ঢাকা , মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo শান্তিগঞ্জে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন Logo শান্তিগঞ্জে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়  Logo সুনামগঞ্জের জিল্লুর রহমান সহ ছয় অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি Logo দিরাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে কোন অনিয়ম দালালির সাথে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে Logo ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব! Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের উদ্যোগে সিরাত মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান Logo অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি নয়, বিধবা কার্ড বাতিলের অভিযোগ Logo বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় সীমান্তিকের উদ্যাগে বিশ্ব গর্ভনিরোধ দিবস উদযাপন Logo সিলেটে পাথরবাহী ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ঔষধ কোম্পানীর এরিয়া ম্যানেজার নিহত Logo পাথারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃআলী নেওয়াজের ইন্তেকাল

গরম থেকে বাঁচার অভিনব পদ্ধতি ফল ব্যবসায়ীর

প্রচণ্ড গরমে চারদিকে হাঁসফাঁস অবস্থা। তার ওপর ভোগান্তি বাড়াচ্ছে লোডশেডিং। একটু স্বস্তি পেতে চেষ্টার কমতি নেই মানুষের। তারপরও গরম থেকে মিলছে না মুক্তি।

এ অবস্থায় ভিন্ন চিত্র দেখা গেল ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই মোড়ের আকুল হোসেনের ফলের দোকানে। দাবদাহ থেকে নিজেকে একটু স্বস্তি দিতে তার ফলের দোকানের চালে চাষ করেছেন ঘাস। দোকানের চালার ওপর পলিথিনে মাটির আস্তরণ দিয়ে লাগিয়েছেন ঘাস। যা তার দোকানকে দিচ্ছে ঠান্ডার ছোঁয়া। ফলে অন্য দোকানের তুলনায় এ ফলের দোকানে নেই গরমের তীব্রতা।

আকুল হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি ঝিনাইদহ শহরের কোরাপাড়া এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। তিন শতক জমির ওপর সেমিপাকা একটি ঘরে মা, স্ত্রী আর দুই সন্তান নিয়ে বাস করেন। পুঁজি বলতে তার বাড়ি আর এ ফলের দোকানটি।

মাত্র ১০ বছর বয়সে যাত্রীবাহী বাসে কলা বিক্রি শুরু করেন আকুল হোসেন। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি গাড়িতে হকারি করেছেন। এরপর নিজে একটি ভ্যান কিনে সেই ভ্যানে কলা বিক্রি করতেন। ১৫ বছর এভাবে ভ্যানে করে পাকা কলা বিক্রি করেছেন। ২০১২ সাল থেকে ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই মোড়ে রাস্তার পাশে পলিথিন দিয়ে ঝুপড়ি তুলে দোকান বসিয়ে সেখানে ফল বিক্রি করে আসছেন আকুল হোসেন।

একদিন তিনি ইউটিউবে দেখতে পান ঘরের ছাদে গাছ লাগিয়ে ঘর ঠান্ডা রাখার কৌশল। তা দেখে তার ইচ্ছা জাগে, তিনি তার ছোট্ট দোকানঘর ঠান্ডা করার ব্যবস্থা করবেন। চার বছর আগে দোকানের ওপরে থাকা পলিথিনে মাটি দেন। সেই মাটিতে ‘লক্ষমী ঘাস’ বলে পরিচিত একধরনের ঘাস লাগিয়ে দেন। সেই ঘাসে সকালে ও সন্ধ্যায় পানি দেন। এখন সেই ঘাসগুলো আকুল হোসেনের দোকানের ওপর যেন এক টুকরা সবুজ। দোকানেও বেশ ঠান্ডা পরিবেশ।

আকুল হোসেন জানান, নিয়মিত সকাল-সন্ধ্যা পানি ছিটানোর পাশাপাশি তিনি ঘাসের পরিচর্যা করেন। এতে তার দোকানের ফল যেমন ভালো থাকে তেমনি স্বস্তিতে বেচাবিক্রিও করতে পারেন তিনি।

আকুল হোসেনের দোকানে বর্তমানে ৮০-৯০ হাজার টাকার ফল আছে। প্রতিদিন ২৫-৩০ হাজার টাকার ফল বিক্রি হচ্ছে, যা থেকে দিনে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা আয় হচ্ছে। আকুলের বন্ধু গুলজার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আসলে আমরা অল্পের মধ্যে অনেক কিছু করতে পারি। তারই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে আমার বন্ধু। এ গরমেও ভালোভাবে ব্যবসা করার নজির দেখিয়েছে সে।’

