ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo জগন্নাথপুরে জুলাই বিপ্লব ২৪ ডটকম এর আত্ম প্রকাশ Logo শান্তিগঞ্জে ‘আব্দুন নূর চেয়ারম্যান স্মৃতি প্রাথমিক মেধা বৃত্তির পরীক্ষা কাল শনিবার (৩০ নভেম্বর) Logo শান্তিগঞ্জে হাওরের ১০০ বছর ও আমাদের করণীয় শীর্ষক কর্মশালা Logo মধ্যনগরে আওয়ামী লীগ নেতার দখল থেকে সরকারী ভুমি পুনরুদ্ধার Logo সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের রফিনগর গ্রামের সাজ্জাতুলের বাড়িঘরে হামলা,ভাংচুর লুটপাঠসহ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ভাংচুরের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত -নিহতদের স্মরণে দোয়ারাবাজারে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত Logo অন্তবর্তীকালীন সরকার পতনের ষড়যন্ত্র গোপন বৈঠকে থাকা ছাত্রলীগের ৩৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি Logo শান্তিগঞ্জে বিনামূল্যে গরু বিতরণের লক্ষ্যে অবহিতকরণ সভা ও প্রশিক্ষণ Logo দোয়ারাবাজারে সরকারি গাছ কর্তন।। জব্দ করলো প্রশাসন Logo শান্তিগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা 

গরম থেকে বাঁচার অভিনব পদ্ধতি ফল ব্যবসায়ীর

প্রচণ্ড গরমে চারদিকে হাঁসফাঁস অবস্থা। তার ওপর ভোগান্তি বাড়াচ্ছে লোডশেডিং। একটু স্বস্তি পেতে চেষ্টার কমতি নেই মানুষের। তারপরও গরম থেকে মিলছে না মুক্তি।

এ অবস্থায় ভিন্ন চিত্র দেখা গেল ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই মোড়ের আকুল হোসেনের ফলের দোকানে। দাবদাহ থেকে নিজেকে একটু স্বস্তি দিতে তার ফলের দোকানের চালে চাষ করেছেন ঘাস। দোকানের চালার ওপর পলিথিনে মাটির আস্তরণ দিয়ে লাগিয়েছেন ঘাস। যা তার দোকানকে দিচ্ছে ঠান্ডার ছোঁয়া। ফলে অন্য দোকানের তুলনায় এ ফলের দোকানে নেই গরমের তীব্রতা।

আকুল হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি ঝিনাইদহ শহরের কোরাপাড়া এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। তিন শতক জমির ওপর সেমিপাকা একটি ঘরে মা, স্ত্রী আর দুই সন্তান নিয়ে বাস করেন। পুঁজি বলতে তার বাড়ি আর এ ফলের দোকানটি।

মাত্র ১০ বছর বয়সে যাত্রীবাহী বাসে কলা বিক্রি শুরু করেন আকুল হোসেন। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি গাড়িতে হকারি করেছেন। এরপর নিজে একটি ভ্যান কিনে সেই ভ্যানে কলা বিক্রি করতেন। ১৫ বছর এভাবে ভ্যানে করে পাকা কলা বিক্রি করেছেন। ২০১২ সাল থেকে ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই মোড়ে রাস্তার পাশে পলিথিন দিয়ে ঝুপড়ি তুলে দোকান বসিয়ে সেখানে ফল বিক্রি করে আসছেন আকুল হোসেন।

একদিন তিনি ইউটিউবে দেখতে পান ঘরের ছাদে গাছ লাগিয়ে ঘর ঠান্ডা রাখার কৌশল। তা দেখে তার ইচ্ছা জাগে, তিনি তার ছোট্ট দোকানঘর ঠান্ডা করার ব্যবস্থা করবেন। চার বছর আগে দোকানের ওপরে থাকা পলিথিনে মাটি দেন। সেই মাটিতে ‘লক্ষমী ঘাস’ বলে পরিচিত একধরনের ঘাস লাগিয়ে দেন। সেই ঘাসে সকালে ও সন্ধ্যায় পানি দেন। এখন সেই ঘাসগুলো আকুল হোসেনের দোকানের ওপর যেন এক টুকরা সবুজ। দোকানেও বেশ ঠান্ডা পরিবেশ।

আকুল হোসেন জানান, নিয়মিত সকাল-সন্ধ্যা পানি ছিটানোর পাশাপাশি তিনি ঘাসের পরিচর্যা করেন। এতে তার দোকানের ফল যেমন ভালো থাকে তেমনি স্বস্তিতে বেচাবিক্রিও করতে পারেন তিনি।

আকুল হোসেনের দোকানে বর্তমানে ৮০-৯০ হাজার টাকার ফল আছে। প্রতিদিন ২৫-৩০ হাজার টাকার ফল বিক্রি হচ্ছে, যা থেকে দিনে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা আয় হচ্ছে। আকুলের বন্ধু গুলজার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আসলে আমরা অল্পের মধ্যে অনেক কিছু করতে পারি। তারই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে আমার বন্ধু। এ গরমেও ভালোভাবে ব্যবসা করার নজির দেখিয়েছে সে।’

