ঢাকা , শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সমঅধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বিএনপি- মাহবুবুর রহমান Logo শান্তিগঞ্জে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন এম এ সাত্তার Logo মধ্যনগরে বিএনপি নেতা ও যুবদল আহ্বায়কসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে জেলেদের বিক্ষোভ Logo শান্তিগঞ্জে ট্রাক-সিএনজি সংঘর্ষে মা-মেয়েসহ নিহত ৩ Logo সুরমা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের জমি বিরোধে উত্তেজনা, ইউএনওর মধ্যস্থতায় সমঝোতা বৈঠক Logo পূর্ব নির্ধারিত স্থানে সুবিপ্রবি’র স্থায়ী ক্যাম্পাস দ্রুত স্থাপনের দাবিতে ছাতকে মানববন্ধন Logo বিএনপির সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী সুজন মিয়া Logo শান্তিগঞ্জে গাজীনগর সাতঘরিয়া গোষ্ঠীর উদ্যোগে সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত Logo ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে অপপ্রচার: শান্তিগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি Logo শান্তিগঞ্জে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হাফেজ শেখ মুশতাক আহমদের সমর্থনে নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত

শান্তিগঞ্জে গাজীনগর সাতঘরিয়া গোষ্ঠীর উদ্যোগে সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত

  • মান্নার মিয়া
  • আপডেট সময় ০২:১৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫১৮ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:
সমাজে যখন হানাহানি, বিবাদ ও গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব বেড়ে চলেছে, তখন এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে শান্তিগঞ্জ উপজেলার গাজিনগর গ্রামের সাতঘরিয়া গোষ্ঠী। পরস্পরের মধ্যে সম্পর্কের বন্ধন আরও দৃঢ় করতে তারা আয়োজন করেছে এক দিনব্যাপী আনন্দ ভ্রমণের।
বুধবার(১৭সেপ্টেম্বর)সকাল ৮ঘটিকায় গাজিনগর থেকে গাড়িবহর নিয়ে যাত্রা শুরু করে গোষ্ঠীর সদস্যরা। গন্তব্য ছিল সিলেটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা জাফলং। ভ্রমণে শিশু, কিশোর, তরুণ ও বয়স্ক সবাই অংশগ্রহণ করেন। নানা আয়োজন ভ্রমণকে প্রাণবন্ত করে তোলে।
এই আনন্দ ভ্রমণের নেতৃত্ব দেন জিয়াউর রহমান, আজমল হোসেন, মিলন মিয়া, মারজান আহমদ, সওার মিয়া, জুয়েল, হাবিল, আরমান, তসলিম উদ্দিন, মুসা, লুতফুর মিয়া, রুবেল, ইমরান, ইমন, মাহি, ফিয়াস ও মারজান মিয়া।
গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য শুধু বিনোদন নয়, বরং ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও সম্প্রীতির বন্ধনকে দৃঢ় করা। এক অংশগ্রহণকারী বলেন, “এটা শুধু ভ্রমণ নয়, নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার দিন। আমরা চাই একে অপরের কথা শুনি, বুঝি ও পাশে থাকি।”
বিদেশে অবস্থানরত গোষ্ঠীর সদস্যরাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, দূরে থেকেও মনেপ্রাণে আছেন এই আয়োজনে এবং ভবিষ্যতে দেশে এসে অংশগ্রহণের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
ভ্রমণ শেষে গোষ্ঠীর নেতারা একে অপরকে ধন্যবাদ জানান এবং ঐক্য ধরে রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, “শান্তি চাইলে আগে পরিবার ও গোষ্ঠীতে শান্তি আনতে হবে। আমাদের এই ছোট উদ্যোগ হয়তো অন্যদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।”

এ ধরনের উদ্যোগ সমাজে একটি ইতিবাচক বার্তা দেয় — সহমর্মিতা, সম্প্রীতি ও ভালোবাসাই পারে সামাজিক শান্তি ফিরিয়ে আনতে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন

ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সমঅধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বিএনপি- মাহবুবুর রহমান

শান্তিগঞ্জে গাজীনগর সাতঘরিয়া গোষ্ঠীর উদ্যোগে সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত

আপডেট সময় ০২:১৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার:
সমাজে যখন হানাহানি, বিবাদ ও গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব বেড়ে চলেছে, তখন এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে শান্তিগঞ্জ উপজেলার গাজিনগর গ্রামের সাতঘরিয়া গোষ্ঠী। পরস্পরের মধ্যে সম্পর্কের বন্ধন আরও দৃঢ় করতে তারা আয়োজন করেছে এক দিনব্যাপী আনন্দ ভ্রমণের।
বুধবার(১৭সেপ্টেম্বর)সকাল ৮ঘটিকায় গাজিনগর থেকে গাড়িবহর নিয়ে যাত্রা শুরু করে গোষ্ঠীর সদস্যরা। গন্তব্য ছিল সিলেটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা জাফলং। ভ্রমণে শিশু, কিশোর, তরুণ ও বয়স্ক সবাই অংশগ্রহণ করেন। নানা আয়োজন ভ্রমণকে প্রাণবন্ত করে তোলে।
এই আনন্দ ভ্রমণের নেতৃত্ব দেন জিয়াউর রহমান, আজমল হোসেন, মিলন মিয়া, মারজান আহমদ, সওার মিয়া, জুয়েল, হাবিল, আরমান, তসলিম উদ্দিন, মুসা, লুতফুর মিয়া, রুবেল, ইমরান, ইমন, মাহি, ফিয়াস ও মারজান মিয়া।
গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য শুধু বিনোদন নয়, বরং ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও সম্প্রীতির বন্ধনকে দৃঢ় করা। এক অংশগ্রহণকারী বলেন, “এটা শুধু ভ্রমণ নয়, নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার দিন। আমরা চাই একে অপরের কথা শুনি, বুঝি ও পাশে থাকি।”
বিদেশে অবস্থানরত গোষ্ঠীর সদস্যরাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, দূরে থেকেও মনেপ্রাণে আছেন এই আয়োজনে এবং ভবিষ্যতে দেশে এসে অংশগ্রহণের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
ভ্রমণ শেষে গোষ্ঠীর নেতারা একে অপরকে ধন্যবাদ জানান এবং ঐক্য ধরে রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, “শান্তি চাইলে আগে পরিবার ও গোষ্ঠীতে শান্তি আনতে হবে। আমাদের এই ছোট উদ্যোগ হয়তো অন্যদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।”

এ ধরনের উদ্যোগ সমাজে একটি ইতিবাচক বার্তা দেয় — সহমর্মিতা, সম্প্রীতি ও ভালোবাসাই পারে সামাজিক শান্তি ফিরিয়ে আনতে।