ঢাকা , রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo বীরমুক্তিযোদ্ধা রতন কুমারের পরলোকগমন — রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শান্ত বিদায় Logo শান্তিগঞ্জে প্রাণবন্ত প্রীতি ফুটবল ম্যাচ: ব্যবসায়ীদের হারিয়ে বিজয়ী ইসলামী ব্যাংক পাগলা বাজার Logo জামায়াতের সমাবেশে কত খরচ হয়েছে, জানালেন দলের আমির Logo শান্তিগঞ্জে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন Logo দোয়ারাবাজারে জুলাই পুনজার্গরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান Logo অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে Logo ফিটনেসবিহীন রাষ্ট্রব্যবস্থার বোঝা তরুণদের ঘাড়ে চাপিয়েছে সরকার: সুনামগঞ্জে নাহিদ ইসলাম Logo সুনামগঞ্জ-৩ আসনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হাফেজ মুশতাক Logo দিরাইয়ে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিএনপির দোয়া মাহফিল Logo শান্তিগঞ্জে লেগুনা-সিএনজি সংঘর্ষে দুইজন নিহত, আহত ৬

দিরাইয়ে দুই গ্রুপে ব্যাপক সংঘর্ষ গোলাগুলিতে আহত ৩০

দিরাইয়ে গ্রাম্য আদিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গৌছ-মজুমদার গ্রুপের বন্দুকের গুলিতে ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এরমধ্যে ২৩ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের রাড়ইল গ্রামে ঘটেছে।

সংঘর্ষে আহতরা হলেন গ্রামের গৌছ-মজুমদার গ্রুপের ইমতাজ মিয়ার ছেলে নুনু মিয়া (৬৫), আনু মিয়ার ছেলে অমিত হাসান (১৬), আনফর মিয়ার ছেলে আবুল কালাম চৌধুরী (৬৪), লাল মিয়ার ছেলে মুরশাদ (২৮) ও ফরসাদ মিয়া (২২), মজুমদার চৌধুরীর ছেলে রবিউল ইসলাম (২৫), আব্দুল হেকিমের ছেলে মনু মিয়া (৪০) ও রাজিব মিয়া (২৫), হেফাজুর মিয়ার ছেলে তানভীর মিয়া (২১), সুলতান মিয়ার ছেলে মাহিদ মিয়া (১৯) ও সুজন মিয়া (৩২), গৌছ মিয়ার ছেলে অলিউর রহমান (৩০), শওকত মিয়ার ছেলে রাবেল মিয়া (২৫), নুনু মিয়া চৌধুরীর ছেলে তানিম আহমদ চৌধুরী (২২) ও তাজিম আহমদ চৌধুরী (২১), মদরিছ মিয়ার ছেলে গৌছ মিয়া (৭০), আব্দুল হেকিম মিয়ার ছেলে নানু মিয়া (৩৭)। অপরপক্ষের নূরুল ইসলামের ছেলে সাজ্জুল মিয়া (৪২), রেজা চৌধুরী (১৭), মুহিবুর রহমান (২২), হুমায়ুন আহমদ (৬০), বশির মিয়ার ছেলে বদরুল মিয়া চৌধুরী (২৭) ও শালিস ব্যক্তি টংগর গ্রামের মারফত আলীর ছেলে আব্দুন নূর মিয়া (৫২) আহত হন। গুরুতর আহতদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

গ্রামের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, গত জ্যৈষ্ঠ মাসে গ্রামের একটি প্রাইভেট কেন্দ্রে অতর্কিত হামলা করে নুনু মিয়ার ছেলে, এ ঘটনায় মামলাও হয়। এরপর থেকে গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা রয়ে যায়।

মঙ্গলবার সকালে গৌছ-মজুমদার গ্রুপ পূর্ব প্রস্তুতি নিয়েই গৌছ মিয়া-নুনু মিয়ার নেতৃত্বে গ্রামের পূর্ব অংশে ও আনু মিয়া-মজুমদারের নেতৃত্বে পশ্চিম অংশে গিয়ে অতর্কিত গুলি চালায়। এ সময় অপর পক্ষের লোকজন আত্মরক্ষার্থে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। সূত্রটি আরও জানায়, যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তখন গৌছ-মজুমদার গ্রুপের পক্ষের লোকজনের গুলিতেই তারা গুলিবিদ্ধ হয়। সংঘর্ষে শুধুমাত্র গৌছ-মজুমদার গ্রুপই বন্দুক ব্যবহার করেছে।

