ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo শান্তিগঞ্জ পাথারিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি আজমল হুসেন , সেক্রেটারি মোঃশেকুল ইসলাম। Logo উপাচার্যকে নিয়ে মানহানিকর বিবৃতি প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন Logo সুনামগঞ্জে ছাত্র—জনতার আন্দোলনে হামলা বিশ্বম্ভরপুর আ’লীগ সভাপতিসহ ৫ নেতা কারাগারে Logo শান্তিগঞ্জে ব্রাক শিক্ষা কর্মসূচির উদ্যোগে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত Logo ছাতকে ভারতীয় চিনি সহ এক চোরাকারবারি গ্রেফতার Logo জগন্নাথপুরে ইয়াবা সহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার Logo দোয়ারাবাজারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মী কামরুল ইসলাম গ্রেফতার Logo সুনামগঞ্জে আইন সহায়তা দিবস পালিত Logo সুনামগঞ্জে নার্সিং শিক্ষার্থীদের সড়কে বিক্ষোভ Logo মধ্যনগরে যুবলীগ নেতা অমল গ্রেফতার।

গরম থেকে বাঁচার অভিনব পদ্ধতি ফল ব্যবসায়ীর

প্রচণ্ড গরমে চারদিকে হাঁসফাঁস অবস্থা। তার ওপর ভোগান্তি বাড়াচ্ছে লোডশেডিং। একটু স্বস্তি পেতে চেষ্টার কমতি নেই মানুষের। তারপরও গরম থেকে মিলছে না মুক্তি।

এ অবস্থায় ভিন্ন চিত্র দেখা গেল ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই মোড়ের আকুল হোসেনের ফলের দোকানে। দাবদাহ থেকে নিজেকে একটু স্বস্তি দিতে তার ফলের দোকানের চালে চাষ করেছেন ঘাস। দোকানের চালার ওপর পলিথিনে মাটির আস্তরণ দিয়ে লাগিয়েছেন ঘাস। যা তার দোকানকে দিচ্ছে ঠান্ডার ছোঁয়া। ফলে অন্য দোকানের তুলনায় এ ফলের দোকানে নেই গরমের তীব্রতা।

আকুল হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি ঝিনাইদহ শহরের কোরাপাড়া এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। তিন শতক জমির ওপর সেমিপাকা একটি ঘরে মা, স্ত্রী আর দুই সন্তান নিয়ে বাস করেন। পুঁজি বলতে তার বাড়ি আর এ ফলের দোকানটি।

মাত্র ১০ বছর বয়সে যাত্রীবাহী বাসে কলা বিক্রি শুরু করেন আকুল হোসেন। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি গাড়িতে হকারি করেছেন। এরপর নিজে একটি ভ্যান কিনে সেই ভ্যানে কলা বিক্রি করতেন। ১৫ বছর এভাবে ভ্যানে করে পাকা কলা বিক্রি করেছেন। ২০১২ সাল থেকে ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই মোড়ে রাস্তার পাশে পলিথিন দিয়ে ঝুপড়ি তুলে দোকান বসিয়ে সেখানে ফল বিক্রি করে আসছেন আকুল হোসেন।

একদিন তিনি ইউটিউবে দেখতে পান ঘরের ছাদে গাছ লাগিয়ে ঘর ঠান্ডা রাখার কৌশল। তা দেখে তার ইচ্ছা জাগে, তিনি তার ছোট্ট দোকানঘর ঠান্ডা করার ব্যবস্থা করবেন। চার বছর আগে দোকানের ওপরে থাকা পলিথিনে মাটি দেন। সেই মাটিতে ‘লক্ষমী ঘাস’ বলে পরিচিত একধরনের ঘাস লাগিয়ে দেন। সেই ঘাসে সকালে ও সন্ধ্যায় পানি দেন। এখন সেই ঘাসগুলো আকুল হোসেনের দোকানের ওপর যেন এক টুকরা সবুজ। দোকানেও বেশ ঠান্ডা পরিবেশ।

আকুল হোসেন জানান, নিয়মিত সকাল-সন্ধ্যা পানি ছিটানোর পাশাপাশি তিনি ঘাসের পরিচর্যা করেন। এতে তার দোকানের ফল যেমন ভালো থাকে তেমনি স্বস্তিতে বেচাবিক্রিও করতে পারেন তিনি।

আকুল হোসেনের দোকানে বর্তমানে ৮০-৯০ হাজার টাকার ফল আছে। প্রতিদিন ২৫-৩০ হাজার টাকার ফল বিক্রি হচ্ছে, যা থেকে দিনে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা আয় হচ্ছে। আকুলের বন্ধু গুলজার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আসলে আমরা অল্পের মধ্যে অনেক কিছু করতে পারি। তারই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে আমার বন্ধু। এ গরমেও ভালোভাবে ব্যবসা করার নজির দেখিয়েছে সে।’

সেলিম নামের এক ক্রেতা বলেন, অনেকদিন ধরেই দেখছি দোকানটির চালের ওপর ঘাস লাগানো। ঘাসগুলো চালের ওপর ছড়িয়ে পড়েছে। ফলের দোকানে ছাদের ঘাসগুলো দেখতে যেমন ভালো লাগে, তেমনি তীব্র গরমে দোকানকে ঠান্ডা পরিবেশ দিচ্ছে এ ঘাস।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

শান্তিগঞ্জ পাথারিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি আজমল হুসেন , সেক্রেটারি মোঃশেকুল ইসলাম।

গরম থেকে বাঁচার অভিনব পদ্ধতি ফল ব্যবসায়ীর

আপডেট সময় ০৪:০১:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩

প্রচণ্ড গরমে চারদিকে হাঁসফাঁস অবস্থা। তার ওপর ভোগান্তি বাড়াচ্ছে লোডশেডিং। একটু স্বস্তি পেতে চেষ্টার কমতি নেই মানুষের। তারপরও গরম থেকে মিলছে না মুক্তি।

এ অবস্থায় ভিন্ন চিত্র দেখা গেল ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই মোড়ের আকুল হোসেনের ফলের দোকানে। দাবদাহ থেকে নিজেকে একটু স্বস্তি দিতে তার ফলের দোকানের চালে চাষ করেছেন ঘাস। দোকানের চালার ওপর পলিথিনে মাটির আস্তরণ দিয়ে লাগিয়েছেন ঘাস। যা তার দোকানকে দিচ্ছে ঠান্ডার ছোঁয়া। ফলে অন্য দোকানের তুলনায় এ ফলের দোকানে নেই গরমের তীব্রতা।

আকুল হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি ঝিনাইদহ শহরের কোরাপাড়া এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। তিন শতক জমির ওপর সেমিপাকা একটি ঘরে মা, স্ত্রী আর দুই সন্তান নিয়ে বাস করেন। পুঁজি বলতে তার বাড়ি আর এ ফলের দোকানটি।

মাত্র ১০ বছর বয়সে যাত্রীবাহী বাসে কলা বিক্রি শুরু করেন আকুল হোসেন। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি গাড়িতে হকারি করেছেন। এরপর নিজে একটি ভ্যান কিনে সেই ভ্যানে কলা বিক্রি করতেন। ১৫ বছর এভাবে ভ্যানে করে পাকা কলা বিক্রি করেছেন। ২০১২ সাল থেকে ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই মোড়ে রাস্তার পাশে পলিথিন দিয়ে ঝুপড়ি তুলে দোকান বসিয়ে সেখানে ফল বিক্রি করে আসছেন আকুল হোসেন।

একদিন তিনি ইউটিউবে দেখতে পান ঘরের ছাদে গাছ লাগিয়ে ঘর ঠান্ডা রাখার কৌশল। তা দেখে তার ইচ্ছা জাগে, তিনি তার ছোট্ট দোকানঘর ঠান্ডা করার ব্যবস্থা করবেন। চার বছর আগে দোকানের ওপরে থাকা পলিথিনে মাটি দেন। সেই মাটিতে ‘লক্ষমী ঘাস’ বলে পরিচিত একধরনের ঘাস লাগিয়ে দেন। সেই ঘাসে সকালে ও সন্ধ্যায় পানি দেন। এখন সেই ঘাসগুলো আকুল হোসেনের দোকানের ওপর যেন এক টুকরা সবুজ। দোকানেও বেশ ঠান্ডা পরিবেশ।

আকুল হোসেন জানান, নিয়মিত সকাল-সন্ধ্যা পানি ছিটানোর পাশাপাশি তিনি ঘাসের পরিচর্যা করেন। এতে তার দোকানের ফল যেমন ভালো থাকে তেমনি স্বস্তিতে বেচাবিক্রিও করতে পারেন তিনি।

আকুল হোসেনের দোকানে বর্তমানে ৮০-৯০ হাজার টাকার ফল আছে। প্রতিদিন ২৫-৩০ হাজার টাকার ফল বিক্রি হচ্ছে, যা থেকে দিনে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা আয় হচ্ছে। আকুলের বন্ধু গুলজার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আসলে আমরা অল্পের মধ্যে অনেক কিছু করতে পারি। তারই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে আমার বন্ধু। এ গরমেও ভালোভাবে ব্যবসা করার নজির দেখিয়েছে সে।’

সেলিম নামের এক ক্রেতা বলেন, অনেকদিন ধরেই দেখছি দোকানটির চালের ওপর ঘাস লাগানো। ঘাসগুলো চালের ওপর ছড়িয়ে পড়েছে। ফলের দোকানে ছাদের ঘাসগুলো দেখতে যেমন ভালো লাগে, তেমনি তীব্র গরমে দোকানকে ঠান্ডা পরিবেশ দিচ্ছে এ ঘাস।