ঢাকা , বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo শাল্লায় একাডেমিক ভবন প্রধান শিক্ষক ও তার ভাইয়ের দখলে Logo দিরাই বালিকা বিদ্যালয়ের মিলাদ মাহফিল Logo দিরাইয়ে অহিংস দিবস পালিত Logo আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উপলক্ষে শান্তিগঞ্জে পিএফজি’র মানববন্ধন  Logo শান্তিগঞ্জে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন Logo শান্তিগঞ্জে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়  Logo সুনামগঞ্জের জিল্লুর রহমান সহ ছয় অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি Logo দিরাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে কোন অনিয়ম দালালির সাথে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে Logo ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব! Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের উদ্যোগে সিরাত মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

মোদী সরকারের নীতির ফলে কি আদানি, আম্বানি, টাটাদের মতো বৃহৎ সংস্থাগুলির লাভ হচ্ছে?

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ডেপুটি গভর্নর ভিরাল আচারিয়া যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্রুকিংস ইন্সটিটিউশনের এক নতুন গবেষণা পত্রে দেশের শিল্পনীতি নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন।তিনি বলেছেন, “ভারতীয় অর্থনীতিতে বৃহৎ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির প্রাধান্য। দেশের বাণিজ্যে বৃহৎ গোষ্ঠীগুলির বড় অংশীদারিত্ব আছে। কিন্তু এটা অর্থনীতির জন্য ঠিক নয়।যদি আমরা চাই যে ভারতে ব্যবসা বাণিজ্যে প্রতিযোগিতা বাড়ুক আর বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীগুলি তাদের উৎপাদিত পণ্য বা পরিষেবা বেশি দামে না বিক্রি করে, তাহলে ওই বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠীগুলির আকার ছোট করতে হবে,” গবেষণা পত্রে লিখেছেন মি. আচারিয়া।ভারতে বাজেট ঘোষণার আগে যে কারণে কর্মকর্তাদের হালুয়া খাইয়ে ‘আটকে’ রাখা হয়
১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
এক স্বৈরশাসকের মেয়ের ২৪০ মিলিয়ন ডলারের সম্পদ গড়ে তোলার কাহিনী
১৩ মার্চ ২০২৩
ভারতীয় ধনকুবের আদানি কীভাবে একদিনে ২৫০০ কোটি ডলার হারালেন
২৮ জানুয়ারি ২০২৩
‘রিলায়েন্স, আদানি, টাটা, আদিত্য বিড়লা এবং ভারতী এয়ারটেল – এই পাঁচ বৃহৎ গোষ্ঠীই নরেন্দ্র মোদীর আর্থিক আর শিল্পনীতি থেকে সবথেকে বেশি লাভবান হয়েছে’
‘রিলায়েন্স, আদানি, টাটা, আদিত্য বিড়লা এবং ভারতী এয়ারটেল – এই পাঁচ বৃহৎ গোষ্ঠীই নরেন্দ্র মোদীর আর্থিক আর শিল্পনীতি থেকে সবথেকে বেশি লাভবান হয়েছে’বর্তমানে নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টার্ন স্কুল অব বিজনেসের অর্থনীতির অধ্যাপক আচারিয়ার মতে, ১৯৯১ সালে অর্থনীতির উদারীকরণের পর থেকেই ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল কনসেন্ট্রেশন’ কমে আসছিল।‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল কনসেন্ট্রেশন’ এমন একটা অবস্থা, যেখানে দেশের মোট উৎপাদনের ওপরে কয়েকটি মাত্র সংস্থা আধিপত্য বিস্তার করে ফেলে।তবে ২০১৫ সালের পর থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল কনসেন্ট্রেশন আবারও বাড়তে শুরু করেছে।রিলায়েন্স, আদানি, টাটা, আদিত্য বিড়লা এবং ভারতী এয়ারটেল – যদি এই পাঁচটি বৃহৎ শিল্প গোষ্ঠীর ২০২১ সালের অবস্থার দিকে তাকানো যায়, তাহলে দেখা যাবে যে আর্থিক ক্ষেত্রের বাইরে তাদের সম্পত্তির অংশীদারিত্ব প্রায় ১৮ শতাংশে পৌঁছে গেছে। ১৯৯১ সালে এর পরিমাণ ছিল দশ শতাংশ।