দিরাই-শাল্লা (সুনামগঞ্জ):প্রতিনিধি
বিগত ১৫ বছরে আমাদের ৬ শতাধিক নেতাকর্মী গুম হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেড়শোড়ও অধিক নেতাকর্মী জীবন দিয়েছে। আমরা তাদের আত্মার শান্তি কামনা করি। যারা আন্দোলনে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে তাদের সুস্থতা কামনা করি। বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে এক লক্ষ আশি হাজার মামলা দেওয়া হয়েছে। এখনো লাখ লাখ নেতাকর্মীর নামে মামলা রয়েছে। আমরা সকলের ত্যাগ অবিস্মরণ করি। শাল্লা উপজেলাতেও অনেক নেতাকর্মীদেরকে জেলে যেতে হয়েছে। মামলা-হামলায় বিপর্যস্ত হয়েছে। আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ইউনিয়ন,পৌরসভা,উপজেলা থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যায়েরও বিএনপির সকল কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার সকল সাংগঠনিক কমিটি পুরনো ও অচল হয়ে পরেছে। শাল্লাতেও কমিটি অনেক পুরনো হয়ে গেছে। উপজেলা,ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে আমরা নতুন কমিটি করতে চাই। সাংগঠনিকভাবে কমিটি করতে চাই। অনেক প্রশ্ন রয়েছে। অনেকেই নীরব ছিলেন। আবার অনেকেই দলীয় পোস্ট ছাড়াই জীবন দিয়ে বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রামে যুদ্ধ করেছেন। সুতরাং আমরা এই কমিটি করার সময় যারা সরকার পতন আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে, যারা হামলা-মামলয় বিপর্যস্ত হয়েছে তাদেরকে সর্বাধিক পর্যায়ে স্থান দিতে চাই। উপজেলায় ১০১,ইউনিয়ন ৫১,ওয়ার্ড ৫১ সদস্যের কমিটি করতে চাই। আমাদের টিম সাংগঠনিক কাজ নিয়ে এসেছে। আমাদের কাজ হচ্ছে ওয়ার্ড,ইউনিয়ন ও তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন দেওয়া।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা বিএনপির কর্মী সভায় এসব কথা বলেছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কলিমউদ্দিন আহমেদ মিলন।
(২৫ নভেম্বর) সোমবার দুপুর বারোটায় উপজেলা গণমিলনায়তনে কলিমউদ্দিন আহমেদ মিলনের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড: নুরুল ইসলাম নুরুলের পরিচালনায় কর্মী সভাটি পালন করা হয়েছে। এসময় আরো বক্তব্য প্রদান করেছেন জেলা বিএনপির সদস্য আবুল কালাম আজাদ,আব্দুর রশিদ চৌধুরী,ফারক আহমদ,রেজাউল হক,আনছার উদ্দিন,আকবর আলী,নাদের আহমদ প্রমূখ।
এছাড়াও জেলা বিএনপি,দিরাই ও শাল্লা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।