দিরাই থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন জানান, সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের রাড়ইল গ্রামের সংঘর্ষের খবর পেয়েছি। এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি, মামলা কিংবা কেউ আটকও হয়নি, গ্রামের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

বীরমুক্তিযোদ্ধা রতন কুমারের পরলোকগমন — রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শান্ত বিদায়

দিরাইয়ে দুই গ্রুপে ব্যাপক সংঘর্ষ গোলাগুলিতে আহত ৩০

আপডেট সময় ০৯:৩৭:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩

দিরাইয়ে গ্রাম্য আদিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গৌছ-মজুমদার গ্রুপের বন্দুকের গুলিতে ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এরমধ্যে ২৩ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের রাড়ইল গ্রামে ঘটেছে।

সংঘর্ষে আহতরা হলেন গ্রামের গৌছ-মজুমদার গ্রুপের ইমতাজ মিয়ার ছেলে নুনু মিয়া (৬৫), আনু মিয়ার ছেলে অমিত হাসান (১৬), আনফর মিয়ার ছেলে আবুল কালাম চৌধুরী (৬৪), লাল মিয়ার ছেলে মুরশাদ (২৮) ও ফরসাদ মিয়া (২২), মজুমদার চৌধুরীর ছেলে রবিউল ইসলাম (২৫), আব্দুল হেকিমের ছেলে মনু মিয়া (৪০) ও রাজিব মিয়া (২৫), হেফাজুর মিয়ার ছেলে তানভীর মিয়া (২১), সুলতান মিয়ার ছেলে মাহিদ মিয়া (১৯) ও সুজন মিয়া (৩২), গৌছ মিয়ার ছেলে অলিউর রহমান (৩০), শওকত মিয়ার ছেলে রাবেল মিয়া (২৫), নুনু মিয়া চৌধুরীর ছেলে তানিম আহমদ চৌধুরী (২২) ও তাজিম আহমদ চৌধুরী (২১), মদরিছ মিয়ার ছেলে গৌছ মিয়া (৭০), আব্দুল হেকিম মিয়ার ছেলে নানু মিয়া (৩৭)। অপরপক্ষের নূরুল ইসলামের ছেলে সাজ্জুল মিয়া (৪২), রেজা চৌধুরী (১৭), মুহিবুর রহমান (২২), হুমায়ুন আহমদ (৬০), বশির মিয়ার ছেলে বদরুল মিয়া চৌধুরী (২৭) ও শালিস ব্যক্তি টংগর গ্রামের মারফত আলীর ছেলে আব্দুন নূর মিয়া (৫২) আহত হন। গুরুতর আহতদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

গ্রামের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, গত জ্যৈষ্ঠ মাসে গ্রামের একটি প্রাইভেট কেন্দ্রে অতর্কিত হামলা করে নুনু মিয়ার ছেলে, এ ঘটনায় মামলাও হয়। এরপর থেকে গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা রয়ে যায়।

মঙ্গলবার সকালে গৌছ-মজুমদার গ্রুপ পূর্ব প্রস্তুতি নিয়েই গৌছ মিয়া-নুনু মিয়ার নেতৃত্বে গ্রামের পূর্ব অংশে ও আনু মিয়া-মজুমদারের নেতৃত্বে পশ্চিম অংশে গিয়ে অতর্কিত গুলি চালায়। এ সময় অপর পক্ষের লোকজন আত্মরক্ষার্থে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। সূত্রটি আরও জানায়, যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তখন গৌছ-মজুমদার গ্রুপের পক্ষের লোকজনের গুলিতেই তারা গুলিবিদ্ধ হয়। সংঘর্ষে শুধুমাত্র গৌছ-মজুমদার গ্রুপই বন্দুক ব্যবহার করেছে।

দিরাই থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন জানান, সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের রাড়ইল গ্রামের সংঘর্ষের খবর পেয়েছি। এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি, মামলা কিংবা কেউ আটকও হয়নি, গ্রামের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।