শাল্লা প্রতিনিধি::-যুবলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে গতিশীল ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশনায় দীর্ঘদিন পর শাল্লায় অনুষ্ঠিত হয়েছে যুবলীগের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও কর্মী সভা।
তবে জেলা যুবলীগের অতিথি নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার আগেই যুবলীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। যুবলীগের বেশ কয়েকজন নেতা জানান যুবলীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দদের বাদ দিয়ে তাদেরকে অবগত না করে না জানিয়ে যুবলীগ নেতা হিমেল সরকার তার সমর্থকদের নিয়ে আলাদা মিছিল করেন।
আলাদা মিছিল না করতে হিমেল সরকারকে ডাকবাংলোতে ডাকেন সিনিয়র নেতৃবৃন্দরা। তবে হিমেল সরকার সিনিয়র নেতৃবৃন্দের নির্দেশ মানতে নারাজ বলে জানান তারা। সিনিয়রদের নির্দেশ না মানায় পরে হিমেল সরকারের সমর্থকেরা ডাকবাংলোর ভেতরে ডুকলে দু-গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
পরে অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে জেলার নেতৃবৃন্দরা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াকারীদের সমঝোতা করে মিলিয়ে দেন।
এদিকে উপজেলা যুবলীগের আয়োজনে সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টায় গণমিলনায়তনে কর্মী সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা যুবলীগের সদস্য ও উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান এ্যাড: দিপু রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে ও তারই পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সবুজ কান্তি দাস,ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সীতেশ তালুকদার মঞ্জু,জেলা যুবলীগের সদস্য নুরুল ইসলাম বজলু।
কর্মী সভায় বক্তারা বলেন আমরা যারা যুবলীগ করি তারাও স্মার্ট হতে হবে। স্বাধীনতার পর থেকে এখনো শাল্লায় যুবলীগের ডকুমেন্টারি কোন কমিটি হয়নি উল্লেখ করে বক্তারা বলেন আমরা চাই শাল্লা উপজেলায় একটি স্বচ্ছ ও সুন্দর কমিটি উপহার দেওয়া হউক। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিথি বৃন্দরা বলেন যুবলীগে কোন হাইব্রিড ও চাঁদাবাজদের জায়গা হবে না। যারা সংগঠনের নিয়ম ভঙ্গ করে যারা শিষ্টাচার মানে না তাদেরকে যুবলীগের কমিটিতে স্থান দেওয়া হবে না। বক্তারা বলেন আগামী নির্বাচন খুব কঠিন নির্বাচন হবে। তাই আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
বক্তারা বলেন শাল্লায় দীর্ঘদিন ধরে যুবলীগের কোন প্রোগ্রাম হয়নি এটা খুবই দুঃখজনক। যুবলীগের পদ প্রত্যাশীদের উদ্দেশ্যে বক্তারা বলেন আপনারা স্বপ্ন পূরণের দারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন। আপনাদের শাল্লা যুবলীগের কমিটি যেকোনো সময় অনুমোদন হতে পারে। বক্তারা আরো বলেন স্বাধীনতার পর শেখ হাসিনা এদেশে ফিরে এসেছিল বলেই আজকের এই কর্মী সমাবেশ করতে পেরেছি। শেখ হাসিনা এদেশে এসেছিল বলেই এদেশে পদ্মা সেতু হয়েছে। শেখ হাসিনা এসেছিল বলেই এদেশের ভূমিহীনরা ভূমি পেয়েছেন। যুবলীগের কমিটিতে কোন সাম্প্রদায়িক ও চাঁদাবাজদের স্থান হবে না বলে জানান বক্তারা।
অন্যানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য ও যুবলীগ নেতা টিকেন্দ্র চন্দ্র দাস, যুবলীগ নেতা ফেনী ভূষণ সরকার,রফিকুল ইসলাম রফিক,
অরিন্দম চৌধুরী অপু,ফখরুল ইসলাম,শিক্ষানবিশ আইনজীবী ও যুবলীগ নেতা অনুপম তালুকদার জিকু,স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সদস্য পলাশ সরকার পল্টু,যুবলীগ নেতা,হিমেল সরকার,লাল আমিন তালুকদার,সাইফুল ইসলাম সহ স্থানীয় যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।