ঢাকা , সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব! Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের উদ্যোগে সিরাত মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান Logo অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি নয়, বিধবা কার্ড বাতিলের অভিযোগ Logo বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় সীমান্তিকের উদ্যাগে বিশ্ব গর্ভনিরোধ দিবস উদযাপন Logo সিলেটে পাথরবাহী ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ঔষধ কোম্পানীর এরিয়া ম্যানেজার নিহত Logo পাথারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃআলী নেওয়াজের ইন্তেকাল Logo শান্তিগঞ্জে শিক্ষার মানোন্নয়নে একত্রে তিনটি বিদ্যালয়ের অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী আর নেই Logo দুর্যোগ ব্যবস্থা কমিটির সভা Logo ছিনতাই করে পালোনোর সময় সিএনজি সহ চার ছিনতাইকারী জনতার হাতে আটক

প্রবন্ধ: এইচ.আই.ভি.এইডস: মোছাঃ সানোয়ারা বেগম

(AIDS) হচ্ছে Acquired Immune Deficiency Syndrome. এই চারটি ইংরেজী শব্দের প্রতিটির প্রথম অক্ষর নিয়ে এ রোগের নামকরণ করা হয়েছে AIDS. মরণব্যাধি AIDS নামক ভাইরাসের আক্রমনে এইডস রোগ হয় । আজ পর্যন্ত বিশ্বের কোন দেশে এইডস রোগের ঔষধ আবিস্কার হয় নাই । মূলত তিনটি প্রধান মাধ্যমে ঐওঠ ভাইরাস মানব শরীরে প্রবেশ করে। যেমন-
i) Blood to blood
ii) Mother to child and
iiii) Unprotected sex

HIV ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত কোন মানুষের রক্ত যদি কোন সুস্থ মানুষের শরীরে প্রবেশ করানো হয় তখন এই সুস্থ ব্যক্তির শরীরে রক্তের মাধ্যমে HIV ভাইরাস প্রবেশ করে এবং ধীরে ধীরে এইডস রোগ হয়। এছাড়া HIV ভাইরাসে আক্রান্ত কোন মা যদি তার গর্ভের সন্তানকে বুকের দুধ পান করান তবে মা থেকে তার সন্তানের শরীরে HIV ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। অনিরাপদ যৌন মিলনের ফলেও HIV ভাইরাস মানব শরীরে প্রবেশ করে। HIV ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত কোন পুরুষ বা মহিলা যদি কোন সুস্থ মানুষের সাথে অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক ¯’স্থাপন করে তবে এই সুস্থ মানুষটির শরীরে HIV ভাইরাস প্রবেশ করে এবং ধীরে ধীরে AIDS রোগ হয়। HIV ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার করা সুঁচ, সিরিঞ্জ জীবানুমুক্ত না করে ব্যবহার করলে HIV/AIDS ছড়াতে পারে ।

এইডস রোগের লক্ষন:
• রোগীর দেহের ওজন ধীরে ধীরে কমে যায়।
• রোগীর শরীরে একটানা জ্বর থাকে
• রোগী সহজেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয় ।
• ঘাড় বা বগলে ব্যথা হয়।
• অনেক দিন পর্যন্ত শুকনো কাশি থাকে।

উল্লেখিত লক্ষন থাকলেই রোগীর এইডস হয়েছে বলা যাবে না। কারণ শুধুমাত্র রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমেই নিশ্চিত ভাবে জানা যায় রোগীর এইডস রোগ হয়েছে কিনা।
এইডস রোগ প্রতিরোধের উপায়:

(১) ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললে এইডস রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
(২) প্রয়োজনের সময় জীবানুমুক্ত সুচ, সিরিঞ্জ ব্যবহার করে।
(৩) শরীরে রক্ত নেয়ার প্রয়োজন হলে পরীক্ষিত রক্ত গ্রহণের মাধ্যমে।

সমাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে শিক্ষক মহোদয়গণের শিক্ষকতার পাশাপাশি অওউঝ রোগ প্রতিরোধে এগিয়ে আসা উচিত। দেশ জাতি ও বিশ্বকে মরণ ব্যধি এইডস মুক্ত রাখতে যদি সকল সচেতন মানুষ স্বেছায় এগিয়ে আসে তবে ধীরে ধীরে মরণব্যাধি এইডস রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

(সহকারী শিক্ষক)

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব!

প্রবন্ধ: এইচ.আই.ভি.এইডস: মোছাঃ সানোয়ারা বেগম

আপডেট সময় ০৯:২৯:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

(AIDS) হচ্ছে Acquired Immune Deficiency Syndrome. এই চারটি ইংরেজী শব্দের প্রতিটির প্রথম অক্ষর নিয়ে এ রোগের নামকরণ করা হয়েছে AIDS. মরণব্যাধি AIDS নামক ভাইরাসের আক্রমনে এইডস রোগ হয় । আজ পর্যন্ত বিশ্বের কোন দেশে এইডস রোগের ঔষধ আবিস্কার হয় নাই । মূলত তিনটি প্রধান মাধ্যমে ঐওঠ ভাইরাস মানব শরীরে প্রবেশ করে। যেমন-
i) Blood to blood
ii) Mother to child and
iiii) Unprotected sex

HIV ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত কোন মানুষের রক্ত যদি কোন সুস্থ মানুষের শরীরে প্রবেশ করানো হয় তখন এই সুস্থ ব্যক্তির শরীরে রক্তের মাধ্যমে HIV ভাইরাস প্রবেশ করে এবং ধীরে ধীরে এইডস রোগ হয়। এছাড়া HIV ভাইরাসে আক্রান্ত কোন মা যদি তার গর্ভের সন্তানকে বুকের দুধ পান করান তবে মা থেকে তার সন্তানের শরীরে HIV ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। অনিরাপদ যৌন মিলনের ফলেও HIV ভাইরাস মানব শরীরে প্রবেশ করে। HIV ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত কোন পুরুষ বা মহিলা যদি কোন সুস্থ মানুষের সাথে অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক ¯’স্থাপন করে তবে এই সুস্থ মানুষটির শরীরে HIV ভাইরাস প্রবেশ করে এবং ধীরে ধীরে AIDS রোগ হয়। HIV ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার করা সুঁচ, সিরিঞ্জ জীবানুমুক্ত না করে ব্যবহার করলে HIV/AIDS ছড়াতে পারে ।

এইডস রোগের লক্ষন:
• রোগীর দেহের ওজন ধীরে ধীরে কমে যায়।
• রোগীর শরীরে একটানা জ্বর থাকে
• রোগী সহজেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয় ।
• ঘাড় বা বগলে ব্যথা হয়।
• অনেক দিন পর্যন্ত শুকনো কাশি থাকে।

উল্লেখিত লক্ষন থাকলেই রোগীর এইডস হয়েছে বলা যাবে না। কারণ শুধুমাত্র রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমেই নিশ্চিত ভাবে জানা যায় রোগীর এইডস রোগ হয়েছে কিনা।
এইডস রোগ প্রতিরোধের উপায়:

(১) ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললে এইডস রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
(২) প্রয়োজনের সময় জীবানুমুক্ত সুচ, সিরিঞ্জ ব্যবহার করে।
(৩) শরীরে রক্ত নেয়ার প্রয়োজন হলে পরীক্ষিত রক্ত গ্রহণের মাধ্যমে।

সমাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে শিক্ষক মহোদয়গণের শিক্ষকতার পাশাপাশি অওউঝ রোগ প্রতিরোধে এগিয়ে আসা উচিত। দেশ জাতি ও বিশ্বকে মরণ ব্যধি এইডস মুক্ত রাখতে যদি সকল সচেতন মানুষ স্বেছায় এগিয়ে আসে তবে ধীরে ধীরে মরণব্যাধি এইডস রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

(সহকারী শিক্ষক)