ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা Logo বালি মহালে ইজারা পদ্বতি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন Logo ছাতকে আওয়ামিলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার Logo পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্ত ও নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুরের ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দকে শিবির কর্মী বলে প্রচারণা চালানোয় জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ। Logo শান্তিগঞ্জের জয়সিদ্ধি-বসিউয়াখাউরী গ্রামে বিএনপির কর্মী সভা Logo জগন্নাথপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুর উপজেলার ৬ নং রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর কমিটি গঠন Logo পরিবেশ নষ্ট করে কোন বাঁধ নির্মাণ হবেনা – পরিবেশ উপদেষ্টা Logo হাওরের জন্য সরকারের মাস্টার প্লান আছে- উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

ডাকাতিকালে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ , গ্রেফতার ৫

বগুড়ার কাহালুতে খালা-ভাগনিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ডাকাতির অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় ডাকাতি হওয়া নগদ অর্থের কিছু অংশ ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই দিন কাহালু থানায় অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী নারী ও তার ভাগনি।

গ্রেফতাররা হলেন- কাহালু উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নের আবুল কাশেম মানিক (৩৫), রাকিব হোসেন (২৩), শাকিল হোসেন (২৩), আতিক রহমান প্রান্ত (২২) ও হাবিবুর রহমান হাবিব (২৫)।

এসপি সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, ভুক্তভোগী নারী (৩৯) নারায়ণগঞ্জের একটি গার্মেন্টসে কর্মরত। গত ১২ জুলাই তার বোনের মেয়েকে (১৫) নিয়ে রংপুরের তারাগঞ্জে আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বের হন। যাত্রায় রংপুরের বাসিন্দা মো. রব্বানী নামের তার এক সহকর্মীও ছিলেন। পথে রাত ২টার দিকে বগুড়ার সদরের বারোপুর এলাকায় বাসটি নষ্ট হয়। তখন উপায় না পেয়ে রব্বানীর পরিচিত পাইকড় ইউনিয়নের কুশলীহার গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে আশ্রয় নেয় তারা।

এসপি বলেন, পরদিন সকালে আবুল কাশেম এলাকায় রটিয়ে দেন আব্দুর রাজ্জাক বাড়িতে খারাপ মেয়ে নিয়ে এসেছেন। বিষয়টি জানতে পেরে ওইদিন সন্ধ্যার দিকে আব্দুর রাজ্জাক তার ভ্যানে ভুক্তভোগী নারী, তার বোনের মেয়ে ও রব্বানীকে রংপুরের বাস ধরার জন্য নিয়ে যায়। কিন্তু পথে বাগইল গ্রামের বড়পুকুর ব্রিজ এলাকায় আবুল কাশেম ও অন্যরা তাদের পথরোধ করেন। এ সময় তারা ভুক্তভোগীদের মারধর করে ৭২ হাজার টাকা, একজোড়া কানের দুল ও মোবাইল কেড়ে নেয়। পরে ওই নারী ও তার ভাগনিকে রাস্তা থেকে একটু দূরে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।

নির্যাতনের ফলে ভুক্তভোগীরা অসুস্থ হয়ে আবার নারায়ণগঞ্জে ফিরে যান। পরে সুস্থ হয়ে স্বামী, সহকর্মী রব্বানী ও আব্দুর রাজ্জাককে সঙ্গে নিয়ে কাহালু থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচজনকে গ্রেফতার করে।

সংবাদ সম্মেলনে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার, আব্দুর রশিদ, সিনিয়র এএসপি নাজরান রউফ ও কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ হাসান উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ছাতকে স্মরণ সভা

ডাকাতিকালে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ , গ্রেফতার ৫

আপডেট সময় ০৪:১৩:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩

বগুড়ার কাহালুতে খালা-ভাগনিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ডাকাতির অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় ডাকাতি হওয়া নগদ অর্থের কিছু অংশ ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই দিন কাহালু থানায় অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী নারী ও তার ভাগনি।

গ্রেফতাররা হলেন- কাহালু উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নের আবুল কাশেম মানিক (৩৫), রাকিব হোসেন (২৩), শাকিল হোসেন (২৩), আতিক রহমান প্রান্ত (২২) ও হাবিবুর রহমান হাবিব (২৫)।

এসপি সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, ভুক্তভোগী নারী (৩৯) নারায়ণগঞ্জের একটি গার্মেন্টসে কর্মরত। গত ১২ জুলাই তার বোনের মেয়েকে (১৫) নিয়ে রংপুরের তারাগঞ্জে আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বের হন। যাত্রায় রংপুরের বাসিন্দা মো. রব্বানী নামের তার এক সহকর্মীও ছিলেন। পথে রাত ২টার দিকে বগুড়ার সদরের বারোপুর এলাকায় বাসটি নষ্ট হয়। তখন উপায় না পেয়ে রব্বানীর পরিচিত পাইকড় ইউনিয়নের কুশলীহার গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে আশ্রয় নেয় তারা।

এসপি বলেন, পরদিন সকালে আবুল কাশেম এলাকায় রটিয়ে দেন আব্দুর রাজ্জাক বাড়িতে খারাপ মেয়ে নিয়ে এসেছেন। বিষয়টি জানতে পেরে ওইদিন সন্ধ্যার দিকে আব্দুর রাজ্জাক তার ভ্যানে ভুক্তভোগী নারী, তার বোনের মেয়ে ও রব্বানীকে রংপুরের বাস ধরার জন্য নিয়ে যায়। কিন্তু পথে বাগইল গ্রামের বড়পুকুর ব্রিজ এলাকায় আবুল কাশেম ও অন্যরা তাদের পথরোধ করেন। এ সময় তারা ভুক্তভোগীদের মারধর করে ৭২ হাজার টাকা, একজোড়া কানের দুল ও মোবাইল কেড়ে নেয়। পরে ওই নারী ও তার ভাগনিকে রাস্তা থেকে একটু দূরে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।

নির্যাতনের ফলে ভুক্তভোগীরা অসুস্থ হয়ে আবার নারায়ণগঞ্জে ফিরে যান। পরে সুস্থ হয়ে স্বামী, সহকর্মী রব্বানী ও আব্দুর রাজ্জাককে সঙ্গে নিয়ে কাহালু থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচজনকে গ্রেফতার করে।

সংবাদ সম্মেলনে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার, আব্দুর রশিদ, সিনিয়র এএসপি নাজরান রউফ ও কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ হাসান উপস্থিত ছিলেন।