ঢাকা , সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব! Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের উদ্যোগে সিরাত মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান Logo অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি নয়, বিধবা কার্ড বাতিলের অভিযোগ Logo বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় সীমান্তিকের উদ্যাগে বিশ্ব গর্ভনিরোধ দিবস উদযাপন Logo সিলেটে পাথরবাহী ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ঔষধ কোম্পানীর এরিয়া ম্যানেজার নিহত Logo পাথারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃআলী নেওয়াজের ইন্তেকাল Logo শান্তিগঞ্জে শিক্ষার মানোন্নয়নে একত্রে তিনটি বিদ্যালয়ের অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী আর নেই Logo দুর্যোগ ব্যবস্থা কমিটির সভা Logo ছিনতাই করে পালোনোর সময় সিএনজি সহ চার ছিনতাইকারী জনতার হাতে আটক

সুনামগঞ্জে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী

সুনামগঞ্জে  অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৫) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের ভাষ্যমতে, গত ২২ অক্টোবর রাতে ছাত্রীটির নিজ বসত ঘরে এই দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। গতকাল সোমবার বিকেলে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ধর্মপাশা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর আগে কাল সকালে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা সৈকত মিয়াকে (২০) নিজ বাড়ি থেকে আটক করেছে ধর্মপাশা থানা পুলিশ।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার, পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হাওর এলাকার একটি গ্রামের বাসিন্দা ওই ছাত্রীর (১৫) মা–বাবা গত ২২ অক্টোবর চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহে যান। বাড়িতে ওই ছাত্রী ও তাঁর ছোট ভাই ছিল। ওই দিন রাত আটটার দিকে ছাত্রীর বাড়িতে ঢোকে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা এনামুল মিয়া (২১), সৈকত মিয়া (২০) ও উদয় মিয়া (১৯)। এ সময় ছাত্রীটি রান্নাঘরে ছিল। একপর্যায়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে পাশের কক্ষে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন এনামুল। পরে ওই ধর্ষণের ভিডিও দেখিয়ে সৈকত ও উদয় ধর্ষণ করেন। এ সময় বাইরে দুর্জয় মিয়া (২০) ও রাহুল মিয়া (২১) পাহারায় ছিলেন। সম্মানহানির ভয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী পরিবারকে কিছু জানায়নি।

পুলিশ বলছে, ৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীর বড় বোন তাঁর ফেসবুকে অজ্ঞাত আইডি থেকে তাঁর ছোট বোনকে ধর্ষণ করার একটি ভিডিও দেখতে পান। আর এই কাজে সৈকত রয়েছেন বলে তিনি চিনতে পারেন। পরে ঘটনাটি ওই ছাত্রীটির পরিবারের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে থানা–পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ সোমবার সকালে সৈকতকে আটক করে। বিকেলে ওই ছাত্রীর বাবা সৈকতসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন।

ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় উল্লেখিত আসামী সৈকতকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এদিকে ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

জনস্বার্থে নিউজ24.কম

 

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব!

সুনামগঞ্জে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী

আপডেট সময় ০৪:৪৪:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২

সুনামগঞ্জে  অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৫) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের ভাষ্যমতে, গত ২২ অক্টোবর রাতে ছাত্রীটির নিজ বসত ঘরে এই দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। গতকাল সোমবার বিকেলে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ধর্মপাশা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর আগে কাল সকালে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা সৈকত মিয়াকে (২০) নিজ বাড়ি থেকে আটক করেছে ধর্মপাশা থানা পুলিশ।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার, পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হাওর এলাকার একটি গ্রামের বাসিন্দা ওই ছাত্রীর (১৫) মা–বাবা গত ২২ অক্টোবর চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহে যান। বাড়িতে ওই ছাত্রী ও তাঁর ছোট ভাই ছিল। ওই দিন রাত আটটার দিকে ছাত্রীর বাড়িতে ঢোকে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা এনামুল মিয়া (২১), সৈকত মিয়া (২০) ও উদয় মিয়া (১৯)। এ সময় ছাত্রীটি রান্নাঘরে ছিল। একপর্যায়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে পাশের কক্ষে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন এনামুল। পরে ওই ধর্ষণের ভিডিও দেখিয়ে সৈকত ও উদয় ধর্ষণ করেন। এ সময় বাইরে দুর্জয় মিয়া (২০) ও রাহুল মিয়া (২১) পাহারায় ছিলেন। সম্মানহানির ভয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী পরিবারকে কিছু জানায়নি।

পুলিশ বলছে, ৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীর বড় বোন তাঁর ফেসবুকে অজ্ঞাত আইডি থেকে তাঁর ছোট বোনকে ধর্ষণ করার একটি ভিডিও দেখতে পান। আর এই কাজে সৈকত রয়েছেন বলে তিনি চিনতে পারেন। পরে ঘটনাটি ওই ছাত্রীটির পরিবারের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে থানা–পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ সোমবার সকালে সৈকতকে আটক করে। বিকেলে ওই ছাত্রীর বাবা সৈকতসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন।

ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় উল্লেখিত আসামী সৈকতকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এদিকে ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

জনস্বার্থে নিউজ24.কম