষ অনুমোদন নিয়ে ভারতে গিয়েছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীকে বহনকারী যে হেলিকপ্টার হামলার শিকার হয়েছিলো তাতে মি. চৌধুরীও ছিলেন একজন আরোহী।মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আগরতলার মেলাঘরে তার গড়ে তোলা বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতালের ধারাবাহিকতাতেই স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের সহযোগিতায় সাভারে গড়ে তোলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।সখ্যতা ছিলো দুই সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউর রহমান ও জেনারেল এইচ এম এরশাদের সাথেও, যা নিয়ে তিনি আলোচিত-সমালোচিতও হয়েছিলেন।এমনকি ঔষধ নীতি নিয়ে বিরোধের জের ধরে তাকে বহিষ্কারও করা হয়েছিলো বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন বা বিএমএ থেকে।ডা: মাহমুদুর রহমান বলছেন, “তার ঔষধ নীতি বাংলাদেশের ঔষধ খাতে বিরাট পরিবর্তন নিয়ে আসে। বিশেষ করে এর জন্যই আজকের বাংলাদেশে ঔষধ খাতের এতো উদ্যোক্তা।”মঙ্গলবার রাত সোয়া এগারোটায় ঢাকার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান কিডনিরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মামুন মুস্তাফি মঙ্গলবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ডা. জাফরুল্লাহ’র মৃত্যু সংবাদ ঘোষণা করেন।বাংলাদেশে ১৯৮২ সালে চালু হওয়া ‘জাতীয় ঔষধ নীতি’ প্রণয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।গত ক’বছর ধরে তিনি পরোক্ষ রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও সম্প্রতি কিছুটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন।’বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার বিকল্প মডেল দাঁড় করিয়েছেন’বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে একুশ শতকের করোনা ভাইরাস মহামারি এই – পুরো পাঁচ দশকেই কোনো না কোনো ভাবে আলোচনায় এসেছেন ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশে অনেকেই যাকে সম্বোধন করেন গরীবের ডাক্তার হিসেবে।তার স্কুল জীবনের সহপাঠী ও পরবর্তীকালে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের প্রধান ডা: মাহমুদুর রহমান বলছেন, চিন্তায় সৎ থেকে দেশের জন্য যেটা ভালো মনে হতো সেটাই সবসময় করে গেছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।উনিশশো একচল্লিশ সালের ২৭শে ডিসেম্বর চট্টগ্রামের রাউজানে জন্মগ্রহণ করা জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন পরিবারে দশ ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড়। ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী থাকার সময়ে কলেজের দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়ে আলোচনায় এসে পরে কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।মি. রহমান বলছেন, তখন থেকেই স্বাস্থ্যখাতের জন্য ভালো কিছু করার জন্য তিনি ছিলেন সবসময় একরোখা, কিন্তু নিজ আদর্শে অটল।”ডাক্তারি পাশের পর আমরা দুজনই যুক্তরাজ্যে যাই। সেখানে থাকা অবস্থায় সার্জারিতে কাজ করে সার্জন হিসেবে সে সুনাম অর্জন করে। ৬৯ সালের ওই সময়ে আমরা সবাই দেশ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ি। সে সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়। ইংল্যান্ডে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন গড়ে তোলে এবং তার নেতৃত্ব ছিলো বলিষ্ঠ।”যুদ্ধকালীন সময়ে গড়ে তোলেন বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল। স্বাধীনতার পর বিলাতে না গিয়ে দেশেই সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে শুরু করলেন। গণস্বাস্থ্য -ধীরে ধীরে সারা বিশ্বের স্বীকৃতি পায়।”ইংল্যান্ডে থাকার সময় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে প্রকাশ্যে পাকিস্তানী পাসপোর্ট ছিঁড়ে ফেলে বিশেষ অনুমোদন নিয়ে ভারতে গিয়েছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীকে বহনকারী যে হেলিকপ্টার হামলার শিকার হয়েছিলো তাতে মি. চৌধুরীও ছিলেন একজন আরোহী।মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আগরতলার মেলাঘরে তার গড়ে তোলা বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতালের ধারাবাহিকতাতেই স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের সহযোগিতায় সাভারে গড়ে তোলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।সখ্যতা ছিলো দুই সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউর রহমান ও জেনারেল এইচ এম এরশাদের সাথেও, যা নিয়ে তিনি আলোচিত-সমালোচিতও হয়েছিলেন।এমনকি ঔষধ নীতি নিয়ে বিরোধের জের ধরে তাকে বহিষ্কারও করা হয়েছিলো বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন বা বিএমএ থেকে।

ডা: মাহমুদুর রহমান বলছেন, “তার ঔষধ নীতি বাংলাদেশের ঔষধ খাতে বিরাট পরিবর্তন নিয়ে আসে। বিশেষ করে এর জন্যই আজকের বাংলাদেশে ঔষধ খাতের এতো উদ্যোক্তা।”