তীরে এসে তরী ডুবানো। ইংল্যান্ড ফ্রান্স ম্যাচ যখন শেষ পর্যায়ে তখন ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা ইংল্যান্ড পেয়ে যায় পেনাল্টির সুযোগ। কিন্ত হল না। স্পট কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন হ্যারি কেইন। তার এই মিসে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় থ্রি লায়ন্সরা।
ম্যাচ শুরুর মাত্র ১২ নিনিটে প্রথম গোলের সুযোগ পায় ফ্রান্স। ডান পাশ থেকে ডেম্বেলের ক্রসে জিরুডের হেড সোজা চলে যায় ইংলিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ডের হাতে৷
জিরুডের আক্রমণের ঠিক ৪ মিনিট পরেই ১৮ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করে দলকে এগিয়ে দেন টিচুয়ামেনি। মাঝমাঠে গ্রিজম্যানের থেকে বল পেয়ে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে ডান পায়ের বুলেট গতির শটে গোল করে দলকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন তিনি।
এক গোলে পিছিয়ে পড়ে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে ইংল্যান্ড। ২৩ মিনিটে হ্যারি কেইন দারুণ শট নিলে সেটি রুখে দেন লরিস। ২৭ নিনিটে ম্যাচে উত্তেজনা ছড়ায় হ্যারি কেইনের পেনাল্টি আপিল। ভিএআর এর মাধ্যমে দেখা যায় ফাউলটি ডি বক্সের বাইরে হয়েছিল যার দরুণ পেনাল্টি বঞ্চিত হয় তারা। ৩০ মিনিটে আবারও হ্যারি কেইনের দূরপাল্লার বুলেট গতির শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন লরিস।
ম্যাচের ৩৮ মিনিটে প্রথমবারের মত গোলের সুযোগ পান এমবাপে। ডিবক্সের ভেতর তার বা পায়ের শট চলে যায় গোলবারের উপর দিয়ে।
বিশ্বকাপে এর আগের দুই মোকাবিলায় দুইবারই জিতেছিল ইংল্যান্ড। এমন সুখস্মৃতি থাকলেও ম্যাচের প্রথমার্ধে গোল বঞ্চিত থাকে ইংলিশরা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে ফ্রান্সকে আরও চেপে ধরে ইংলিশরা। ৫৩ মিনিটে সাকাকে ফাউল করে ফ্রান্সকে পেনাল্টি উপহার দেন টিচুয়ামেনি।
স্পট কিক থেকে গোল করে ইংল্যান্ডকে ১-১ ব্যবধানে সমতায় ফেরান স্পার্স অধিনায়ক হ্যারি কেইন। এই গোলে ইংল্যান্ডের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় ওয়েন রুনির সঙ্গে যুগ্মভাবে শীর্ষে উঠলেন কেইন।
৬১ ও ৬৩ নিনিটে দারুণ দুইবার সেভ করে হুগো লরিস ফ্রান্সকে বিশ্বকাপে টিকিয়ে রাখেন। ৭৮ মিনিটেই কাঙ্ক্ষিত লিড পায় ফ্রান্স। ফ্রান্সের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা জিরুড গোল কিরে দলকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন৷
৮২ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর হার্নান্দেজের হাতে বল লাগলে রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেয়। কিন্তু হ্যারি কেইন এত জোরেই শট নিলেন যে বল চলে গেল গোলবারের উপর দিয়ে। ম্যাচের শেষ দিকে আরো আক্রমণ করলেও গোলের দেখা পায়নি ইংল্যান্ড। ফলে ২-১ ব্যবধানের জয়ে আবারো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলো এমবাপেরা।