ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo শাল্লায় একাডেমিক ভবন প্রধান শিক্ষক ও তার ভাইয়ের দখলে Logo দিরাই বালিকা বিদ্যালয়ের মিলাদ মাহফিল Logo দিরাইয়ে অহিংস দিবস পালিত Logo আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উপলক্ষে শান্তিগঞ্জে পিএফজি’র মানববন্ধন  Logo শান্তিগঞ্জে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন Logo শান্তিগঞ্জে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়  Logo সুনামগঞ্জের জিল্লুর রহমান সহ ছয় অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি Logo দিরাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে কোন অনিয়ম দালালির সাথে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে Logo ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব! Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের উদ্যোগে সিরাত মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে ঈদ

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের প্রায় ৪০টি গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।  ঈদকে ঘিরে এসব গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) রাতে সৌদি আরবে চাঁদ দেখা যাওয়ায় ঈদ উদযাপনের সিদ্ধান্ত হয়। পরে রাতে সাদ্রা এলাকায় ঈদ জামাতের জন্য মাইকিং করা হয়। শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকাল ৯টায় সাদ্রা দরবার শরিফ মাঠে ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সাদ্রা দরবার শরিফ মাঠে ঈদের প্রথম জামাতে ইমামতি করেন দরবারের পীর মুফতি জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী। ঈদ উদযাপন সম্পর্কে তিনি বলেন, পৃথিবীর যেকোন স্থানে প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে আমরা ঈদ উদযাপন করি। এরপর সকাল ১০টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সাদ্রা ঈদগাহ ময়দানে। এখানে ইমামতি করেন পীর মো. আরিফ চৌধুরী।সাদ্রা দরবার শরিফের অনুসারীরা প্রায় ৯৪ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও দুটি ঈদ উদযাপন করছেন।জানা গেছে, ১৯২৮ সালে হাজীগঞ্জ রামচন্দ্রপুর মাদ্রাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপনের উদ্যোগ নেন। কিন্তু স্থানীয়দের অসহযোগিতার মুখে তা ভেস্তে যায়। সরকারি নিয়মের বাইরে গিয়ে একদিন আগে ঈদ উদযাপনের উদ্যোগ নেওয়ায় অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় তাকে। ওই বছরই নিজ গ্রাম সাদ্রায় ফিরে আসেন তিনি। চালু করেন সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদসহ সব ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপন প্রথা। পরে তিনি দরবার শরিফ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।সাদ্রা ছাড়াও একদিন আগে ঈদ উদযাপন করা গ্রামগুলো হলো- হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বড়কুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাসারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।এ ছাড়া চাঁদপুরের পাশের নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা ও শরীয়তপুর জেলার কয়েকটি স্থানে মাওলানা ইছহাক খানের অনুসারীরা একই দিনে ঈদ উদযাপন করেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন

শাল্লায় একাডেমিক ভবন প্রধান শিক্ষক ও তার ভাইয়ের দখলে

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে ঈদ

আপডেট সময় ১১:৫১:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ এপ্রিল ২০২৩

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের প্রায় ৪০টি গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।  ঈদকে ঘিরে এসব গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) রাতে সৌদি আরবে চাঁদ দেখা যাওয়ায় ঈদ উদযাপনের সিদ্ধান্ত হয়। পরে রাতে সাদ্রা এলাকায় ঈদ জামাতের জন্য মাইকিং করা হয়। শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকাল ৯টায় সাদ্রা দরবার শরিফ মাঠে ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সাদ্রা দরবার শরিফ মাঠে ঈদের প্রথম জামাতে ইমামতি করেন দরবারের পীর মুফতি জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী। ঈদ উদযাপন সম্পর্কে তিনি বলেন, পৃথিবীর যেকোন স্থানে প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে আমরা ঈদ উদযাপন করি। এরপর সকাল ১০টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সাদ্রা ঈদগাহ ময়দানে। এখানে ইমামতি করেন পীর মো. আরিফ চৌধুরী।সাদ্রা দরবার শরিফের অনুসারীরা প্রায় ৯৪ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও দুটি ঈদ উদযাপন করছেন।জানা গেছে, ১৯২৮ সালে হাজীগঞ্জ রামচন্দ্রপুর মাদ্রাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপনের উদ্যোগ নেন। কিন্তু স্থানীয়দের অসহযোগিতার মুখে তা ভেস্তে যায়। সরকারি নিয়মের বাইরে গিয়ে একদিন আগে ঈদ উদযাপনের উদ্যোগ নেওয়ায় অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় তাকে। ওই বছরই নিজ গ্রাম সাদ্রায় ফিরে আসেন তিনি। চালু করেন সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদসহ সব ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপন প্রথা। পরে তিনি দরবার শরিফ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।সাদ্রা ছাড়াও একদিন আগে ঈদ উদযাপন করা গ্রামগুলো হলো- হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বড়কুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাসারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।এ ছাড়া চাঁদপুরের পাশের নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা ও শরীয়তপুর জেলার কয়েকটি স্থানে মাওলানা ইছহাক খানের অনুসারীরা একই দিনে ঈদ উদযাপন করেন।