সফররত যুক্তরাষ্ট্রের দুই কংগ্রেস সদস্য রোববার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের আগে সে দেশের সরকার পদত্যাগ করবে কি না। কিংবা বিরোধী দল এ ধরনের দাবি করলে তাদের সঙ্গে সরকার কোনো আলোচনায় বসবে কি না।
তিনি বলেন, ‘একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সব রাজনৈতিক দলের আন্তরিক প্রচেষ্টা প্রয়োজন।’
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, নির্ধারিত নিয়মেই নির্বাচন হবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার সহিংসতামুক্ত সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন চায়। তা বাস্তবায়নে সব রাজনৈতিক দলের ভূমিকা রয়েছে।’
বৈঠকে উভয় পক্ষ রোহিঙ্গা সংকট ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়েও আলোচনা করে বলে জানা যায়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংক্ষেপে বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক সম্পর্কে তাদেরকে অবহিত করেন। তিনি জানান, বাংলাদেশ একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও নিরাপদ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল চায়।
কংগ্রেসম্যান ম্যাককরমিক জর্জিয়া থেকে রিপাবলিকান পার্টির প্রতিনিধিত্ব করছেন এবং কেস হাওয়াই থেকে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রতিনিধিত্ব করছেন। বৈঠকে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের আগে সকালে ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন কংগ্রেস সদস্যরা। কংগ্রেস সদস্যদের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে। কেস ও ম্যাককরমিক সোমবার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন ও বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা যায়।