ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo জগন্নাথপুরের ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দকে শিবির কর্মী বলে প্রচারণা চালানোয় জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ। Logo শান্তিগঞ্জের জয়সিদ্ধি-বসিউয়াখাউরী গ্রামে বিএনপির কর্মী সভা Logo জগন্নাথপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুর উপজেলার ৬ নং রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর কমিটি গঠন Logo পরিবেশ নষ্ট করে কোন বাঁধ নির্মাণ হবেনা – পরিবেশ উপদেষ্টা Logo হাওরের জন্য সরকারের মাস্টার প্লান আছে- উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান Logo জগন্নাথপুরে কমিউনিটি ক্লিনিক এর মাসিক সভা অনুষ্ঠিত Logo মাটিয়াইন ও টাঙুয়ার হাওর পরিদর্শন….. আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে -স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo নিরাপদ অভিবাসন ও বিদেশ-ফেরতদের পুনরেকত্রীকরণ শীর্ষক ইউনিয়ন কর্মশালা Logo ২০২৫–২৬ সেশনের জন্য ২নং পাটলী ইউনিয়ন জামায়াতের কমিটি ঘোষণা।

বিশ্ববাজারে সর্বনিম্ন দাম জ্বালানি তেলের

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে বড় পতন হয়েছে গত এক সপ্তাহে। । এক সপ্তাহেই অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ১০ শতাংশের ওপরে কমে গেছে। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের পাশাপাশি ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দামেও বড় পতন হয়েছে। এতে এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন দামে চলে এসেছে জ্বালানি তেল।  গত সপ্তাহের শুরুতে বিশ্ববাজারে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ছিল ৭৯ দশমিক ৯৭ ডলার। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস সোমবার এক পর্যায়ে তা বেড়ে ৮২ দশমিক ৩৩ ডলারে ওঠে যায়। এরপর থেকেই কমতে শুরু করে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম।

ধারাবাহিকভাবে দাম কমতে কমতে সপ্তাহ শেষে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৭১ দশমিক শূন্য ২ ডলার। গত বছরের ডিসেম্বরের পর বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের এত কম দাম আর দেখা যায়নি।

অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের এ দরপতন শুরু হয় চলতি বছরের জুন থেকে। জুনের ৮ তারিখের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে কমেছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। গত ৮ জুন প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ছিল ১১৭ টাকা ১৫ পয়সা।

সে হিসাবে ছয় মাসের ব্যবধানে প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেলের দাম কমেছে ৪৬ দশমিক ১৩ ডলার বা ৩৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এর মধ্যে গত এক সপ্তাহেই অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমেছে ১১ দশমিক ২০ শতাংশ। এক মাসের ব্যবধানে কমেছে ১৭ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।

অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের পাশাপাশি বড় দরপতন হয়েছে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম কমেছে ১০ দশমিক ৩৭ শতাংশ। মাসের ব্যবধানে কমেছে ১৬ দশমিক ৭১ শতাংশ। এতে বর্তমানে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম দাঁড়িয়েছে ৭৬ দশমিক ৭০ ডলার। গত বছরের ২৪ ডিসেম্বরের পর ব্রন্ট ক্রুড অয়েলের এত কম দাম আর দেখা যায়নি।

অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মতো ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলও চলতি বছরের ৮ জুনের পর থেকে দরপতনের মধ্যে রয়েছে। ৮ জুন প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ১২০ দশমিক ৮৯ ডলার ছিল। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে কমেছে এ জ্বালানি তেলের দাম। এতে ছয় মাসের ব্যবধানে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম কমেছে ৪৪ দশমিক ১৯ ডলার।

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০২২ সালের শুরু থেকেই জ্বালানি তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ে ১৬ শতাংশের বেশি। ব্রেন্ট ক্রুড অয়েল দাম বাড়ে প্রায় সাড়ে ১৫ শতাংশ।

জানুয়ারির মতো ফেব্রুয়ারিতেও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রবণতা দেখা দেয়। এর মধ্যেই রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে জ্বালানি তেলের দাম একশ ডলার ছাড়িয়ে যাবে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। নিউইয়র্কভিত্তিক ফরেন এক্সচেঞ্জ কোম্পানি ওনাডার বিশ্লেষক অ্যাডওয়ার্ড মোয়া ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি বলেন, ইউক্রেনে আক্রমণ হলে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ১০০ ডলার ছাড়াতে কোনো বাধা থাকবে না।

