ঢাকা , বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo উন্নয়নের স্বপ্নে বঞ্চিত নবগঠিত মধ্যনগর টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ থেকে বাদ পড়ায় ক্ষোভ ও হতাশার ছায়া Logo শান্তিগঞ্জে দিনব্যাপী তামাক বিরোধী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo শাল্লায় অফিসেই আত্মহত্যা করলেন অফিস সহকারী Logo সামাজিক সংগঠন স্টুডেন্টস কেয়ার জগন্নাথপুর এর বৃক্ষ উৎসব সম্পন্ন Logo সুনামগঞ্জ জেলায় নবনিযুক্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের যোগদান Logo দিরাই ডেভেলাপমেন্ট অর্গেনাইজেশন ইউকের উদ্দ্যোগে ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগীতা সম্পন্ন Logo নবনিয়োগপ্রাপ্ত কনস্টেবলদের ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ কোর্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন Logo বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ২ Logo পাথারিয়া ইউপি ৩ নং ওয়ার্ডে প্রার্থী হচ্ছেন মোঃফয়জুল হক Logo সোহম আমাদের জাগরণের পথ দেখিয়েছে – ইউএনও সনজিব সরকার

সুনামগঞ্জে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী

সুনামগঞ্জে  অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৫) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের ভাষ্যমতে, গত ২২ অক্টোবর রাতে ছাত্রীটির নিজ বসত ঘরে এই দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। গতকাল সোমবার বিকেলে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ধর্মপাশা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর আগে কাল সকালে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা সৈকত মিয়াকে (২০) নিজ বাড়ি থেকে আটক করেছে ধর্মপাশা থানা পুলিশ।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার, পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হাওর এলাকার একটি গ্রামের বাসিন্দা ওই ছাত্রীর (১৫) মা–বাবা গত ২২ অক্টোবর চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহে যান। বাড়িতে ওই ছাত্রী ও তাঁর ছোট ভাই ছিল। ওই দিন রাত আটটার দিকে ছাত্রীর বাড়িতে ঢোকে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা এনামুল মিয়া (২১), সৈকত মিয়া (২০) ও উদয় মিয়া (১৯)। এ সময় ছাত্রীটি রান্নাঘরে ছিল। একপর্যায়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে পাশের কক্ষে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন এনামুল। পরে ওই ধর্ষণের ভিডিও দেখিয়ে সৈকত ও উদয় ধর্ষণ করেন। এ সময় বাইরে দুর্জয় মিয়া (২০) ও রাহুল মিয়া (২১) পাহারায় ছিলেন। সম্মানহানির ভয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী পরিবারকে কিছু জানায়নি।

পুলিশ বলছে, ৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীর বড় বোন তাঁর ফেসবুকে অজ্ঞাত আইডি থেকে তাঁর ছোট বোনকে ধর্ষণ করার একটি ভিডিও দেখতে পান। আর এই কাজে সৈকত রয়েছেন বলে তিনি চিনতে পারেন। পরে ঘটনাটি ওই ছাত্রীটির পরিবারের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে থানা–পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ সোমবার সকালে সৈকতকে আটক করে। বিকেলে ওই ছাত্রীর বাবা সৈকতসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন।

ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় উল্লেখিত আসামী সৈকতকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এদিকে ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

জনস্বার্থে নিউজ24.কম

 

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

উন্নয়নের স্বপ্নে বঞ্চিত নবগঠিত মধ্যনগর টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ থেকে বাদ পড়ায় ক্ষোভ ও হতাশার ছায়া

সুনামগঞ্জে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী

আপডেট সময় ০৪:৪৪:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২

সুনামগঞ্জে  অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৫) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের ভাষ্যমতে, গত ২২ অক্টোবর রাতে ছাত্রীটির নিজ বসত ঘরে এই দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। গতকাল সোমবার বিকেলে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ধর্মপাশা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর আগে কাল সকালে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা সৈকত মিয়াকে (২০) নিজ বাড়ি থেকে আটক করেছে ধর্মপাশা থানা পুলিশ।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার, পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হাওর এলাকার একটি গ্রামের বাসিন্দা ওই ছাত্রীর (১৫) মা–বাবা গত ২২ অক্টোবর চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহে যান। বাড়িতে ওই ছাত্রী ও তাঁর ছোট ভাই ছিল। ওই দিন রাত আটটার দিকে ছাত্রীর বাড়িতে ঢোকে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা এনামুল মিয়া (২১), সৈকত মিয়া (২০) ও উদয় মিয়া (১৯)। এ সময় ছাত্রীটি রান্নাঘরে ছিল। একপর্যায়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে পাশের কক্ষে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন এনামুল। পরে ওই ধর্ষণের ভিডিও দেখিয়ে সৈকত ও উদয় ধর্ষণ করেন। এ সময় বাইরে দুর্জয় মিয়া (২০) ও রাহুল মিয়া (২১) পাহারায় ছিলেন। সম্মানহানির ভয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী পরিবারকে কিছু জানায়নি।

পুলিশ বলছে, ৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীর বড় বোন তাঁর ফেসবুকে অজ্ঞাত আইডি থেকে তাঁর ছোট বোনকে ধর্ষণ করার একটি ভিডিও দেখতে পান। আর এই কাজে সৈকত রয়েছেন বলে তিনি চিনতে পারেন। পরে ঘটনাটি ওই ছাত্রীটির পরিবারের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে থানা–পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ সোমবার সকালে সৈকতকে আটক করে। বিকেলে ওই ছাত্রীর বাবা সৈকতসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন।

ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় উল্লেখিত আসামী সৈকতকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এদিকে ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

জনস্বার্থে নিউজ24.কম