ভিরাল আচারিয়া বলছেন, “এই সংস্থাগুলো যে শুধু ছোট ছোট সংস্থাকে শেষ করে দিয়ে নিজেরা বড় হয়েছে, তা নয়। এই পাঁচটি সবথেকে বড় সংস্থা নিজেদেরও ক্ষতি করেই বড় হয়েছে। বাজারে এই সংস্থা পাঁচটির অংশীদারিত্ব ১৮ শতাংশ থেকে কমে নয় শতাংশ হয় গেছে।”অধ্যাপক আচারিয়ার মতে এর পেছনে একাধিক কারণ আছে। বড় সংস্থাগুলো যেমন সমস্যায় পড়া ছোট সংস্থা কিনে নেওয়া বা অধিগ্রহণ করার ক্রমবর্ধমান আকাঙ্ক্ষা যেমন একটা কারণ, তেমনই আবার সরকারের পক্ষ থেকে এমনভাবেই শিল্পনীতি তৈরি করা হয়, যাতে বড় সংস্থাগুলোকেই সরকারী প্রকল্পগুলো ভাগ করে দেওয়া যায়।আবার ওইসব বড় সংস্থাগুলো তাদের উৎপাদিত পণ্য বা পরিষেবার মূল্য অকল্পনীয় ভাবে কম রাখে, আর সরকারী নিয়ন্ত্রক এজেন্সিগুলো সাধারণত এসব না দেখার ভান করে।তিনি বলেছেন, “ভারতীয় অর্থনীতিতে বৃহৎ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির প্রাধান্য। দেশের বাণিজ্যে বৃহৎ গোষ্ঠীগুলির বড় অংশীদারিত্ব আছে। কিন্তু এটা অর্থনীতির জন্য ঠিক নয়।যদি আমরা চাই যে ভারতে ব্যবসা বাণিজ্যে প্রতিযোগিতা বাড়ুক আর বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীগুলি তাদের উৎপাদিত পণ্য বা পরিষেবা বেশি দামে না বিক্রি করে, তাহলে ওই বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠীগুলির আকার ছোট করতে হবে,” গবেষণা পত্রে লিখেছেন মি. আচারিয়া।বর্তমানে নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টার্ন স্কুল অব বিজনেসের অর্থনীতির অধ্যাপক আচারিয়ার মতে, ১৯৯১ সালে অর্থনীতির উদারীকরণের পর থেকেই ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল কনসেন্ট্রেশন’ কমে আসছিল।‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল কনসেন্ট্রেশন’ এমন একটা অবস্থা, যেখানে দেশের মোট উৎপাদনের ওপরে কয়েকটি মাত্র সংস্থা আধিপত্য বিস্তার করে ফেলে।তবে ২০১৫ সালের পর থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল কনসেন্ট্রেশন আবারও বাড়তে শুরু করেছে।রিলায়েন্স, আদানি, টাটা, আদিত্য বিড়লা এবং ভারতী এয়ারটেল – যদি এই পাঁচটি বৃহৎ শিল্প গোষ্ঠীর ২০২১ সালের অবস্থার দিকে তাকানো যায়, তাহলে দেখা যাবে যে আর্থিক ক্ষেত্রের বাইরে তাদের সম্পত্তির অংশীদারিত্ব প্রায় ১৮ শতাংশে পৌঁছে গেছে। ১৯৯১ সালে এর পরিমাণ ছিল দশ শতাংশ।ভিরাল আচারিয়া বলছেন, “এই সংস্থাগুলো যে শুধু ছোট ছোট সংস্থাকে শেষ করে দিয়ে নিজেরা বড় হয়েছে, তা নয়। এই পাঁচটি সবথেকে বড় সংস্থা নিজেদেরও ক্ষতি করেই বড় হয়েছে। বাজারে এই সংস্থা পাঁচটির অংশীদারিত্ব ১৮ শতাংশ থেকে কমে নয় শতাংশ হয় গেছে।”অধ্যাপক আচারিয়ার মতে এর পেছনে একাধিক কারণ আছে। বড় সংস্থাগুলো যেমন সমস্যায় পড়া ছোট সংস্থা কিনে নেওয়া বা অধিগ্রহণ করার ক্রমবর্ধমান আকাঙ্ক্ষা যেমন একটা কারণ, তেমনই আবার সরকারের পক্ষ থেকে এমনভাবেই শিল্পনীতি তৈরি করা হয়, যাতে বড় সংস্থাগুলোকেই সরকারী প্রকল্পগুলো ভাগ করে দেওয়া যায়।আবার ওইসব বড় সংস্থাগুলো তাদের উৎপাদিত পণ্য বা পরিষেবার মূল্য অকল্পনীয় ভাবে কম রাখে, আর সরকারী নিয়ন্ত্রক এজেন্সিগুলো সাধারণত এসব না দেখার ভান করে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন

শাল্লায় একাডেমিক ভবন প্রধান শিক্ষক ও তার ভাইয়ের দখলে

মোদী সরকারের নীতির ফলে কি আদানি, আম্বানি, টাটাদের মতো বৃহৎ সংস্থাগুলির লাভ হচ্ছে?

আপডেট সময় ০৯:৩৯:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ডেপুটি গভর্নর ভিরাল আচারিয়া যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্রুকিংস ইন্সটিটিউশনের এক নতুন গবেষণা পত্রে দেশের শিল্পনীতি নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন।তিনি বলেছেন, “ভারতীয় অর্থনীতিতে বৃহৎ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির প্রাধান্য। দেশের বাণিজ্যে বৃহৎ গোষ্ঠীগুলির বড় অংশীদারিত্ব আছে। কিন্তু এটা অর্থনীতির জন্য ঠিক নয়।যদি আমরা চাই যে ভারতে ব্যবসা বাণিজ্যে প্রতিযোগিতা বাড়ুক আর বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীগুলি তাদের উৎপাদিত পণ্য বা পরিষেবা বেশি দামে না বিক্রি করে, তাহলে ওই বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠীগুলির আকার ছোট করতে হবে,” গবেষণা পত্রে লিখেছেন মি. আচারিয়া।ভারতে বাজেট ঘোষণার আগে যে কারণে কর্মকর্তাদের হালুয়া খাইয়ে ‘আটকে’ রাখা হয়
১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
এক স্বৈরশাসকের মেয়ের ২৪০ মিলিয়ন ডলারের সম্পদ গড়ে তোলার কাহিনী
১৩ মার্চ ২০২৩
ভারতীয় ধনকুবের আদানি কীভাবে একদিনে ২৫০০ কোটি ডলার হারালেন
২৮ জানুয়ারি ২০২৩
‘রিলায়েন্স, আদানি, টাটা, আদিত্য বিড়লা এবং ভারতী এয়ারটেল – এই পাঁচ বৃহৎ গোষ্ঠীই নরেন্দ্র মোদীর আর্থিক আর শিল্পনীতি থেকে সবথেকে বেশি লাভবান হয়েছে’
‘রিলায়েন্স, আদানি, টাটা, আদিত্য বিড়লা এবং ভারতী এয়ারটেল – এই পাঁচ বৃহৎ গোষ্ঠীই নরেন্দ্র মোদীর আর্থিক আর শিল্পনীতি থেকে সবথেকে বেশি লাভবান হয়েছে’বর্তমানে নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টার্ন স্কুল অব বিজনেসের অর্থনীতির অধ্যাপক আচারিয়ার মতে, ১৯৯১ সালে অর্থনীতির উদারীকরণের পর থেকেই ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল কনসেন্ট্রেশন’ কমে আসছিল।‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল কনসেন্ট্রেশন’ এমন একটা অবস্থা, যেখানে দেশের মোট উৎপাদনের ওপরে কয়েকটি মাত্র সংস্থা আধিপত্য বিস্তার করে ফেলে।তবে ২০১৫ সালের পর থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল কনসেন্ট্রেশন আবারও বাড়তে শুরু করেছে।রিলায়েন্স, আদানি, টাটা, আদিত্য বিড়লা এবং ভারতী এয়ারটেল – যদি এই পাঁচটি বৃহৎ শিল্প গোষ্ঠীর ২০২১ সালের অবস্থার দিকে তাকানো যায়, তাহলে দেখা যাবে যে আর্থিক ক্ষেত্রের বাইরে তাদের সম্পত্তির অংশীদারিত্ব প্রায় ১৮ শতাংশে পৌঁছে গেছে। ১৯৯১ সালে এর পরিমাণ ছিল দশ শতাংশ।ভিরাল আচারিয়া বলছেন, “এই সংস্থাগুলো যে শুধু ছোট ছোট সংস্থাকে শেষ করে দিয়ে নিজেরা বড় হয়েছে, তা নয়। এই পাঁচটি সবথেকে বড় সংস্থা নিজেদেরও ক্ষতি করেই বড় হয়েছে। বাজারে এই সংস্থা পাঁচটির অংশীদারিত্ব ১৮ শতাংশ থেকে কমে নয় শতাংশ হয় গেছে।”অধ্যাপক আচারিয়ার মতে এর পেছনে একাধিক কারণ আছে। বড় সংস্থাগুলো যেমন সমস্যায় পড়া ছোট সংস্থা কিনে নেওয়া বা অধিগ্রহণ করার ক্রমবর্ধমান আকাঙ্ক্ষা যেমন একটা কারণ, তেমনই আবার সরকারের পক্ষ থেকে এমনভাবেই শিল্পনীতি তৈরি করা হয়, যাতে বড় সংস্থাগুলোকেই সরকারী প্রকল্পগুলো ভাগ করে দেওয়া যায়।আবার ওইসব বড় সংস্থাগুলো তাদের উৎপাদিত পণ্য বা পরিষেবার মূল্য অকল্পনীয় ভাবে কম রাখে, আর সরকারী নিয়ন্ত্রক এজেন্সিগুলো সাধারণত এসব না দেখার ভান করে।তিনি বলেছেন, “ভারতীয় অর্থনীতিতে বৃহৎ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির প্রাধান্য। দেশের বাণিজ্যে বৃহৎ গোষ্ঠীগুলির বড় অংশীদারিত্ব আছে। কিন্তু এটা অর্থনীতির জন্য ঠিক নয়।যদি আমরা চাই যে ভারতে ব্যবসা বাণিজ্যে প্রতিযোগিতা বাড়ুক আর বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীগুলি তাদের উৎপাদিত পণ্য বা পরিষেবা বেশি দামে না বিক্রি করে, তাহলে ওই বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠীগুলির আকার ছোট করতে হবে,” গবেষণা পত্রে লিখেছেন মি. আচারিয়া।বর্তমানে নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টার্ন স্কুল অব বিজনেসের অর্থনীতির অধ্যাপক আচারিয়ার মতে, ১৯৯১ সালে অর্থনীতির উদারীকরণের পর থেকেই ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল কনসেন্ট্রেশন’ কমে আসছিল।‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল কনসেন্ট্রেশন’ এমন একটা অবস্থা, যেখানে দেশের মোট উৎপাদনের ওপরে কয়েকটি মাত্র সংস্থা আধিপত্য বিস্তার করে ফেলে।তবে ২০১৫ সালের পর থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল কনসেন্ট্রেশন আবারও বাড়তে শুরু করেছে।রিলায়েন্স, আদানি, টাটা, আদিত্য বিড়লা এবং ভারতী এয়ারটেল – যদি এই পাঁচটি বৃহৎ শিল্প গোষ্ঠীর ২০২১ সালের অবস্থার দিকে তাকানো যায়, তাহলে দেখা যাবে যে আর্থিক ক্ষেত্রের বাইরে তাদের সম্পত্তির অংশীদারিত্ব প্রায় ১৮ শতাংশে পৌঁছে গেছে। ১৯৯১ সালে এর পরিমাণ ছিল দশ শতাংশ।ভিরাল আচারিয়া বলছেন, “এই সংস্থাগুলো যে শুধু ছোট ছোট সংস্থাকে শেষ করে দিয়ে নিজেরা বড় হয়েছে, তা নয়। এই পাঁচটি সবথেকে বড় সংস্থা নিজেদেরও ক্ষতি করেই বড় হয়েছে। বাজারে এই সংস্থা পাঁচটির অংশীদারিত্ব ১৮ শতাংশ থেকে কমে নয় শতাংশ হয় গেছে।”অধ্যাপক আচারিয়ার মতে এর পেছনে একাধিক কারণ আছে। বড় সংস্থাগুলো যেমন সমস্যায় পড়া ছোট সংস্থা কিনে নেওয়া বা অধিগ্রহণ করার ক্রমবর্ধমান আকাঙ্ক্ষা যেমন একটা কারণ, তেমনই আবার সরকারের পক্ষ থেকে এমনভাবেই শিল্পনীতি তৈরি করা হয়, যাতে বড় সংস্থাগুলোকেই সরকারী প্রকল্পগুলো ভাগ করে দেওয়া যায়।আবার ওইসব বড় সংস্থাগুলো তাদের উৎপাদিত পণ্য বা পরিষেবার মূল্য অকল্পনীয় ভাবে কম রাখে, আর সরকারী নিয়ন্ত্রক এজেন্সিগুলো সাধারণত এসব না দেখার ভান করে।