ঢাকা , শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকা জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হলেন মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা Logo এডঃ মল্লিক মঈনুদ্দিন সোহেল সৈয়দপুর আদর্শ কলেজের সভাপতি নির্বাচিত, জগন্নাথপুর বিএনপি নেতৃবৃন্দ এর অভিনন্দন Logo কোনো কৃষক হয়রানির শিকার হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে- খাদ্য উপদেষ্টা Logo সুনামগঞ্জ জেলা গণঅধিকার পরিষদের কমিটি গঠন Logo শান্তিগঞ্জে আ.লীগ নেতা ছহিল মিয়া চৌধুরী গ্রেফতার Logo শান্তিগঞ্জে প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে নিরীহ পরিবারের ধান কেটে নেয়ার অভিযোগ Logo তাহিরপুর সীমান্তে ইয়াবাসহ যুবক আটক Logo কুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবীতে সুনামগঞ্জে প্রতীকী অনশন Logo কিংবদন্তি চিকিৎসক ডা. রাসেন্দ্র কুমার তালুকদার আর নেই Logo জগন্নাথপুরে কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে ঈদ

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের প্রায় ৪০টি গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।  ঈদকে ঘিরে এসব গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) রাতে সৌদি আরবে চাঁদ দেখা যাওয়ায় ঈদ উদযাপনের সিদ্ধান্ত হয়। পরে রাতে সাদ্রা এলাকায় ঈদ জামাতের জন্য মাইকিং করা হয়। শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকাল ৯টায় সাদ্রা দরবার শরিফ মাঠে ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সাদ্রা দরবার শরিফ মাঠে ঈদের প্রথম জামাতে ইমামতি করেন দরবারের পীর মুফতি জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী। ঈদ উদযাপন সম্পর্কে তিনি বলেন, পৃথিবীর যেকোন স্থানে প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে আমরা ঈদ উদযাপন করি। এরপর সকাল ১০টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সাদ্রা ঈদগাহ ময়দানে। এখানে ইমামতি করেন পীর মো. আরিফ চৌধুরী।সাদ্রা দরবার শরিফের অনুসারীরা প্রায় ৯৪ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও দুটি ঈদ উদযাপন করছেন।জানা গেছে, ১৯২৮ সালে হাজীগঞ্জ রামচন্দ্রপুর মাদ্রাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপনের উদ্যোগ নেন। কিন্তু স্থানীয়দের অসহযোগিতার মুখে তা ভেস্তে যায়। সরকারি নিয়মের বাইরে গিয়ে একদিন আগে ঈদ উদযাপনের উদ্যোগ নেওয়ায় অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় তাকে। ওই বছরই নিজ গ্রাম সাদ্রায় ফিরে আসেন তিনি। চালু করেন সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদসহ সব ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপন প্রথা। পরে তিনি দরবার শরিফ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।সাদ্রা ছাড়াও একদিন আগে ঈদ উদযাপন করা গ্রামগুলো হলো- হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বড়কুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাসারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।এ ছাড়া চাঁদপুরের পাশের নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা ও শরীয়তপুর জেলার কয়েকটি স্থানে মাওলানা ইছহাক খানের অনুসারীরা একই দিনে ঈদ উদযাপন করেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকা জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হলেন মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে ঈদ

আপডেট সময় ১১:৫১:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ এপ্রিল ২০২৩

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের প্রায় ৪০টি গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।  ঈদকে ঘিরে এসব গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) রাতে সৌদি আরবে চাঁদ দেখা যাওয়ায় ঈদ উদযাপনের সিদ্ধান্ত হয়। পরে রাতে সাদ্রা এলাকায় ঈদ জামাতের জন্য মাইকিং করা হয়। শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকাল ৯টায় সাদ্রা দরবার শরিফ মাঠে ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সাদ্রা দরবার শরিফ মাঠে ঈদের প্রথম জামাতে ইমামতি করেন দরবারের পীর মুফতি জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী। ঈদ উদযাপন সম্পর্কে তিনি বলেন, পৃথিবীর যেকোন স্থানে প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে আমরা ঈদ উদযাপন করি। এরপর সকাল ১০টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সাদ্রা ঈদগাহ ময়দানে। এখানে ইমামতি করেন পীর মো. আরিফ চৌধুরী।সাদ্রা দরবার শরিফের অনুসারীরা প্রায় ৯৪ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও দুটি ঈদ উদযাপন করছেন।জানা গেছে, ১৯২৮ সালে হাজীগঞ্জ রামচন্দ্রপুর মাদ্রাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপনের উদ্যোগ নেন। কিন্তু স্থানীয়দের অসহযোগিতার মুখে তা ভেস্তে যায়। সরকারি নিয়মের বাইরে গিয়ে একদিন আগে ঈদ উদযাপনের উদ্যোগ নেওয়ায় অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় তাকে। ওই বছরই নিজ গ্রাম সাদ্রায় ফিরে আসেন তিনি। চালু করেন সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদসহ সব ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপন প্রথা। পরে তিনি দরবার শরিফ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।সাদ্রা ছাড়াও একদিন আগে ঈদ উদযাপন করা গ্রামগুলো হলো- হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বড়কুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাসারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।এ ছাড়া চাঁদপুরের পাশের নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা ও শরীয়তপুর জেলার কয়েকটি স্থানে মাওলানা ইছহাক খানের অনুসারীরা একই দিনে ঈদ উদযাপন করেন।