সেলিম নামের এক ক্রেতা বলেন, অনেকদিন ধরেই দেখছি দোকানটির চালের ওপর ঘাস লাগানো। ঘাসগুলো চালের ওপর ছড়িয়ে পড়েছে। ফলের দোকানে ছাদের ঘাসগুলো দেখতে যেমন ভালো লাগে, তেমনি তীব্র গরমে দোকানকে ঠান্ডা পরিবেশ দিচ্ছে এ ঘাস।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন

শান্তিগঞ্জে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন

গরম থেকে বাঁচার অভিনব পদ্ধতি ফল ব্যবসায়ীর

আপডেট সময় ০৪:০১:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩

প্রচণ্ড গরমে চারদিকে হাঁসফাঁস অবস্থা। তার ওপর ভোগান্তি বাড়াচ্ছে লোডশেডিং। একটু স্বস্তি পেতে চেষ্টার কমতি নেই মানুষের। তারপরও গরম থেকে মিলছে না মুক্তি।

এ অবস্থায় ভিন্ন চিত্র দেখা গেল ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই মোড়ের আকুল হোসেনের ফলের দোকানে। দাবদাহ থেকে নিজেকে একটু স্বস্তি দিতে তার ফলের দোকানের চালে চাষ করেছেন ঘাস। দোকানের চালার ওপর পলিথিনে মাটির আস্তরণ দিয়ে লাগিয়েছেন ঘাস। যা তার দোকানকে দিচ্ছে ঠান্ডার ছোঁয়া। ফলে অন্য দোকানের তুলনায় এ ফলের দোকানে নেই গরমের তীব্রতা।

আকুল হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি ঝিনাইদহ শহরের কোরাপাড়া এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। তিন শতক জমির ওপর সেমিপাকা একটি ঘরে মা, স্ত্রী আর দুই সন্তান নিয়ে বাস করেন। পুঁজি বলতে তার বাড়ি আর এ ফলের দোকানটি।

মাত্র ১০ বছর বয়সে যাত্রীবাহী বাসে কলা বিক্রি শুরু করেন আকুল হোসেন। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি গাড়িতে হকারি করেছেন। এরপর নিজে একটি ভ্যান কিনে সেই ভ্যানে কলা বিক্রি করতেন। ১৫ বছর এভাবে ভ্যানে করে পাকা কলা বিক্রি করেছেন। ২০১২ সাল থেকে ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই মোড়ে রাস্তার পাশে পলিথিন দিয়ে ঝুপড়ি তুলে দোকান বসিয়ে সেখানে ফল বিক্রি করে আসছেন আকুল হোসেন।

একদিন তিনি ইউটিউবে দেখতে পান ঘরের ছাদে গাছ লাগিয়ে ঘর ঠান্ডা রাখার কৌশল। তা দেখে তার ইচ্ছা জাগে, তিনি তার ছোট্ট দোকানঘর ঠান্ডা করার ব্যবস্থা করবেন। চার বছর আগে দোকানের ওপরে থাকা পলিথিনে মাটি দেন। সেই মাটিতে ‘লক্ষমী ঘাস’ বলে পরিচিত একধরনের ঘাস লাগিয়ে দেন। সেই ঘাসে সকালে ও সন্ধ্যায় পানি দেন। এখন সেই ঘাসগুলো আকুল হোসেনের দোকানের ওপর যেন এক টুকরা সবুজ। দোকানেও বেশ ঠান্ডা পরিবেশ।

আকুল হোসেন জানান, নিয়মিত সকাল-সন্ধ্যা পানি ছিটানোর পাশাপাশি তিনি ঘাসের পরিচর্যা করেন। এতে তার দোকানের ফল যেমন ভালো থাকে তেমনি স্বস্তিতে বেচাবিক্রিও করতে পারেন তিনি।

আকুল হোসেনের দোকানে বর্তমানে ৮০-৯০ হাজার টাকার ফল আছে। প্রতিদিন ২৫-৩০ হাজার টাকার ফল বিক্রি হচ্ছে, যা থেকে দিনে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা আয় হচ্ছে। আকুলের বন্ধু গুলজার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আসলে আমরা অল্পের মধ্যে অনেক কিছু করতে পারি। তারই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে আমার বন্ধু। এ গরমেও ভালোভাবে ব্যবসা করার নজির দেখিয়েছে সে।’

সেলিম নামের এক ক্রেতা বলেন, অনেকদিন ধরেই দেখছি দোকানটির চালের ওপর ঘাস লাগানো। ঘাসগুলো চালের ওপর ছড়িয়ে পড়েছে। ফলের দোকানে ছাদের ঘাসগুলো দেখতে যেমন ভালো লাগে, তেমনি তীব্র গরমে দোকানকে ঠান্ডা পরিবেশ দিচ্ছে এ ঘাস।