স্বামী সন্তান নিয়ে সুখেই কাটছিল ববিতার সংসার। কিন্তু হঠাৎ করে ববিতার জীবনের সব উড়ে যায় স্বামীর মৃত্যুতে। স্বামীর মৃত্যুর পর ববিতা (৪০) নামে এক নারীকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন শাশুড়ি। কোনো উপায় না পেয়ে একটি বটগাছের নিচে পলিথিন টাঙ্গিয়ে তিন সন্তানকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি। ববিতা চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে রানিহাটি এলাকার মৃত নিরঞ্জনের স্ত্রী।
রোববার (৮ জানুয়ারি) রাতে বিষয়টি জানতে পেরে খাদ্য সামগ্রী ও কম্বল নিয়ে ছুটে গিয়েছিলেন শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হায়াত।
ববিতা বলেন, দুই বছর আগে আমার স্বামী নিরঞ্জর মারা গেছেন। কিছুদিন শ্বশুর শাশুড়ির কাছে ভালোই ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ সাতমাস আগে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন তারা। কোথাও মাথা গুজার জায়গা না পেয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে থাকি। কিন্তু রাতে তো ঘুমাতে হবে। তাই দুর্লভপুর স্কুল বাজারের একটি বট গাছের নিচে পলিথিন টাঙ্গিয়ে তিন সন্তান নিয়ে বসবাস করছি। রাতে ঘুম আসে না এই কনকনে ঠান্ডায়। খুব কষ্টে ছিলাম। কিন্তু রোববার রাতে ইউএনও স্যার এসে আমাকে কম্বল দিয়ে গেছেন। আর আশ্বাস দিয়েছেন একটি সরকারি বাড়ি দেওয়ার।
শিবগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হায়াত বলেন, রাতে উপজেলার সেচ্ছাসেবী সংগঠন গৌড় শিবগঞ্জ ম্যাংগো সিটির ফেসবুক গ্রুপে ওই নারীর কষ্ট দেখে নিজেকে আটকে রাখতে পারিনি। তাই তার কাছে ছুটে গিয়েছিলাম। তাকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মিষ্টি, কম্বল, আর কিছু শুকনা খাবার দিয়ে এসেছি। তাকে একটি সরকারি ঘর উপহার দেওয়া হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম, সেচ্ছাসেবী সংগঠন গৌড় শিবগঞ্জ ম্যাংগো সিটির গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা আলমঙ্গীর জয় প্রমুখ।