(AIDS) হচ্ছে Acquired Immune Deficiency Syndrome. এই চারটি ইংরেজী শব্দের প্রতিটির প্রথম অক্ষর নিয়ে এ রোগের নামকরণ করা হয়েছে AIDS. মরণব্যাধি AIDS নামক ভাইরাসের আক্রমনে এইডস রোগ হয় । আজ পর্যন্ত বিশ্বের কোন দেশে এইডস রোগের ঔষধ আবিস্কার হয় নাই । মূলত তিনটি প্রধান মাধ্যমে ঐওঠ ভাইরাস মানব শরীরে প্রবেশ করে। যেমন-
i) Blood to blood
ii) Mother to child and
iiii) Unprotected sex
HIV ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত কোন মানুষের রক্ত যদি কোন সুস্থ মানুষের শরীরে প্রবেশ করানো হয় তখন এই সুস্থ ব্যক্তির শরীরে রক্তের মাধ্যমে HIV ভাইরাস প্রবেশ করে এবং ধীরে ধীরে এইডস রোগ হয়। এছাড়া HIV ভাইরাসে আক্রান্ত কোন মা যদি তার গর্ভের সন্তানকে বুকের দুধ পান করান তবে মা থেকে তার সন্তানের শরীরে HIV ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। অনিরাপদ যৌন মিলনের ফলেও HIV ভাইরাস মানব শরীরে প্রবেশ করে। HIV ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত কোন পুরুষ বা মহিলা যদি কোন সুস্থ মানুষের সাথে অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক ¯’স্থাপন করে তবে এই সুস্থ মানুষটির শরীরে HIV ভাইরাস প্রবেশ করে এবং ধীরে ধীরে AIDS রোগ হয়। HIV ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার করা সুঁচ, সিরিঞ্জ জীবানুমুক্ত না করে ব্যবহার করলে HIV/AIDS ছড়াতে পারে ।
এইডস রোগের লক্ষন:
• রোগীর দেহের ওজন ধীরে ধীরে কমে যায়।
• রোগীর শরীরে একটানা জ্বর থাকে
• রোগী সহজেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয় ।
• ঘাড় বা বগলে ব্যথা হয়।
• অনেক দিন পর্যন্ত শুকনো কাশি থাকে।
উল্লেখিত লক্ষন থাকলেই রোগীর এইডস হয়েছে বলা যাবে না। কারণ শুধুমাত্র রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমেই নিশ্চিত ভাবে জানা যায় রোগীর এইডস রোগ হয়েছে কিনা।
এইডস রোগ প্রতিরোধের উপায়:
(১) ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললে এইডস রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
(২) প্রয়োজনের সময় জীবানুমুক্ত সুচ, সিরিঞ্জ ব্যবহার করে।
(৩) শরীরে রক্ত নেয়ার প্রয়োজন হলে পরীক্ষিত রক্ত গ্রহণের মাধ্যমে।
সমাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে শিক্ষক মহোদয়গণের শিক্ষকতার পাশাপাশি অওউঝ রোগ প্রতিরোধে এগিয়ে আসা উচিত। দেশ জাতি ও বিশ্বকে মরণ ব্যধি এইডস মুক্ত রাখতে যদি সকল সচেতন মানুষ স্বেছায় এগিয়ে আসে তবে ধীরে ধীরে মরণব্যাধি এইডস রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
(সহকারী শিক্ষক)