তার এ অভিমত সত্য প্রমাণিত হয় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করার পর পরই। রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করতেই আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম একশ ডলারে ওঠে। দফায় দফায় দাম বেড়ে ৮ মার্চ প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম রেকর্ড ১২৩ দশমিক ৪৮ ডলারে ওঠে। প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ওঠে ১১৯ দশমিক ৬৫ ডলারে।

এর আগে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ ভয়াবহ রূপ নিলে ২০২০ সালের ২০ এপ্রিল বিশ্ববাজারে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দরপতনের মধ্যে পড়ে জ্বালানি তেল। সেদিন প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ঋণাত্মক ৩৭ ডলারের নিচে নেমে যায়।

রেকর্ড এ দরপতনের পর অবশ্যই তেলের দাম বাড়তে থাকে। এতে রেকর্ড দরপতনের ধকল সামলে ২০২০ সালের বেশিরভাগ সময় প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৪০ ডলারে আশপাশে ঘুরপাক খাচ্ছিল।

কিন্তু বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নতুন করে বৃদ্ধি পাওয়া এবং লিবিয়ার তেল উত্তোলন বৃদ্ধি পাওয়ায় মধ্যে বিশ্ববাজারে তেলের বড় দরপতন হয়। ২০২০ সালের অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে অপরিশোধিত ও ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম প্রায় ১০ শতাংশ কমে যায়।

তবে এ পতনের ধকল কাটিয়ে ওই বছরের নভেম্বর থেকে আবার তেলের দাম বাড়তে শুরু করে। তারপরও প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৫০ ডলারের নিচে থেকেই ২০২০ সাল শেষ হয়।

২০২১ সালের শুরুতে তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যায়। কয়েক দফা দাম বেড়ে করোনার মধ্যে প্রথমবার ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৬০ ডলারে ওঠে। এর মাধ্যমে মহামারি শুরু হওয়ার আগের দামে ফিরে যায় তেল।

তবে গত বছরের জুন থেকে তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতায় নতুন হাওয়া লাগে। ২০১৮ সালের অক্টোবরের পর গত বছরের জুনে করোনার প্রকোপের মধ্যে প্রথমবারের মতো অপরিশোধিত তেলের ব্যারেল ৭৫ ডলারে ওঠে আসে। জ্বালানি তেলের এ দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে পরের কয়েক মাস। এতে গত বছরের অক্টোবরে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৮০ ডলার স্পর্শ করে। যার মাধ্যমে ২০১৪ সালের নভেম্বরের পর আবারও অপরিশোধিত তেলের ব্যারেল ৮০ ডলারের দেখা পায়। অবশ্য প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেল ৭৫ ডলারে থেকে ২০২১ সাল শেষ হয়। চলতি বছরের প্রথম কার্যদিবসে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ছিল ৭৬ ডলারে। সে হিসেবে বছরের শুরুর থেকে বর্তমানে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৫ ডলার কম আছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

জগন্নাথপুরের ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দকে শিবির কর্মী বলে প্রচারণা চালানোয় জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ।

বিশ্ববাজারে সর্বনিম্ন দাম জ্বালানি তেলের

আপডেট সময় ০৬:০৭:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২২

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে বড় পতন হয়েছে গত এক সপ্তাহে। । এক সপ্তাহেই অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ১০ শতাংশের ওপরে কমে গেছে। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের পাশাপাশি ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দামেও বড় পতন হয়েছে। এতে এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন দামে চলে এসেছে জ্বালানি তেল।  গত সপ্তাহের শুরুতে বিশ্ববাজারে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ছিল ৭৯ দশমিক ৯৭ ডলার। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস সোমবার এক পর্যায়ে তা বেড়ে ৮২ দশমিক ৩৩ ডলারে ওঠে যায়। এরপর থেকেই কমতে শুরু করে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম।

ধারাবাহিকভাবে দাম কমতে কমতে সপ্তাহ শেষে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৭১ দশমিক শূন্য ২ ডলার। গত বছরের ডিসেম্বরের পর বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের এত কম দাম আর দেখা যায়নি।

অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের এ দরপতন শুরু হয় চলতি বছরের জুন থেকে। জুনের ৮ তারিখের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে কমেছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। গত ৮ জুন প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ছিল ১১৭ টাকা ১৫ পয়সা।

সে হিসাবে ছয় মাসের ব্যবধানে প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেলের দাম কমেছে ৪৬ দশমিক ১৩ ডলার বা ৩৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এর মধ্যে গত এক সপ্তাহেই অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমেছে ১১ দশমিক ২০ শতাংশ। এক মাসের ব্যবধানে কমেছে ১৭ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।

অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের পাশাপাশি বড় দরপতন হয়েছে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম কমেছে ১০ দশমিক ৩৭ শতাংশ। মাসের ব্যবধানে কমেছে ১৬ দশমিক ৭১ শতাংশ। এতে বর্তমানে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম দাঁড়িয়েছে ৭৬ দশমিক ৭০ ডলার। গত বছরের ২৪ ডিসেম্বরের পর ব্রন্ট ক্রুড অয়েলের এত কম দাম আর দেখা যায়নি।

অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মতো ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলও চলতি বছরের ৮ জুনের পর থেকে দরপতনের মধ্যে রয়েছে। ৮ জুন প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ১২০ দশমিক ৮৯ ডলার ছিল। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে কমেছে এ জ্বালানি তেলের দাম। এতে ছয় মাসের ব্যবধানে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম কমেছে ৪৪ দশমিক ১৯ ডলার।

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০২২ সালের শুরু থেকেই জ্বালানি তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ে ১৬ শতাংশের বেশি। ব্রেন্ট ক্রুড অয়েল দাম বাড়ে প্রায় সাড়ে ১৫ শতাংশ।

জানুয়ারির মতো ফেব্রুয়ারিতেও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রবণতা দেখা দেয়। এর মধ্যেই রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে জ্বালানি তেলের দাম একশ ডলার ছাড়িয়ে যাবে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। নিউইয়র্কভিত্তিক ফরেন এক্সচেঞ্জ কোম্পানি ওনাডার বিশ্লেষক অ্যাডওয়ার্ড মোয়া ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি বলেন, ইউক্রেনে আক্রমণ হলে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ১০০ ডলার ছাড়াতে কোনো বাধা থাকবে না।

তার এ অভিমত সত্য প্রমাণিত হয় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করার পর পরই। রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করতেই আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম একশ ডলারে ওঠে। দফায় দফায় দাম বেড়ে ৮ মার্চ প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম রেকর্ড ১২৩ দশমিক ৪৮ ডলারে ওঠে। প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ওঠে ১১৯ দশমিক ৬৫ ডলারে।

এর আগে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ ভয়াবহ রূপ নিলে ২০২০ সালের ২০ এপ্রিল বিশ্ববাজারে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দরপতনের মধ্যে পড়ে জ্বালানি তেল। সেদিন প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ঋণাত্মক ৩৭ ডলারের নিচে নেমে যায়।

রেকর্ড এ দরপতনের পর অবশ্যই তেলের দাম বাড়তে থাকে। এতে রেকর্ড দরপতনের ধকল সামলে ২০২০ সালের বেশিরভাগ সময় প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৪০ ডলারে আশপাশে ঘুরপাক খাচ্ছিল।

কিন্তু বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নতুন করে বৃদ্ধি পাওয়া এবং লিবিয়ার তেল উত্তোলন বৃদ্ধি পাওয়ায় মধ্যে বিশ্ববাজারে তেলের বড় দরপতন হয়। ২০২০ সালের অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে অপরিশোধিত ও ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম প্রায় ১০ শতাংশ কমে যায়।

তবে এ পতনের ধকল কাটিয়ে ওই বছরের নভেম্বর থেকে আবার তেলের দাম বাড়তে শুরু করে। তারপরও প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৫০ ডলারের নিচে থেকেই ২০২০ সাল শেষ হয়।

২০২১ সালের শুরুতে তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যায়। কয়েক দফা দাম বেড়ে করোনার মধ্যে প্রথমবার ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৬০ ডলারে ওঠে। এর মাধ্যমে মহামারি শুরু হওয়ার আগের দামে ফিরে যায় তেল।

তবে গত বছরের জুন থেকে তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতায় নতুন হাওয়া লাগে। ২০১৮ সালের অক্টোবরের পর গত বছরের জুনে করোনার প্রকোপের মধ্যে প্রথমবারের মতো অপরিশোধিত তেলের ব্যারেল ৭৫ ডলারে ওঠে আসে। জ্বালানি তেলের এ দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে পরের কয়েক মাস। এতে গত বছরের অক্টোবরে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৮০ ডলার স্পর্শ করে। যার মাধ্যমে ২০১৪ সালের নভেম্বরের পর আবারও অপরিশোধিত তেলের ব্যারেল ৮০ ডলারের দেখা পায়। অবশ্য প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেল ৭৫ ডলারে থেকে ২০২১ সাল শেষ হয়। চলতি বছরের প্রথম কার্যদিবসে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ছিল ৭৬ ডলারে। সে হিসেবে বছরের শুরুর থেকে বর্তমানে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৫ ডলার কম আছে।