দেশের গণতন্ত্র না থাকলে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা থাকে না জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সাংবাদিকদের পরিপূর্ণ স্বাধীনতা যদি চর্চা করা যায় তাহলে সে দেশে গণতন্ত্র থাকে।
রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে যৌথভাবে এই সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশে গণতন্ত্র না থাকলে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা থাকে না। সাংবাদিকদের স্বাধীনতা যদি পরিপূর্ণ চর্চা করা যায়, তাহলে দেশে গণতন্ত্র থাকে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য বলেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা এই বাংলাদেশ অর্জন করেছি। গুটি কয়েক মানুষ ছাড়া সারা দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সমর্থন করে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সেই বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রকে স্বাধীনতার পরেই আজকে যারা ক্ষমতায় তারা একে একে ধ্বংস করে দিয়েছে। গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছে।
বিএনপির ওই নেতা বলেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, মিডিয়ার স্বাধীনতা, সাংবাদিকতার স্বাধীনতা আর গণতন্ত্র মুদ্রার এপিট-ওপিট। সাংবাদিকদের স্বাধীনতা থাকলে হবে না, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা থাকতে হবে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা থাকতে হলে, সংবাদপত্রের মালিক ও পরিচালকদের স্বাধীনতা থাকতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। একই সঙ্গে তিনি সংবাদপত্রের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা দিয়েছেন।
রিয়াজউদ্দিন আহমেদ সারা জীবন সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করে গেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার মাধ্যমে কীভাবে ফ্যাসিবাদকে হটিয়ে গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা যায় সেই সংগ্রাম তিনি করে গেছেন।
দেশে গণতন্ত্র নেই অভিযোগ করে তিনি বলেন, জনগণের প্রতি সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। আর এই দায়বদ্ধতা না থাকার কারণে গত ১৪ বছর দেশে যে অর্থনীতি পরিচালিত হয়েছে, সেটা লুটেরা অর্থনীতি, লুটপাটের অর্থনীতি। ঠিকাদারি, টেন্ডারবাজি, ব্যাংক লুট এবং মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতি করে সেই টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। সেই কারণে আজকে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসপ্রাপ্ত।
তিনি আরও বলেন, দেশের রাজনীতি, সমাজ, অর্থনীতি, বিচার ব্যবস্থা সবকিছু আজকে ধ্বংস হয়ে গেছে। এই অবস্থা থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। এর জন্য যারা গত ১৪ বছর গায়ের জোরে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় আছে, তাদেরকে বিদায় করতে হবে। তাই জনগণের বার্তাতে একত্রিত করে, তাদের চেতনাকে ধারণ করে আমরা (বিএনপি) ১০ দফা দাবি উত্থাপন করেছি।
বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, শওকত মাহমুদ, কামাল উদ্দিন সবুজ, নুরুল আমিন রোকন, এম এ আজিজ, কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ।