ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ডেপুটি গভর্নর ভিরাল আচারিয়া যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্রুকিংস ইন্সটিটিউশনের এক নতুন গবেষণা পত্রে দেশের শিল্পনীতি নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন।তিনি বলেছেন, “ভারতীয় অর্থনীতিতে বৃহৎ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির প্রাধান্য। দেশের বাণিজ্যে বৃহৎ গোষ্ঠীগুলির বড় অংশীদারিত্ব আছে। কিন্তু এটা অর্থনীতির জন্য ঠিক নয়।যদি আমরা চাই যে ভারতে ব্যবসা বাণিজ্যে প্রতিযোগিতা বাড়ুক আর বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীগুলি তাদের উৎপাদিত পণ্য বা পরিষেবা বেশি দামে না বিক্রি করে, তাহলে ওই বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠীগুলির আকার ছোট করতে হবে,” গবেষণা পত্রে লিখেছেন মি. আচারিয়া।ভারতে বাজেট ঘোষণার আগে যে কারণে কর্মকর্তাদের হালুয়া খাইয়ে ‘আটকে’ রাখা হয়
১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
এক স্বৈরশাসকের মেয়ের ২৪০ মিলিয়ন ডলারের সম্পদ গড়ে তোলার কাহিনী
১৩ মার্চ ২০২৩
ভারতীয় ধনকুবের আদানি কীভাবে একদিনে ২৫০০ কোটি ডলার হারালেন
২৮ জানুয়ারি ২০২৩
‘রিলায়েন্স, আদানি, টাটা, আদিত্য বিড়লা এবং ভারতী এয়ারটেল – এই পাঁচ বৃহৎ গোষ্ঠীই নরেন্দ্র মোদীর আর্থিক আর শিল্পনীতি থেকে সবথেকে বেশি লাভবান হয়েছে’
‘রিলায়েন্স, আদানি, টাটা, আদিত্য বিড়লা এবং ভারতী এয়ারটেল – এই পাঁচ বৃহৎ গোষ্ঠীই নরেন্দ্র মোদীর আর্থিক আর শিল্পনীতি থেকে সবথেকে বেশি লাভবান হয়েছে’বর্তমানে নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টার্ন স্কুল অব বিজনেসের অর্থনীতির অধ্যাপক আচারিয়ার মতে, ১৯৯১ সালে অর্থনীতির উদারীকরণের পর থেকেই ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল কনসেন্ট্রেশন’ কমে আসছিল।‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল কনসেন্ট্রেশন’ এমন একটা অবস্থা, যেখানে দেশের মোট উৎপাদনের ওপরে কয়েকটি মাত্র সংস্থা আধিপত্য বিস্তার করে ফেলে।তবে ২০১৫ সালের পর থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল কনসেন্ট্রেশন আবারও বাড়তে শুরু করেছে।রিলায়েন্স, আদানি, টাটা, আদিত্য বিড়লা এবং ভারতী এয়ারটেল – যদি এই পাঁচটি বৃহৎ শিল্প গোষ্ঠীর ২০২১ সালের অবস্থার দিকে তাকানো যায়, তাহলে দেখা যাবে যে আর্থিক ক্ষেত্রের বাইরে তাদের সম্পত্তির অংশীদারিত্ব প্রায় ১৮ শতাংশে পৌঁছে গেছে। ১৯৯১ সালে এর পরিমাণ ছিল দশ শতাংশ।ভিরাল আচারিয়া বলছেন, “এই সংস্থাগুলো যে শুধু ছোট ছোট সংস্থাকে শেষ করে দিয়ে নিজেরা বড় হয়েছে, তা নয়। এই পাঁচটি সবথেকে বড় সংস্থা নিজেদেরও ক্ষতি করেই বড় হয়েছে। বাজারে এই সংস্থা পাঁচটির অংশীদারিত্ব ১৮ শতাংশ থেকে কমে নয় শতাংশ হয় গেছে।”অধ্যাপক আচারিয়ার মতে এর পেছনে একাধিক কারণ আছে। বড় সংস্থাগুলো যেমন সমস্যায় পড়া ছোট সংস্থা কিনে নেওয়া বা অধিগ্রহণ করার ক্রমবর্ধমান আকাঙ্ক্ষা যেমন একটা কারণ, তেমনই আবার সরকারের পক্ষ থেকে এমনভাবেই শিল্পনীতি তৈরি করা হয়, যাতে বড় সংস্থাগুলোকেই সরকারী প্রকল্পগুলো ভাগ করে দেওয়া যায়।আবার ওইসব বড় সংস্থাগুলো তাদের উৎপাদিত পণ্য বা পরিষেবার মূল্য অকল্পনীয় ভাবে কম রাখে, আর সরকারী নিয়ন্ত্রক এজেন্সিগুলো সাধারণত এসব না দেখার ভান করে।তিনি বলেছেন, “ভারতীয় অর্থনীতিতে বৃহৎ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির প্রাধান্য। দেশের বাণিজ্যে বৃহৎ গোষ্ঠীগুলির বড় অংশীদারিত্ব আছে। কিন্তু এটা অর্থনীতির জন্য ঠিক নয়।যদি আমরা চাই যে ভারতে ব্যবসা বাণিজ্যে প্রতিযোগিতা বাড়ুক আর বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীগুলি তাদের উৎপাদিত পণ্য বা পরিষেবা বেশি দামে না বিক্রি করে, তাহলে ওই বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠীগুলির আকার ছোট করতে হবে,” গবেষণা পত্রে লিখেছেন মি. আচারিয়া।বর্তমানে নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টার্ন স্কুল অব বিজনেসের অর্থনীতির অধ্যাপক আচারিয়ার মতে, ১৯৯১ সালে অর্থনীতির উদারীকরণের পর থেকেই ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল কনসেন্ট্রেশন’ কমে আসছিল।‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল কনসেন্ট্রেশন’ এমন একটা অবস্থা, যেখানে দেশের মোট উৎপাদনের ওপরে কয়েকটি মাত্র সংস্থা আধিপত্য বিস্তার করে ফেলে।তবে ২০১৫ সালের পর থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল কনসেন্ট্রেশন আবারও বাড়তে শুরু করেছে।রিলায়েন্স, আদানি, টাটা, আদিত্য বিড়লা এবং ভারতী এয়ারটেল – যদি এই পাঁচটি বৃহৎ শিল্প গোষ্ঠীর ২০২১ সালের অবস্থার দিকে তাকানো যায়, তাহলে দেখা যাবে যে আর্থিক ক্ষেত্রের বাইরে তাদের সম্পত্তির অংশীদারিত্ব প্রায় ১৮ শতাংশে পৌঁছে গেছে। ১৯৯১ সালে এর পরিমাণ ছিল দশ শতাংশ।ভিরাল আচারিয়া বলছেন, “এই সংস্থাগুলো যে শুধু ছোট ছোট সংস্থাকে শেষ করে দিয়ে নিজেরা বড় হয়েছে, তা নয়। এই পাঁচটি সবথেকে বড় সংস্থা নিজেদেরও ক্ষতি করেই বড় হয়েছে। বাজারে এই সংস্থা পাঁচটির অংশীদারিত্ব ১৮ শতাংশ থেকে কমে নয় শতাংশ হয় গেছে।”অধ্যাপক আচারিয়ার মতে এর পেছনে একাধিক কারণ আছে। বড় সংস্থাগুলো যেমন সমস্যায় পড়া ছোট সংস্থা কিনে নেওয়া বা অধিগ্রহণ করার ক্রমবর্ধমান আকাঙ্ক্ষা যেমন একটা কারণ, তেমনই আবার সরকারের পক্ষ থেকে এমনভাবেই শিল্পনীতি তৈরি করা হয়, যাতে বড় সংস্থাগুলোকেই সরকারী প্রকল্পগুলো ভাগ করে দেওয়া যায়।আবার ওইসব বড় সংস্থাগুলো তাদের উৎপাদিত পণ্য বা পরিষেবার মূল্য অকল্পনীয় ভাবে কম রাখে, আর সরকারী নিয়ন্ত্রক এজেন্সিগুলো সাধারণত এসব না দেখার ভান করে।
ঢাকা
,
শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
জগন্নাথপুরে জুলাই বিপ্লব ২৪ ডটকম এর আত্ম প্রকাশ
শান্তিগঞ্জে ‘আব্দুন নূর চেয়ারম্যান স্মৃতি প্রাথমিক মেধা বৃত্তির পরীক্ষা কাল শনিবার (৩০ নভেম্বর)
শান্তিগঞ্জে হাওরের ১০০ বছর ও আমাদের করণীয় শীর্ষক কর্মশালা
মধ্যনগরে আওয়ামী লীগ নেতার দখল থেকে সরকারী ভুমি পুনরুদ্ধার
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের রফিনগর গ্রামের সাজ্জাতুলের বাড়িঘরে হামলা,ভাংচুর লুটপাঠসহ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ভাংচুরের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত -নিহতদের স্মরণে দোয়ারাবাজারে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত
অন্তবর্তীকালীন সরকার পতনের ষড়যন্ত্র গোপন বৈঠকে থাকা ছাত্রলীগের ৩৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি
শান্তিগঞ্জে বিনামূল্যে গরু বিতরণের লক্ষ্যে অবহিতকরণ সভা ও প্রশিক্ষণ
দোয়ারাবাজারে সরকারি গাছ কর্তন।। জব্দ করলো প্রশাসন
শান্তিগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা
মোদী সরকারের নীতির ফলে কি আদানি, আম্বানি, টাটাদের মতো বৃহৎ সংস্থাগুলির লাভ হচ্ছে?
- জনস্বার্থে নিউজ ২৪ ডেস্ক :
- আপডেট সময় ০৯:৩৯:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩
- ৬০৭ বার পড়া হয়েছে
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