সেলিম নামের এক ক্রেতা বলেন, অনেকদিন ধরেই দেখছি দোকানটির চালের ওপর ঘাস লাগানো। ঘাসগুলো চালের ওপর ছড়িয়ে পড়েছে। ফলের দোকানে ছাদের ঘাসগুলো দেখতে যেমন ভালো লাগে, তেমনি তীব্র গরমে দোকানকে ঠান্ডা পরিবেশ দিচ্ছে এ ঘাস।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

জগন্নাথপুরে জুলাই বিপ্লব ২৪ ডটকম এর আত্ম প্রকাশ

গরম থেকে বাঁচার অভিনব পদ্ধতি ফল ব্যবসায়ীর

আপডেট সময় ০৪:০১:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩

প্রচণ্ড গরমে চারদিকে হাঁসফাঁস অবস্থা। তার ওপর ভোগান্তি বাড়াচ্ছে লোডশেডিং। একটু স্বস্তি পেতে চেষ্টার কমতি নেই মানুষের। তারপরও গরম থেকে মিলছে না মুক্তি।

এ অবস্থায় ভিন্ন চিত্র দেখা গেল ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই মোড়ের আকুল হোসেনের ফলের দোকানে। দাবদাহ থেকে নিজেকে একটু স্বস্তি দিতে তার ফলের দোকানের চালে চাষ করেছেন ঘাস। দোকানের চালার ওপর পলিথিনে মাটির আস্তরণ দিয়ে লাগিয়েছেন ঘাস। যা তার দোকানকে দিচ্ছে ঠান্ডার ছোঁয়া। ফলে অন্য দোকানের তুলনায় এ ফলের দোকানে নেই গরমের তীব্রতা।

আকুল হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি ঝিনাইদহ শহরের কোরাপাড়া এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। তিন শতক জমির ওপর সেমিপাকা একটি ঘরে মা, স্ত্রী আর দুই সন্তান নিয়ে বাস করেন। পুঁজি বলতে তার বাড়ি আর এ ফলের দোকানটি।

মাত্র ১০ বছর বয়সে যাত্রীবাহী বাসে কলা বিক্রি শুরু করেন আকুল হোসেন। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি গাড়িতে হকারি করেছেন। এরপর নিজে একটি ভ্যান কিনে সেই ভ্যানে কলা বিক্রি করতেন। ১৫ বছর এভাবে ভ্যানে করে পাকা কলা বিক্রি করেছেন। ২০১২ সাল থেকে ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই মোড়ে রাস্তার পাশে পলিথিন দিয়ে ঝুপড়ি তুলে দোকান বসিয়ে সেখানে ফল বিক্রি করে আসছেন আকুল হোসেন।

একদিন তিনি ইউটিউবে দেখতে পান ঘরের ছাদে গাছ লাগিয়ে ঘর ঠান্ডা রাখার কৌশল। তা দেখে তার ইচ্ছা জাগে, তিনি তার ছোট্ট দোকানঘর ঠান্ডা করার ব্যবস্থা করবেন। চার বছর আগে দোকানের ওপরে থাকা পলিথিনে মাটি দেন। সেই মাটিতে ‘লক্ষমী ঘাস’ বলে পরিচিত একধরনের ঘাস লাগিয়ে দেন। সেই ঘাসে সকালে ও সন্ধ্যায় পানি দেন। এখন সেই ঘাসগুলো আকুল হোসেনের দোকানের ওপর যেন এক টুকরা সবুজ। দোকানেও বেশ ঠান্ডা পরিবেশ।

আকুল হোসেন জানান, নিয়মিত সকাল-সন্ধ্যা পানি ছিটানোর পাশাপাশি তিনি ঘাসের পরিচর্যা করেন। এতে তার দোকানের ফল যেমন ভালো থাকে তেমনি স্বস্তিতে বেচাবিক্রিও করতে পারেন তিনি।

আকুল হোসেনের দোকানে বর্তমানে ৮০-৯০ হাজার টাকার ফল আছে। প্রতিদিন ২৫-৩০ হাজার টাকার ফল বিক্রি হচ্ছে, যা থেকে দিনে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা আয় হচ্ছে। আকুলের বন্ধু গুলজার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আসলে আমরা অল্পের মধ্যে অনেক কিছু করতে পারি। তারই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে আমার বন্ধু। এ গরমেও ভালোভাবে ব্যবসা করার নজির দেখিয়েছে সে।’

সেলিম নামের এক ক্রেতা বলেন, অনেকদিন ধরেই দেখছি দোকানটির চালের ওপর ঘাস লাগানো। ঘাসগুলো চালের ওপর ছড়িয়ে পড়েছে। ফলের দোকানে ছাদের ঘাসগুলো দেখতে যেমন ভালো লাগে, তেমনি তীব্র গরমে দোকানকে ঠান্ডা পরিবেশ দিচ্ছে এ ঘাস।