ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo ছাতকে আওয়ামিলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার Logo পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্ত ও নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুরের ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দকে শিবির কর্মী বলে প্রচারণা চালানোয় জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ। Logo শান্তিগঞ্জের জয়সিদ্ধি-বসিউয়াখাউরী গ্রামে বিএনপির কর্মী সভা Logo জগন্নাথপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুর উপজেলার ৬ নং রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর কমিটি গঠন Logo পরিবেশ নষ্ট করে কোন বাঁধ নির্মাণ হবেনা – পরিবেশ উপদেষ্টা Logo হাওরের জন্য সরকারের মাস্টার প্লান আছে- উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান Logo জগন্নাথপুরে কমিউনিটি ক্লিনিক এর মাসিক সভা অনুষ্ঠিত Logo মাটিয়াইন ও টাঙুয়ার হাওর পরিদর্শন….. আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে -স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

চট্টগ্রামে প্রয়াত মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে হচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

চট্টগ্রাম নগরের বাজার থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত নির্মাণাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নামকরণ প্রয়াত মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ৪৫৮ তম বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন হয়েছে।

বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস। তিনি বলেন, আজকের বোর্ড সভায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নামকরণের বিষয়টি সর্বসম্মতিক্রমে সাবেক সিটি মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে ফ্লাইওভারের নাম অনুমোদন হয়েছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটির নাম হবে ‘সিডিএ মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী ফ্লাইওভার’। নামটি প্রস্তাব করা হলে এতে বোর্ড সদস্যরা সবাই একমত পোষণ করেন। পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

নগরীর লালখান বাজার থেকে শুরু হয়ে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংযোগ সড়ক পর্যন্ত সব চেয়ে বড় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মিত হচ্ছে। র‌্যাম্প ও লুপ মিলে উড়াল সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য হবে ২০ কিলোমিটার। চার লেনের এই এক্সপ্রেসওয়ের ৫৪ ফুট প্রস্থ রয়েছে। ৯টি এলাকায় ২৪টি র‌্যাম্প (গাড়ি ওঠানামার পথ) থাকবে। নগরের টাইগারপাস মোড়ে চারটি, আগ্রাবাদ মোড়ে চারটি, বারিক বিল্ডিং মোড়ে দুটি, নিমতলী মোড়ে দুটি, কাস্টমস মোড়ে দুটি, সিইপিজেড মোড়ে চারটি, কর্ণফুলী ইপিজেডের সামনে দুটি, কাঠগড়ে দুটি এবং পতেঙ্গা সৈকত এলাকায় দুটি র‌্যাম্প থাকবে। এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মিত হলে চট্টগ্রামের শিল্প-বাণিজ্যে ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

১৫ দশমিক ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি ২০১৭ সালের ১১ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। যৌথভাবে প্রকল্পটির নির্মাণকাজ পায় বাংলাদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ও চীনা প্রতিষ্ঠান র‌্যাঙ্কিন। প্রকল্পটির চুক্তিমূল্য ছিল তিন হাজার ৭২০ কোটি ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৭২৮ টাকা। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পের পাইলিং কাজের উদ্বোধন করেন। সবশেষ সংশোধনীতে প্রকল্প ব্যয় ও সময় বাড়ানো হয়। সংশোধিত ব্যয় অনুযায়ী আরও ৬৪৯ কোটি দুই লাখ ৪৩ হাজার ৯১ টাকা বৃদ্ধির ক্রয়প্রস্তাব অনুমোদন দেয় সরকার। এতে ব্যয় বেড়ে এখন প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে চার হাজার ৩৬৯ কোটি সাত লাখ ১০ হাজার ৮১৯ টাকা। মেয়াদও বেড়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

ছাতকে আওয়ামিলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

চট্টগ্রামে প্রয়াত মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে হচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

আপডেট সময় ০৭:০৩:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৩

চট্টগ্রাম নগরের বাজার থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত নির্মাণাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নামকরণ প্রয়াত মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ৪৫৮ তম বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন হয়েছে।

বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস। তিনি বলেন, আজকের বোর্ড সভায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নামকরণের বিষয়টি সর্বসম্মতিক্রমে সাবেক সিটি মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে ফ্লাইওভারের নাম অনুমোদন হয়েছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটির নাম হবে ‘সিডিএ মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী ফ্লাইওভার’। নামটি প্রস্তাব করা হলে এতে বোর্ড সদস্যরা সবাই একমত পোষণ করেন। পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

নগরীর লালখান বাজার থেকে শুরু হয়ে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংযোগ সড়ক পর্যন্ত সব চেয়ে বড় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মিত হচ্ছে। র‌্যাম্প ও লুপ মিলে উড়াল সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য হবে ২০ কিলোমিটার। চার লেনের এই এক্সপ্রেসওয়ের ৫৪ ফুট প্রস্থ রয়েছে। ৯টি এলাকায় ২৪টি র‌্যাম্প (গাড়ি ওঠানামার পথ) থাকবে। নগরের টাইগারপাস মোড়ে চারটি, আগ্রাবাদ মোড়ে চারটি, বারিক বিল্ডিং মোড়ে দুটি, নিমতলী মোড়ে দুটি, কাস্টমস মোড়ে দুটি, সিইপিজেড মোড়ে চারটি, কর্ণফুলী ইপিজেডের সামনে দুটি, কাঠগড়ে দুটি এবং পতেঙ্গা সৈকত এলাকায় দুটি র‌্যাম্প থাকবে। এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মিত হলে চট্টগ্রামের শিল্প-বাণিজ্যে ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

১৫ দশমিক ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি ২০১৭ সালের ১১ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। যৌথভাবে প্রকল্পটির নির্মাণকাজ পায় বাংলাদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ও চীনা প্রতিষ্ঠান র‌্যাঙ্কিন। প্রকল্পটির চুক্তিমূল্য ছিল তিন হাজার ৭২০ কোটি ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৭২৮ টাকা। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পের পাইলিং কাজের উদ্বোধন করেন। সবশেষ সংশোধনীতে প্রকল্প ব্যয় ও সময় বাড়ানো হয়। সংশোধিত ব্যয় অনুযায়ী আরও ৬৪৯ কোটি দুই লাখ ৪৩ হাজার ৯১ টাকা বৃদ্ধির ক্রয়প্রস্তাব অনুমোদন দেয় সরকার। এতে ব্যয় বেড়ে এখন প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে চার হাজার ৩৬৯ কোটি সাত লাখ ১০ হাজার ৮১৯ টাকা। মেয়াদও বেড়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়।